সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বিশ্ববাজারে ডলারের আধিপত্য ধরে রাখতে ব্রিকস জোটের দেশগুলোকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডলারের বিকল্প অন্য কোনো মুদ্রা চালুর কথা চিন্তা করলেই ১৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে ব্রিকস সদস্যদের সঙ্গে কোনো ধরনের বাণিজ্য করবেন না বলেও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির রিপাবলিকান গভর্নরের অ্যাসোসিয়েশন এক সভায় এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ট্রাম্প।

তিনি বলেন, ব্রিকস ডলারের বাজার ধ্বংসের চেষ্টা করছে। তারা একটি নতুন মুদ্রার প্রচলন করতে চায়। সম্ভবত, চীনা ইউয়ান ব্যবহারে আগ্রহী তারা।

অবশ্য, ট্রাম্পের এ হুঁশিয়ারির পর এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ব্রিকসের সদস্য দেশগুলো।

পশ্চিমা বলয় থেকে নিষ্কৃতি পেতে ২০২৩ সালে ডলারের পরিবর্তে নতুন অভিন্ন মুদ্রা প্রচলনের প্রস্তাব করেন ব্রিকসের সদস্য দেশ ব্রাজিল, চীন, ভারত, রাশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার নেতারা। আর সেখান থেকেই সূত্রপাত ব্রিকস ও যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি দ্বন্দ্বের।

শুধু ব্রিকসকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ক্ষান্ত হননি ট্রাম্প। টিপ্পনি কাটেন কানাডাকেও। তিনি বলেন, অটোমোবাইল, তেল, গ্যাসসহ পুরো দেশের ৯৫ শতাংশ পণ্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে নেয় কানাডা। সে হিসেবে কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হয়ে গেছে। কানাডার বাসিন্দারা তাদের জাতীয় সংগীত পছন্দ করেন। এ বিষয়ে সামনে আমরা একটি চুক্তি করব। আমার মনে হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্যের জাতীয় সংগীত হিসেবেও কানাডা গানটা আমরা রাখতে পারি।

একইদিন মার্কিন শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও কথা বলেন ট্রাম্প। নরওয়ে, ডেনমার্ক এবং সুইডেনের মত যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক ভালো হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

পৃথিবীর চারপাশে নতুন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে পৃথিবীর চারপাশে ভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের সন্ধান করছিলেন বিজ্ঞানীরা। অবশেষে লুকানো সেই বৈদ্যুতিক শক্তির খোঁজ পাওয়ার দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার একদল বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, নতুন ধরনের এই বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র পৃথিবীর ওপরের বায়ুমণ্ডল জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। শান্ত কিন্তু শক্তিশালী এই বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র পৃথিবীর ওপরের বায়ুমণ্ডলকে প্রভাবিত করতে সক্ষম। পৃথিবীর বায়ু ও মহাকাশের সংযোগে প্রধান ভূমিকা পালনও করে থাকে এই শক্তি। নাসার এনডুরেন্স মিশনের মাধ্যমে এই ক্ষেত্রের খোঁজ মিলেছে।

পৃথিবীর অনেক ওপরে বায়ুমণ্ডল ধীরে ধীরে পাতলা হতে শুরু করে, এর ফলে সেখানে পরমাণু চার্জযুক্ত কণা ভেঙে হালকা ইলেকট্রন ও ভারী আয়নে পরিণত হয়। সাধারণভাবে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আয়নকে নিচে টেনে নিয়ে আসে আর ইলেকট্রন হালকা বলে ওপরে ভেসে থাকে। কিন্তু বৈদ্যুতিক চার্জ আলাদা থাকতে চায় না। ইলেকট্রন পালাতে শুরু করলে তার সঙ্গে আয়নকে একসঙ্গে ধরে রাখার জন্য একটি বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি হয়। এই ক্ষেত্র আয়নকে ওপরে ঠেলে দেয় আর ইলেকট্রনকে ধীর করে দেয়। এই ভারসাম্যকে বিজ্ঞানীরা অ্যাম্বিপোলার বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র বলেন। এটি একটি অদৃশ্য টানাটানির মতো কাজ করে। চার্জকে আলাদা হওয়া থেকে রক্ষা করে। পৃথিবী থেকে ২৫০ থেকে ৭৭০ কিলোমিটার ওপরে এই ক্ষেত্রের উপস্থিতি দেখা যায়। এর প্রভাব সূক্ষ্ম, কিন্তু বেশ শক্তিশালী।

নতুন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের বিষয়ে নাসার বিজ্ঞানী গ্লিন কলিনসন বলেন, অ্যাম্বিপোলার ক্ষেত্র কণাকে উত্তপ্ত করার পরিবর্তে শান্তভাবে কণাকে ওপরে নিয়ে যায়, যেখানে অন্যান্য শক্তি সেগুলোকে আরও ওপরের মহাকাশে নিয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা দেখছেন, এই ক্ষেত্র হাইড্রোজেন আয়নকে সুপারসনিক গতিতে পৃথিবী থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী। মাধ্যাকর্ষণের ঊর্ধ্বমুখী শক্তির চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী এই শক্তি।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবাহিত চার্জযুক্ত কণার তথ্য জানতে ২০২২ সালের ১১ মে একটি রকেট উৎক্ষেপণ করেছিল নাসার এনডুরেন্স মিশন। রকেটটি পৃথিবীর ওপরে ৭৬৮ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছানোর আগে বায়ুমণ্ডলের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে। সেসব তথ্য পর্যালোচনা করেই নতুন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

সূত্র: আর্থ ডটকম

সম্পর্কিত নিবন্ধ