আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে একুশে ফেব্রুয়ারিতে আব্দুল গাফফার চৌধুরীর লেখা এবং আলতাফ মাহমুদের সুরে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গানটির অ্যাকাপেলা পরিবেশনা নিয়ে এসেছে কয়্যার বাংলা ব্যান্ড।

অ্যাকাপেলা পরিবেশনাগুলো সাধারণত খালি গলায় গাওয়া হয় এবং এই ধরণটি বাংলা গানেও খুব একটা প্রচলিত নয়। আর তাই মাতৃভাষাকে সম্মান জানাতে এই নতুন ধারার সংগঠনটি অ্যাকাপেলার মাধ্যমে আমাদের চিরচেনা গানটিকে নতুন রূপে নিয়ে এসেছে শ্রোতাদের সামনে।

তাছাড়া ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই গানটির কেবল কয়েকটি লাইনই সচরাচর সবাই গেয়ে থাকেন। কয়্যার বাংলা এবারের আয়োজনে গানটির ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ পুরো গানটি পরিবেশন করেছে।

আরো পড়ুন:

হৃদয় খানের সংসার ভাঙার গুঞ্জন

বর্ণালীর ‘কি পিরিতি শিখাইলো বন্ধু কালাচাঁন’

এ নিয়ে কয়ারবাংলা প্রতিষ্ঠাতা তানভীর আলম সজীব বলেন, “ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই গানটি তৈরি, অথচ পুরো গানটি খুব কম মানুষই শুনেছেন। যারা পুরো গানটি শুনেছেন শুধুমাত্র তারাই উপলব্ধি করতে পারেন কিভাবে আব্দুল গাফফার চৌধুরী ২১ ফেব্রুয়ারিতে এক ছাত্রের লাশ দেখে ভেবেছিলেন, এটা যেন তার নিজের ভাইয়েরই রক্তমাখা লাশ এবং তৎক্ষণাত তার মনে গানের প্রথম দুইটি লাইন জেগে উঠে। সুতরাং যে দেশে ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে সোনার ছেলেরা, সেই ইতিহাস গানের মাধ্যমে রচিতও হয়েছে, কিন্তু প্রচার হয়নি, তাই তেমন একটা কেউ শোনেনি। সেই তাগিদ থেকেই পুরো গানটি তৈরি করা।”

এই আয়োজনে সংযুক্ত হয়েছিলেন এবং কণ্ঠ মিলিয়েছিলেন গানটির সুরকার শহীদ আলতাফ মাহমুদ এর তার কন্যা শাওন মাহমুদ।

এবারের এ ভিন্নধর্মী পরিবেশনায় কণ্ঠ দিয়েছেন তানভীর আলম সজীব, সুকন্যা মজুমদার, মাহমুদুল হাসান, ইউসুফ আহমেদ খান, মৌমিতা মুমু, প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্য ও ইসরাত জাহান মীম।

এ প্রজন্মের কিছু নতুন এবং তরুণ সম্ভাবনাময় সংগীত শিল্পীদের সমন্বয়ে গঠিত কয়্যার বাংলা ব্যান্ডটি গত ১৬ ডিসেম্বর ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটির মাধ্যমে পুনরায় আত্মপ্রকাশ পায়। গানটি কয়্যার বাংলার ফেসবুক ও ইউটিউবে মুক্তি পায় এবং পুরোনো গানটির নতুন আঙ্গীকে পরিবেশনা বেশ আলোড়ন তৈরি করেন শ্রোতাদের মধ্যে।

ঢাকা/হাসান/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলো হামাস

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। হামাস জানিয়েছে, অবিলম্বে তারা এমন একটি চুক্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত যেখানে যুদ্ধের অবসান এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে বাকি সমস্ত জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে। শুক্রবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

এক ভিডিও বিবৃতিতে হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হায়া বলেছেন, “আমরা (ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক এজেন্ডা পূরণের আংশিক চুক্তি গ্রহণ করব না।”

হামাসের কাছে এখনো ৫৯ জন জিম্মি রয়েছে। এদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলের সর্বশেষ প্রস্তাবে ১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতি অন্তর্ভুক্ত ছিল।

খলিল আল-হায়া বলেছেন, “সব বন্দিকে বলি দিয়ে হলেও নির্মূল ও অনাহারের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার উপর ভিত্তি করে নেতানিয়াহু এবং তার সরকার তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডার আবরণ হিসেবে আংশিক চুক্তিকে ব্যবহার করে।”

তিনি আরো বলেন,  হামাস ‘ইসরায়েলের হাতে বন্দি নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনির বিনিময়ে জিম্মিদের মুক্তির জন্য অবিলম্বে একটি চুক্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত’ এবং যুদ্ধের অবসান ঘটাতে প্রস্তুত।

হামাস এর আগে জানিয়েছিল, তারা যুদ্ধের অবসানের জন্য একটি সামগ্রিক চুক্তির কথা বিবেচনা করবে।

হামাসের এই ঘোষণার পর অতিডানপন্থী ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ জানিয়েছেন, হামাসের উপর ‘নরকের দরজা খুলে দেওয়ার’ সময় এসেছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ