সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

এ টি এম আজহারুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে গণঅবস্থান কর্মসূচি দি‌য়ে‌ছে বাংলা‌দেশ জামায়া‌তে ইসলামী।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দ‌লটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বিবৃতির মাধ্যমে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এতে বলা হয়, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের মিথ্যা ও সাজানো মামলায় বিগত ১৩ বছরের অধিক সময় ধরে কারাগারে আটক আছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলের অনেক নেতাকর্মী মুক্তিলাভ করেছেন। দেশবাসী আশা করেছিল, চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার এ টি এম আজহারুল ইসলামও স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে মুক্তিলাভ করবেন। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের প্রায় সাড়ে ৬ মাস অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও আজহারুল ইসলাম মুক্তিলাভ করেননি। এতে দেশবাসী হতবাক ও বিস্মিত।

এ অবস্থায় এ টি এম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে।

কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে আমীরে জামায়াত ডা.

শফিকুর রহমান উপস্থিত থাকবেন।

উক্ত গণঅবস্থান কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে আজহারুল ইসলামের মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানায় জামায়াত।

বিএইচ

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

রাষ্ট্রপতিকে শহীদ মিনারে দেখতে চায় না বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ

জুলাই ও আগস্টে গণহত্যা চলার সময়ে নীরবতা পালন করায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিন চুপ্পুকে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে না আসার আহ্বান জানিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে চলমান গণঅবস্থান থেকে এ ঘোষণা দেন জুলাই বিপ্লবের পর গঠিত প্রথম ছাত্র সংগঠনটির আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ। 

তিনি বলেন, “জুলাই ও আগস্টে আমরা ২ হাজারেরও বেশি ভাই-বোনকে হারিয়েছি। কিন্তু পুরো ঘটনার সময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিন চুপ্পু চুপ করে ছিলেন। এছাড়া সবাই জানে যে, তিনি হাসিনার অবৈধ নির্বাচনের অবৈধ এমপিদের ভোটে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। একে রেখে হাসিনা পালিয়েছে। সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। হাসিনার এমপিরাও পালিয়ে গেছে। অথচ রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবউদ্দিন চুপ্পু বহাল আছেন।”

তিনি আরো বলেন, “ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে তার পদত্যাগের দাবি জানানো হলেও তিনি সরে যাননি। কিন্তু তাকে জনগণও মেনে নেয়নি। তিনি স্রেফ কায়েমী স্বার্থবাদীদের মদদে টিকে আছেন। আমরা স্পষ্ট করে জানাতে চাই, সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে জনগণ জনপরিসরে দেখতে চায় না।”

আবদুল ওয়াহেদ বলেন, “তার উচিত বঙ্গভবনের চার দেয়ালের ভেতরে থেকেই জুলাইয়ে নিজের ভূমিকা পর্যালোচনা করা। ফ্যাসিবাদীদের সবার পতনের পর নিজের টিকে থাকার অনর্থকতা অনুধাবন করা। আশা করছি তিনি বিদায়ের তাগিদ বুঝতে পারবেন।”

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক বলেন, “আমাদের দাবি হলো ফ্যাসিস্ট হাসিনার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিন চুপ্পু জুলাই বিপ্লবের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পা রাখবেন না। তিনি একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসবেন না।” 

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আওয়ামী লীগ ও দলটির মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গণঅবস্থান কর্মসূচি চলছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুই নেতা মো. ওমর ফারুক ও আবু সাঈদের অনশনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে এতে সম্পৃক্ত হয় বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরা।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি যাত্রাবাড়ীর শহীদ রানা তালুকদারের পরিবার এ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালানোর আহ্বান জানান। তার অনুরোধে অনশন ভেঙে লাগাতার গণঅবস্থান চলছে। গণবক্তব্য, আবৃত্তি, জুলাই গণহত্যার তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, কবিতা আবৃত্তি ও র‍্যাপ সঙ্গীত পরিবেশনসহ নানা আয়োজনে চলছে এ কর্মসূচি।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে গণঅবস্থান করবে জামায়াত
  • একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতিকে শহীদ মিনারে না যাওয়ার আহ্বান
  • রাষ্ট্রপতিকে শহীদ মিনারে দেখতে চায় না বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ