নরসিংদীর রায়পুরায় বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। 

শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ধুকুন্দি-চারাবাগ বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন, রায়পুরা উপজেলার শিবপুর গ্রামের মো. জুম্মান মিয়ার ছেলে মো. রনি (২৮) ও একই গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. তাপস (২৯)। তারা পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মোটরসাইকেলের দুই আরোহী শিবপুরে জুমআর নামাজ শেষে দাওয়াত খেতে মহাসড়ক ধরে নরসিংদীর দিকে যাচ্ছিলেন। পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী লাবিবা পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে তাদের ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে মোটরসাইকেলের তেমন ক্ষতি না হলেও দুই আরোহী ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। খবর পেয়ে নিহতের স্বজন ও ভৈরব হাইওয়ে থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

নূরুল হক বলেন, ‘‘ধাক্কা দেওয়া বাসটি আটক করা সম্ভব হয়নি। মরদেহ দুটি উদ্ধার করার পর পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’’

হৃদয়//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা, নারী নিহত

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলামের বাড়িতে হামলা হয়। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে এক নারী নিহত হয়েছেন।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার তিওরকুড়ি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। দুর্গাপুর থানার ওসি দুরুল হোদা এ তথ্য জানান।

মারা যাওয়া নারীর নাম ফেরদৌসি বেগম (৫০)। তার স্বামীর নাম আবদুল জব্বার। নিহত নারী ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলামের প্রতিবেশী ছিলেন।

আরো পড়ুন:

মসজিদে হামলার ঘটনায় আহত ইব্রাহীমের মৃত্যু

মাদক সেবনে নিষেধ করায় ২ যুবককে মারধর

সংঘর্ষ চলাকালে নিহতের স্বামী আববদুল জব্বারসহ আহত হয়েছেন ১০-১২ জন। তাদের মধ্যে জিন্নাত আলী নামে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ছয়জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

এলাকাবাসী জানান, ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম আওয়ামী লীগের সমর্থক। প্রতিবেশী মামুনুর রশিদসহ কয়েকজনের সঙ্গে তার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর তারা কয়েক দফা বিরোধপূর্ণ জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে কয়েক দফা মারামারির ঘটনাও ঘটে। এরই জেরে আজ সকালে মামুনুর রশিদ তার লোকজন নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলামের বাড়িতে হামলা করেন। রিয়াজুল ওই সময় বাড়িতে ছিলেন না। প্রতিবেশীরা হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

দুর্গাপুর থানার ওসি দুরুল হোদা বলেন, ‍“হামলায় ফেরদৌসি বেগম গুরুত্বর আহত হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান এলাকাবাসী। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্যরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”

ওসি আরো বলেন, “ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে তারা ৫-৭ জনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। হামলায় জড়িত অন্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়ের হবে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহত নারীর মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।” 

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ