আনুষ্ঠানিকভাবে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের প্রিমিয়ার ডিভিশন নারী ক্রিকেট দলের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে যুক্ত হয়েছে মেঘনা ব্যাংক। দেশের নারী ক্রিকেট উন্নয়নে ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এ পৃষ্ঠপোষকতায় ক্লাবটির প্রিমিয়ার ডিভিশন নারী দল তাদের ২০২৪-২৫ মৌসুমে ক্রীড়া ও এ-সংক্রান্ত উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

এ উপলক্ষে গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেঘনা ব্যাংকের পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আহসান খলিল, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক কিমিয়া সাদাত, গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের পক্ষে প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন কবির, সেক্রেটারি জেনারেল ওয়াহিদুজ্জামান, ভাইস প্রেসিডেন্ট মেহেদী হাসানসহ দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল।

মেঘনা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আহ্সান খলিল বলেন, ‘বাংলাদেশে ক্রীড়ার বিকাশ ও নারী ক্রিকেট উন্নয়নে মেঘনা ব্যাংক সব সময়ই পাশে আছে। আজকের এ পৃষ্ঠপোষকতা বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট উন্নয়নে আমাদের সহযোগী কার্যক্রমের অংশ।’

গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের পক্ষে ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মেঘনা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট উন্নয়নে মেঘনা ব্যাংকের এ প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসনীয়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বড় ভাইয়ের হাতুড়ির আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু

পাবনার ঈশ্বরদীতে বড় ভাই মনিরুল ইসলাম সরদারের হাতুড়ির আঘাতে ছোট ভাই জিপু সরদারের নিহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের লক্ষীকুন্ডা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার একদিন পরও এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি।

নিহত জিপু সরদার (৩০) ও আহত মনিরুল ইসলাম সরদার (৩৮) ওই গ্রামের রিকাত আলী সরদারের দুই ছেলে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক বিভিন্ন বিরোধ, বাড়ির সীমানা ও জমিজমা নিয়ে প্রায়ই দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লাগতো। আগের ঝগড়ার জের ধরে বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে আবার ঝগড়া বাধে। ঝগড়া থেকে মারামারির এক পর্যায়ে বড় ভাই মনিরুলকে আঘাত করে জিপু, পরে জিপুর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে মনিরুল। এতে দুজনই গুরুতর আহত হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় দুই ভাইকে একই অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজশাহীতে নেওয়ার পথে জিপু মারা যায়।

আহত বড় ভাই মনিরুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত ও আহত দুই ভাইয়ের বাবা রিকাত আলী সরদার বলেন, দুজনই আমার সন্তান। দুজনের মধ্যে আগে থেকেই বনিবনা ছিল না। কিন্তু এভাবে একজন আরেক জনকে হত্যা করবে তা আমি মেনে নিতে পারছি না। আমি কী করবো তাও ভেবে পাচ্ছি না। এদিকে আহত বড় ভাই মনিরুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকাকালে তার ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম শহিদ এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত জিপুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পোস্টমর্টেম করার পর মরদেহ দাফন করার অনুমতি দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি বলে নিশ্চিত করে ওসি বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ