শহীদ মিনারে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ, খুরে আহত ২
Published: 21st, February 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় খুরের আঘাতে দুজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে বলে বিজয়নগর থানার ওসি মো. রওশন আলী জানান।
আহতরা হলেন- উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের পেটুয়াজুরি এলাকার সাজু মিয়ার ছেলে মো.
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একুশের প্রথম প্রহরে উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে শহীদ মিনারে প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ইউএনও। পরে সেখানে ফুল দিতে আসেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারা দুটি ভাগে আসেন। এক পক্ষে ছিলেন জমির দস্তগীর ও ইমাম হোসেনের সমর্থকরা। অপরপক্ষে ছিলেন মহসিন ভূইয়া ও শাহ আলম মিয়ার অনুসারীরা। দুইপক্ষ উপজেলা বিএনপির দুটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন। কে আগে ফুল দেবে তা নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় খুরের আঘাতে দুজন আহত হয়। তারা দুজনই মহসিন-শাহ আলমের সমর্থক।
তবে এ ব্যাপারে জানতে বিএনপি নেতাদের মোবাইলে কল করলেও তারা রিসিভি করেননি।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় ব এনপ স ঘর ষ আহত ব জয়নগর উপজ ল ব এনপ র সমর
এছাড়াও পড়ুন:
কনকনে শীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাফ ম্যারাথনে ৩৫০ জন
কনকনে শীত নিয়ে এসেছে হিমেল হাওয়া। ঘরের বাইরে বেরোলেই সেই হাওয়া শরীরে কাঁপন ধরায়। এমন আবহাওয়ার মধ্যে আজ শনিবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের তিতাস নদীর প্রথম সেতু এলাকায় জড়ো হন বিভিন্ন জেলার ৩৫০ দৌড়বিদ। সেখানে তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে ছিলেন বয়োজ্যেষ্ঠ ও শিশুরাও। তবে উচ্ছ্বাস প্রকাশে যেন কেউ কারও থেকে কম নয়। হাফ ম্যারাথনে অংশ নিতেই তাঁদের এই জমায়েত।
আজ সকালে এই হাফ ম্যারাথনের আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটি (বিআরসি)। আয়োজকেরা জানান, চার পর্যায়ের দূরত্বে এই হাফ ম্যারাথন দৌড় হয়। এর মধ্যে ছিল ২ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার ও ২১ কিলোমিটার।
আয়োজক, অংশগ্রহণকারী ও স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, সূর্য ওঠার আগেই ভোর পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে দৌড়বিদেরা জেলা শহরের তিতাস নদীর প্রথম সেতুর ওপর জড়ো হতে শুরু করেন। সকাল ৬টায় প্রথমে ২১ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণকারীরা সেখান থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে ৫ ও ১০ কিলোমিটারের দৌড়বিদেরা রওনা দেন। সর্বশেষ সকাল ৭টায় শিশুদের দুই কিলোমিটারের দৌড় শুরু হয়।
২১ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নেন ৬৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৪ জন ও নারী একজন। ১০ কিলোমিটারে অংশগ্রহণ করেন ১৬৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৬৬ জন ও নারী দুজন। ৫ কিলোমিটারে অংশ নেন ৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৪ জন ও নারী ১০ জন। ২ কিলোমিটার দৌড়ে ৪৩ জন শিশু অংশ নেয়।
দৌড় প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বয়সী দৌড়বিদের পাশাপাশি ভারত, জাপান, নেপাল ও ডেনমার্কের চারজন অংশ নেন। জেলা শহরের তিতাস নদীর ওপর নির্মিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর উপজেলার সংযোগ সড়ক কালীবাড়ি মোড় থেকে বিজয়নগরের নূরপুর জিসি সড়ক (সিমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) পথে দৌড়বিদেরা ছড়িয়ে পড়েন। নির্দেশিত পথ ধরে প্রত্যেকে নিজের নির্ধারিত দূরত্ব অনুযায়ী দৌড় সম্পন্ন করেন।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মুহাম্মদ আবদুল মতিন বলেন, ‘১০ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নিয়েছি। ভালো লাগছে। হৃদ্রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত হাঁটা ও দৌড়ের বিকল্প নেই।’
দৌড় শেষের ফিনিশিং লাইনে পৌঁছান এক দৌড়বিদ