একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষক দলের নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ২০ মিনিটে জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন মহানগর কৃষক দলের সভাপতি স্বপন খন্দকার এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সাল মোল্লা । এ সময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ ফয়সাল মোল্লা বলেন, এই দিনে মাতৃভাষা রক্ষার্তে সালাম, জব্বার, রফিক, বরকতসহ অনেকে রাজপথে তাদের তাজা রক্ত দিয়ে বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা প্রতিষ্ঠা করবার জন্য আত্মত্যাগ করেছিলেন। তারই ফলশ্রুতিতে পাকিস্তান বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষার স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ২১ শে ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশীদের জন্য একটি চেতনা, প্রেরণা এবং গভীর শ্রদ্ধার দিন। এই দিনে জীবন উৎসর্গকারী ভাষা শহীদদের আমরা জানাই গভীর শ্রদ্ধা। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর সহ সভাপতি গোলজার ,সহ সভাপতি তপু সহ সভাপতি লিটন, সহ সভাপতি ফারুক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজিব কাজি, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সবুজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শান্ত, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সেলিম সহ সাংগটনিক সম্পাদক আল আমিন, কৃষি সম্পাদক সবুজ, ধর্ম সম্পাদক আবজাল, ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প সম্পাদক সাব্বির, সাইদ মির, রাতুল প্রমুখ।

.

উৎস: Narayanganj Times

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদে ব্যস্ততা বেড়েছে নারায়ণগঞ্জের হোসিয়ারিপল্লিতে, ৫০০ কোটি টাকা বিক্রির আশা

পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের শতবর্ষী নয়ামাটি হোসিয়ারিপল্লিতে পোশাক তৈরি ও বিক্রিতে ব্যস্ততা বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারেরা হোসিয়ারি মার্কেটে পোশাক কিনতে আসেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বেচাবিক্রি। এবার ৫০০ কোটি টাকা বেচাবিক্রির আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। গতবারের তুলনায় এবার পোশাকের দাম বেশি বলে জানিয়েছেন পাইকারেরা।

এবারের ঈদে নয়ামাটি-উকিলপাড়ার প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফ্রক, বাবা সেট, গেঞ্জি সেট, সূতি ওয়াশের জামা, চায়না জর্জেট, বড়দের গেঞ্জি, স্যান্ডো গেঞ্জি, টি-শার্ট ও এমব্রয়ডারি করা পোশাকের চাহিদা বেশি। এ ছাড়া অন্তর্বাস, মাথার টুপি, ট্রাউজারসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ১০০ বছর আগে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে শহরের নয়ামাটি এলাকায় হোসিয়ারিপল্লি গড়ে ওঠে। পরে নয়ামাটি থেকে তা উকিলপাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে। হোসিয়ারিপল্লি ঘিরে গড়ে ওঠে হোসিয়ারি মার্কেট। এখান থেকে রাজধানীর সদরঘাট, বঙ্গবাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানা বয়সী মানুষের পোশাক সরবরাহ করা হয়। নয়ামাটি-উকিলপাড়ায় পাঁচ হাজারের মতো হোসিয়ারি কারখানা আছে। এসব কারখানায় লক্ষাধিক শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন। কারখানায় পোশাক উৎপাদন ও বিক্রি দুটোই একসঙ্গে হয়। সারা বছর পোশাক বিক্রির অর্ধেকের বেশি হয় ঈদের মৌসুমে।

নয়ামাটির বিক্রমপুর হোসিয়ারি মার্কেটের ‘অর্পিতা হোসিয়ারিতে’ এবারের ঈদে এক থেকে ছয় মাস বয়সী শিশুদের পোশাক তৈরি হচ্ছে। তাদের অ্যাংকর কাপড়ের গেঞ্জির চাহিদা বেশি। প্রতি ডজন শিশুদের পোশাক ৯৬০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়, ফ্রক প্রতি ডজন ১ হাজার ৩০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

অর্পিতা হোসিয়ারির ব্যবস্থাপক সাকিল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, সুতি ও নিট কাপড়ের গেঞ্জির চাহিদা বেশি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারেরা এসে পোশাক কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। উপকরণের দাম বেশি হওয়ায় এবার পোশাকের দাম একটু বেশি। আগামী ২৫ রোজা পর্যন্ত বেচাকেনা চলবে। সামনের দিনগুলোতে ভালো বেচাকেনা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

নারায়ণগঞ্জ শহরের নয়ামাটি হোসিয়ারীতে নানা ধরনের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। শনিবার সকালে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি
  • মোহাম্মদ আলীর দু:খ প্রকাশ
  • নারায়ণগঞ্জ সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের ইফতার বিতরণ 
  • নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনে পথ শিশুদের নিয়ে ইফতার
  • নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৩৩ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন
  • না’গঞ্জে এশিয়ান টিভির ইফতার ও দোয়া মাহফিল 
  • জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন 
  • রূপগঞ্জে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত 
  • তারেক রহমানের পক্ষে ফতুল্লা থানা বিএনপির ঈদ সামগ্রী বিতরণ 
  • ঈদে ব্যস্ততা বেড়েছে নারায়ণগঞ্জের হোসিয়ারিপল্লিতে, ৫০০ কোটি টাকা বিক্রির আশা