বরগুনায় কামাল মিনা নামে এক  অটো চালকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ।

কামাল মিনা বরগুনা সদর উপজেলার শিংড়াবুনিয়া গ্রামের মতলেব মিনার ছেলে। সে পেশায় অটোরিকশা চালক। 

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কামাল মিনার মৃতদেহ বাড়ির সামনের জামগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে সদর থানা থেকে পুলিশ এসে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। 

পরিবার সূত্রে জানা যায়, জীবিকার তাগিদে দীর্ঘদিন পরিবার নিয়ে ঢাকায় ছিলেন কামাল। তিন বছর আগে পরিবার নিয়ে শিংড়াবুনিয়ায় ফিরে এসে বসবাস শুরু করেন। ব্যাটারিচালিত অটো রিকশা চালাতেন তিনি। প্রতিদিনের মতোই সকালে নামাজের উদ্দেশ্যে বের হন কামাল। এরপর প্রতিবেশী জলিল মিয়ার ডাকে ঘুম ভাঙে পরিবারের। তারা গিয়ে দেখতে পান কামালের মরদেহ গাছের সঙ্গে ঝুলছে। 

পরিবারের দাবি ৩ ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে সুখেই জীবনযাপন করছিলেন কামাল। আত্মহত্যা করার মতো  কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না তারা। অস্বাভাবিক এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা।   

কামাল মিনার মেয়ে মুক্তামনি বলেন, ‘‘আমার বাবা আত্মহত্যা করেনি। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমার বাবার লাশ যখন উদ্ধার করেছি তখন তার পা ও হাঁটু মাটিতে বসা অবস্থায় পাওয়া যায়।’’ 

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘‘নিহতের লাশ উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’’

ইমরান//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব র বরগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

চীনে নতুন করোনা ভাইরাস শনাক্ত, ফের মহামারির শঙ্কা

সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে এমন নতুন একটি করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে চীনে। এইচকেইউ৫-কোভ-২ নামের এই ভাইরাসের সঙ্গে মহামারি ভাইরাসের বেশ মিল রয়েছে। এতে শঙ্কা দেখা দিয়েছে, মাত্র দুই বছর আগে শেষ হওয়া কোভিডের পর আরেকটি মহামারির কবলে পড়তে পারে বিশ্ব।

চীনের উহানের ‘ইনস্টিটিউ অব ভাইরালজি’ নতুন স্ট্রেনটি বাঁদুরের মধ্যে পেয়েছেন। এছাড়া এটির সঙ্গে মার্সের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। মার্স করোনা ভাইরাস বেশ শক্তিশালী একটি ভাইরাস, যেটিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চার ভাগের তিন ভাগই মারা যায়।

নতুন করোনা ভাইরাসটির সন্ধান দিয়েছেন সংক্রামকবিদ শি ঝেংলি। করোনা ভাইরাস নিয়ে কাজ করেন বলে তিনি ‘ব্যাটওমেন’ নামে পরিচত। নতুন ভাইরাসটির বিস্তারিত তথ্য একটি বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশ করেছেন তিনি।

গবেষণায় দেখা গেছে এইচকেইউ৫-কোভ-২ নামের নতুন ভাইরাসটি মানুষের কোষে এমনভাবে প্রবেশ করে যেমনটি করত কোভিড-১৯। সংক্রামকবিদ শি ঝেংলি জানিয়েছেন, এই ভাইরাসটিতে মানুষের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।

মার্স হলো শ্বাসযন্ত্রের একটি সংক্রামক রোগ। যেটি প্রাণী থেকে মানুষে এবং মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়। এটির কারণে জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, বমি হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটি প্রাণহানির কারণও হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের এখন পর্যন্ত মার্স ভাইরাসে মাত্র দুইজন আক্রান্ত হয়েছেন। দু’জনের দেহেই এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল ২০১৪ সালের মে মাসে। এবং তারা দুজনই মধ্যপ্রাচ্যে ছিলেন। এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন নেই।

নতুন এইচকেইউ৫-কোভ-২ ভাইরাসটি মারবেকোভাইরাস পরিবারের একটি জীবাণু। মারবেকোভাইরাস পাওয়া গেছে মিঙ্ক এবং প্যাঙ্গোলিন নামের দুটি প্রাণীর মধ্যে। ধারণা করা হয় এই প্রাণীর মাধ্যমে বাঁদুর ও মানুষের মধ্যে ভাইরাসটি আসে।

সূত্র: ডেইলি মেইল

বিএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ