গুলশান ইয়ুথ ক্লাব প্রিমিয়ার ডিভিশন নারী ক্রিকেট দলের পৃষ্ঠপোষক মেঘনা ব্যাংক
Published: 21st, February 2025 GMT
আনুষ্ঠানিকভাবে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের প্রিমিয়ার ডিভিশন নারী ক্রিকেট দলের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে যুক্ত হয়েছে মেঘনা ব্যাংক। দেশের নারী ক্রিকেট উন্নয়নে ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এ পৃষ্ঠপোষকতায় ক্লাবটির প্রিমিয়ার ডিভিশন নারী দল তাদের ২০২৪-২৫ মৌসুমে ক্রীড়া ও এ-সংক্রান্ত উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এ উপলক্ষে গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেঘনা ব্যাংকের পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আহসান খলিল, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক কিমিয়া সাদাত, গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের পক্ষে প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবির, সেক্রেটারি জেনারেল ওয়াহিদুজ্জামান, ভাইস প্রেসিডেন্ট মেহেদী হাসানসহ দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল।
মেঘনা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আহ্সান খলিল বলেন, ‘বাংলাদেশে ক্রীড়ার বিকাশ ও নারী ক্রিকেট উন্নয়নে মেঘনা ব্যাংক সব সময়ই পাশে আছে। আজকের এ পৃষ্ঠপোষকতা বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট উন্নয়নে আমাদের সহযোগী কার্যক্রমের অংশ।’
গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের পক্ষে ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মেঘনা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট উন্নয়নে মেঘনা ব্যাংকের এ প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসনীয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন’
জুলাই হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করেছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা বলছেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। যাঁদের রক্তের ওপর দিয়ে দেশ নতুন করে স্বাধীন হলো, তাঁদের হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছেন না।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যরা এ কথাগুলো বলেন। তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়।
যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, ‘এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।’
শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার তাঁদের সরকার। কিন্তু তাঁরা শহীদ পরিবারের কষ্ট বুঝতে পারছে না। হত্যার সঙ্গে জড়িত পুলিশ ও হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের অনেককেই এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। দ্রুত তাঁদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তাঁরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, ‘পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না।’
আক্ষেপ করে শাহিনা বেগম বলেন, ‘কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।’
ভাই হত্যার বিচারের দাবি নিয়ে অনুষ্ঠানে এসেছিলেন নাবিল হোসেন। তিনি বলেন, ১৮ জুলাই তাঁর ভাই সোহেল রানা স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে যাত্রাবাড়ী এলাকায় আন্দোলন করেছিলেন। পুলিশ তাঁকে গুলি করে হত্যার পর বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করে। আজও ভাইয়ের কবর শনাক্ত করতে পারেননি।
নাবিল হোসেন বলেন, ‘আর কোনো আশ্বাস নয়, রায়েরবাজারে যে ১১৪ জনকে বেওয়ারিশ হিসেবে কবর দেওয়া হয়েছে, তাঁদের শনাক্ত করতে হবে। যাঁরা এখনো নিখোঁজ রয়েছেন, তাঁদের খুঁজে বের করতে হবে।’