কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অশ্রুসিক্ত নয়নে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ২০২৪-এর গণ অভ্যুত্থানে শহীদের  সহধর্মিণীরা।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর শহীদ মিনারে তারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত শহীদ সালাম মন্ডলের সহধর্মিণী মারিয়া আক্তার ও শহীদ সেলিম মন্ডলের সহধর্মিণী শোভা খাতুন ছাড়াও কুমারখালী উপজেলা জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিরা ছিলেন। 

শোভা খাতুন বলেন, ‘‘২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে স্বামীকে হারিয়েছি। যার হারিয়েছে সেই জানে বেদনার গভীরতা। সেই বোধের জায়গা থেকে ৫২-এর ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শহীদ মিনারে এসেছি।’’

এ সময় মারিয়া আক্তারকে অশ্রুসিক্ত নয়নে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে দেখা যায়। 
জাতীয় নাগরিক কমিটির উপজেলা শাখার সিনিয়র প্রতিনিধি অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘‘২০২৪ এর শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার অনুভূতি একেবারেই অন্যরকম।’’

কাঞ্চন//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের হামলার নিন্দা ছাত্র ফ্রন্টের

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের সশস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। এছাড়া হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচার এবং আহতদের সুচিকিৎসার দাবি করেছে সংগঠনটি।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামন ফরিদ যৌথ বিবৃতিতে এসব দাবি করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার কুয়েট শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রদল সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ জনের অবস্থা গুরুতর। আমরা এ হামলার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের অতিদ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করছি। প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী এ হামলার চলাকালে কুয়েট প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। সেনাবাহিনীও শিক্ষার্থীদের রক্ষায় এগিয়ে আসেনি।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, আওয়ামী শাসনামলে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ তাদের একক আধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণ কায়েম করে রেখেছিল। ছাত্রলীগের নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এর সমাধান হিসেবে কারো কারো চিন্তার মধ্যে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের ব্যাপারটি এসেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র সংগঠনগুলো এবং ছাত্র- জনতার ব্যাপক অংশগ্রহণ ও শহীদী আত্মদান ক্যাম্পাসের ভীতিকর পরিস্থিতি ও বিরাজনীতিকরণের সংস্কৃতি ভেঙ্গে দেয়।

শিক্ষার্থীরা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনীতি নির্মাণের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠে। কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, অভ্যুত্থান পরবর্তী ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের অপচেষ্টা চলছে। সর্বশেষ অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থনীতি কৌশল পুনঃনির্ধারণ টাস্কফোর্সের পক্ষ থেকেও ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, কুয়েটের শিক্ষার্থীরা যে ছয়দফা পেশ করেছেন, সেখানেও ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকলে তাকে ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কার করার দাবি করেছেন। কোন সংগঠন বা দলের সঙ্গে যুক্ত থাকা একজন নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। এটাকে কখনো ক্ষুণ্ন করা যায় না। ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের যেকোন প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত আরেকটি ফ্যাসিস্ট প্রক্রিয়া, সংস্কৃতি ও শক্তির উদ্ভব ঘটাবে, যা ভিন্নমত দমন, মব ভায়োলেন্সসহ অগণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্ম দেবে। এটা নিঃসন্দেহে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা বিরোধী।

শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠার জন্য ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ নয়, বরং সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধে শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই জরুরি।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চীনে মহান শহীদ দিবস পালিত
  • শূন্য থেকে পূর্ণ
  • ছাত্রদল কর্তৃক শিবির নেতার ওপর হামলা, বৈষম্যবিরোধীদের নিন্দা ও প্রতিবাদ
  • ভাষা শহীদদের প্রতি ইউজিসি’র শ্রদ্ধা নিবেদন
  • ছাত্র ঐক্যে ফাটলের নেপথ্যে
  • রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্লাইমেক্সের দিকে যাচ্ছে?
  • জবির চিন্তক সাময়িকীর ‘গণঅভ্যুত্থান’ প্রকাশ
  • নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে তাগিদ দক্ষিণ সিটি পরিচালনা কমিটির 
  • কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের হামলার নিন্দা ছাত্র ফ্রন্টের