ভাষা শহীদদের স্মরণে মহানগর বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন
Published: 21st, February 2025 GMT
মহান একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু'র নেতৃত্বে নগরীতে বিশাল প্রভাত ফেরীর র্যালি করে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে নয়টার চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে সকাল থেকেই মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নগরীর মিশন পাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনে এসে জড়ো হতে থাকে।
পরে নগরীতে বিশাল প্রভাত ফেরী বের করা হয়। প্রভাত ফেরীর র্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নিয়ে চাষাঢ়া শহীদ মিনারে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন ব এনপ র স ল ইসল ম রহম ন সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদে লম্বা ছুটি ঢাকা ছাড়বে পৌনে দুই কোটি মানুষ
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রায় ১ কোটি ৭২ লাখ ৭০ হাজার মানুষ বৃহত্তর ঢাকা ছাড়বে। তারা রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ মহানগরসহ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলার স্থায়ী-অস্থায়ী বাসিন্দা। ঈদে ঘরমুখো এই বিপুল সংখ্যক মানুষের ৬০ শতাংশ যাবেন সড়কপথে। বাকি ৪০ শতাংশ নৌ ও রেলপথে যাবে। এ হিসাবে, এবার সড়কপথে ঈদযাত্রীর সংখ্যা দাঁড়াতে পারে মোট ১ কোটি ৩ লাখ ৬২ হাজার। নৌপথের ঘরমুখো যাত্রী সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ৬৯ লাখ ৮ হাজার।
নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি এবং গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) ঈদ-পূর্ব যৌথ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পর্যবেক্ষণের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়। মূলত সরকারের বিভিন্ন প্রতিবেদন, গবেষক, সামাজিক সংগঠন প্রতিনিধি ও পরিবহনবিষয়ক সংস্থার বরাত দিয়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষের এই সংখ্যাগত ধারণা জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এবার ঈদের ছুটি বেশি হওয়ার কারণেও বেশি সংখ্যক মানুষ ঘরমুখো হবে। আগে ঈদের ছুটি তিন-চার দিন হতো। অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে এবারই প্রথম ঈদুল ফিতরের ছুটি দাঁড়াচ্ছে ৯ দিন। গতকাল রোববার এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
প্রতিবেদন যা বলছে
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের মতো জনবহুল শিল্প ও বাণিজ্যিক শহরের ৫০ শতাংশ এবং জেলার অন্যান্য স্থানের ২০ শতাংশ মানুষ আবাসস্থল ছেড়ে যায়। এ হিসাবে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরের ১ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার (জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ) মানুষ গ্রামের বাড়ি যাবে। উল্লেখিত পাঁচ জেলার অন্যান্য স্থান থেকে যাবে আরও ২০ লাখ ২০ হাজার (জনসংখ্যার ২০ শতাংশ)। ঈদযাত্রায় সড়কে এবারও জনভোগান্তি ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তবে সরকারের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনাগুলো ইতিবাচক। সরকার নির্বিঘ্ন ঈদ যাতায়াতের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সব মহলকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে। এসব নির্দেশনা কার্যকর হলে জনভোগান্তি ও দুর্ঘটনা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যদিও প্রতিবেদনে উল্লিখিত তথ্য শতভাগ সঠিক নাও হতে পারে বলে স্বীকার করেছে সংগঠন দুটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিপুল সংখ্যক মানুষকে মাত্র এক সপ্তাহে সুশৃঙ্খলভাবে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার সক্ষমতা সড়ক পরিবহন খাতের নেই। দূরপাল্লার অনেক সড়কের কোনো কোনো স্থানের এখনও বেহাল দশা। সারাদেশে সড়কে পাঁচ শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে।
৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন
ঈদুল ফিতরের পর ৩ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ৩ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা হওয়ায় আরও তিন দিন যুক্ত হয়েছে ঈদের ছুটির তালিকায়। কারণ, এর পরের দু’দিনই শুক্র ও শনিবার। সেই হিসাবে এবার ঈদ ঘিরে টানা ৯ দিনের অবকাশ যাপনের সুযোগ পাচ্ছেন চাকরিজীবীরা। তবে এ ছুটি ১১ দিনও সম্ভব হতে পারে। ২৯ ও ৩০ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল ছুটি থাকছে নির্বাহী আদেশে। তার আগে ২৮ মার্চ পড়েছে শুক্রবার। ৩ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে ছুটি। পরের দু’দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিনের ছুটি। এ ছাড়া ঈদের আগের বৃহস্পতিবার ছুটি মিললে এবার টানা ১১ দিনের ছুটি কাটানো যাবে।
রাষ্ট্রপতির আদেশে রোববার জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ছুটিতে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি দপ্তর বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিষেবা যেমন– বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ-সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবেন। এ ছাড়া হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এই ছুটির আওতায় পড়বেন না। চিকিৎসক, হাসপাতাল কর্মী, ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম বহনকারী যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির আওতাবহির্ভূত থাকবেন। জরুরি কাজে সম্পৃক্ত দপ্তরগুলোও এই ছুটির আওতাবহির্ভূত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বলেছে, ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আদালতের কার্যক্রমের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।