বাংলাবান্ধা দিয়ে নেপালে গেল আরো ১০৫ মেট্রিক টন আলু
Published: 21st, February 2025 GMT
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপালে আরো ১০৫ মেট্রিক টন আলু রপ্তানি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত এ স্থলবন্দর দিয়ে ১ হাজার ৩৪৪ মেট্রিক টন আলু নেপালে রপ্তানি হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেনটাইন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পাঁচটি গাড়িতে করে ১০৫ মেট্রিক টন আলু নেপালে পাঠানো হয়। প্রতিটি গাড়িতে ছিল ২১ মেট্রিক টন আলু। এসব আলু রপ্তানি করেছে থিংকস টু সাপ্লাই নামের একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান।
ভৌগলিক অবস্থানগত দিক থেকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা। ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ট্রানজিট সুবিধা থাকায় ব্যবসা ও পর্যটনের ক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি করেছে স্থলবন্দরটি। এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি করা পণ্যের ৯৫ শতাংশই পাথর হলেও বাংলাদেশ থেকে আরো কয়েক ধরনের পণ্য রপ্তানি করা হয় ভারত ও নেপালে।
বাংলাবান্ধা বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস পণ্য, জুস, ব্যাটারিসহ নানা ধরনের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। অপরদিকে, মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক দানা, রেললাইনের স্লিপার, খইল, আদা ও চিটাগুড় আমদানি করা হয় এ বন্দর দিয়ে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেনটাইন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন জানিয়েছেন, নেপালে রপ্তানির আগে আলুগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে।
১৯৯৭ সালে নেপালের সঙ্গে এক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে প্রথম আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়। ২০১১ সালে ভারতের সঙ্গে ও ২০১৭ সালে ভুটানের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়।
ঢাকা/নাঈম/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বুড়িমারী স্থলবন্দর ৮ দিন বন্ধ
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে সাপ্তাহিক ছুটিসহ মোট ৮ দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এ সময় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পুলিশ অভিবাসন (ইমিগ্রেশন) চৌকি দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত অব্যাহত থাকবে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর (সিঅ্যান্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এ এস এম নিয়াজ নাহিদ সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে আগামী ২৯ মার্চ শনিবার থেকে ৫ এপ্রিল শনিবার পর্যন্ত ৮ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বুড়িমারী কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশন।
এ সংক্রান্ত চিঠি বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশন, বন্দর কর্তৃপক্ষ, বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন, বুড়িমারী উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র, বুড়িমারী বিজিবি কমান্ডার, পুলিশ ইমিগ্রেশন, ভারতীয় চ্যাংড়াবান্ধা স্থল শুল্ক স্টেশন, চ্যাংড়াবান্ধা আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন ও ভুটান আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনকে দেওয়া হয়েছে।
বুড়িমারী কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুক হোসেন বলেন, পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সাপ্তাহিক ছুটিসহ আট দিন বন্ধ থাকবে। তবে আগামী ৬ এপ্রিল থেকে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম যথা নিয়মে চলবে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, এই স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পাসপোর্ট ও ভিসাধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।
এ বিষয়ে বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাহাত হোসেন বলেন, ব্যবসায়ী ও পরিবহনে নিযুক্ত ব্যক্তিরা আমদানি-রপ্তানি না করলে স্বাভাবিকভাবে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে এ সময় আমাদের কাস্টমস কার্যালয় খোলা থাকে এবং পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত চালু থাকবে।