এক সেঞ্চুরি ও তিন ফিফটিতে বড় সংগ্রহ প্রোটিয়াদের
Published: 21st, February 2025 GMT
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানদের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার রায়ান রিকেলটন সেঞ্চুরি করেছেন। ফিফটি পেয়েছেন টেম্বা বাভুমা, রেসি ফন ডার ডুসেন ও এইডেন মার্করাম।
তাদের ব্যাটে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৫ রানের বড় পুঁজি পেয়েছে গত বছর টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা প্রোটিয়ারা।
শুক্রবার করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। মোহাম্মদ নবী ষষ্ঠ ওভারে আফগানিস্তানকে প্রথম সাফল্য এনে দেন।
কিন্তু অন্য ওপেনার রিকেলটন ও তিনে নামা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ১২৯ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় রানের পথে তুলে নেন। অধিনায়ক বাভুমা ৭৬ বলে ৫৮ রান করে আউট হন। তার ব্যাট থেকে পাঁচটি চারের শট আসে।
রিকেলটন ১০৬ বলে ১০৩ করে রান আউট হন। তার ব্যাট থেকে সাতটি চার ও একটি ছক্কা আসে। এরপর ডুসেন ও মার্করাম ঝড়ো ফিফটি করেন। রেসির ব্যাট থেকে ৪৬ বলে ৫২ রান আসে। তিনি তিনটি ছক্কা ও দুটি চার মারেন। মার্করাম ৩৬ বলে ৫২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। ছয়টি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি।
আফগানিস্তানের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সবচেয়ে বয়স্ক ক্রিকেটার নবী ১০ ওভারে ৫১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি, আজমতুল্লাহ ওমরজাই ও নুর আহমেদ নেন একটি করে উইকেট।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপককে পাঁচ বছরের জন্য অব্যাহতি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মুসতাক আহমেদকে পাঁচ বছরের জন্য একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আর্থিক অনিয়ম, একাডেমিক পরিসরে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৫৩৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অব্যাহতির পাশাপাশি পরবর্তী পদোন্নতির তারিখ থেকে পাঁচ বছরের জন্য তাঁর পদোন্নতি ও বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। তাঁর কাছে বিভাগের পাওনাদি বিষয়ে পত্র ইস্যু করার ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা পরিশোধ করতে হবে। পাঁচ বছর তিনি অন্য কোথাও চাকরি বা খণ্ডকালীন শিক্ষকতা বা কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না এবং এই পাঁচ বছর সক্রিয় চাকরি হিসেবেও গণ্য করা হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ বিভাগের সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন বিভাগের আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষার বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগ তদন্ত করতে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অর্থ আত্মসাৎ, ছাত্রলীগ নেতাকে ভুয়া প্রত্যয়নপত্র প্রদান, একাডেমিক পরিসরে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক মুসতাক আহমেদের অপসারণ দাবি করেন স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও বিভাগের কার্যালয়ে লিখিতভাবে স্নাতক পর্যায়ের ২০৯ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৯২ শিক্ষার্থী তাঁর অপসারণের দাবির পক্ষে অভিযোগপত্রের সংযুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।