ভিউজ কিংবা টাকার জন্য অভিনয় করি না: হিমি
Published: 21st, February 2025 GMT
নাচ থেকে মডেলিং, তারপর অভিনয়ে নাম লেখান জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। এখন পুরোদস্তুর পেশাদার অভিনেত্রী। এ সময়ে যে কজন তরুণ অভিনেত্রী সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত সময় কাটান তাদেরই একজন হিমি।
নিউ মিডিয়ার বদৌলতে হিমির সুখ্যাতি ছড়িয়েছে ওপার বাংলায়ও। পশ্চিমবঙ্গে তার ভক্ত-অনুরাগী রয়েছেন; যারা হিমির অভিনয় ভালোবাসেন। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এ আলাপচারিতায় কলকাতার ভক্ত ও অভিনয় ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি
আরো পড়ুন:
ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে ৩ নাটক
চলচ্চিত্রের ইতিহাসে নাবিলাকে কেউ অগ্রাহ্য করতে পারবে না: জয়
কলকাতার দর্শকদের নিয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করে হিমি বলেন, “এটা দারুণ ব্যাপার। আমি দেশে থাকলে বুঝতে পারি না। তবে যতবার কলকাতায় গিয়েছি, বুঝেছি। কলকাতার সঙ্গে আমার সম্পর্কটা খুব নিবিড়।”
অভিনয় ক্যারিয়ারে একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন হিমি। আর সেটাও কলকাতার। এ তথ্য উল্লেখ করে হিমি বলেন, “হঠাৎ দেখা’ সিনেমায় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত আমাকে লঞ্চ করেছিলেন। রেশমি মিত্র এর পরিচালক ছিলেন। তারপর আর সেভাবে কাজ করা হয়নি। তবে কলকাতার প্রতি আমার একটা সফট কর্নার আছে।”
দেখতে দেখতে হিমির ক্যারিয়ারের বয়স কম হয়নি। কোন ধরনের চরিত্র বেশি টানা? জবাবে হিমি বলেন, “আমি ভিউজ বা টাকার জন্য অভিনয় করি না। আমি ব্যক্তিগত জীবনে খুব চুপচাপ। তবে নাটকে খুব সপ্রতিভ চরিত্রে অভিনয় করতে হলে অনায়াসে করে ফেলি। আমার নানি একবার আমার পুরো নাটক দেখার পর বলেছিলেন, ‘এটায় তুমি ছিলে না?’ অথচ আমিই সেই নাটকের নায়িকা ছিলাম। আমাকে অত এক্সট্রোভার্ট চরিত্রে চিনতেই পারেননি। এইটুকু করতে পারাই আমার জন্য অনেক।”
সত্তর-আশির দশকের নায়িকাদের উদাহরণ টেনে হিমি বলেন, “সত্তর বা আশির দশকের নায়িকাদের চরিত্রগুলো খুব ভালো লাগে। উনারা চোখ দিয়ে অনেক বেশি অভিনয় করতেন। আমরা এখন তেমন পারি না। পিরিয়ডিক ড্রামা আমার খুব ভালো লাগে।”
জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি
হিমি আপাতত নাটকের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “সামনে ঈদ। তাই ঈদ রিলেটেড কয়েকটি কাজ করছি; সেই নাটকগুলোর শুটিং নিয়েই আপাতত ব্যস্ত।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক কলক ত র
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা, নারী নিহত
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলামের বাড়িতে হামলা হয়। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে এক নারী নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার তিওরকুড়ি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। দুর্গাপুর থানার ওসি দুরুল হোদা এ তথ্য জানান।
মারা যাওয়া নারীর নাম ফেরদৌসি বেগম (৫০)। তার স্বামীর নাম আবদুল জব্বার। নিহত নারী ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলামের প্রতিবেশী ছিলেন।
আরো পড়ুন:
মসজিদে হামলার ঘটনায় আহত ইব্রাহীমের মৃত্যু
মাদক সেবনে নিষেধ করায় ২ যুবককে মারধর
সংঘর্ষ চলাকালে নিহতের স্বামী আববদুল জব্বারসহ আহত হয়েছেন ১০-১২ জন। তাদের মধ্যে জিন্নাত আলী নামে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ছয়জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এলাকাবাসী জানান, ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম আওয়ামী লীগের সমর্থক। প্রতিবেশী মামুনুর রশিদসহ কয়েকজনের সঙ্গে তার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর তারা কয়েক দফা বিরোধপূর্ণ জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে কয়েক দফা মারামারির ঘটনাও ঘটে। এরই জেরে আজ সকালে মামুনুর রশিদ তার লোকজন নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলামের বাড়িতে হামলা করেন। রিয়াজুল ওই সময় বাড়িতে ছিলেন না। প্রতিবেশীরা হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
দুর্গাপুর থানার ওসি দুরুল হোদা বলেন, “হামলায় ফেরদৌসি বেগম গুরুত্বর আহত হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান এলাকাবাসী। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্যরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”
ওসি আরো বলেন, “ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে তারা ৫-৭ জনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। হামলায় জড়িত অন্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়ের হবে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহত নারীর মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।”
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ