ভুল বানানে ভরা ভাষা দিবসের প্ল্যাকার্ড, ফেসবুকে সমালোচনা
Published: 21st, February 2025 GMT
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। তাই শহীদ মিনারের চারপাশে স্থাপন করা হয় নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড। প্ল্যাকার্ডের বেশির ভাগই ভুল বানানে ভরা । এমন ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন সমালোচনা শুরু হওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই প্ল্যাকার্ডের ভুল বানান সংশোধন করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে দেখা যায়, ‘একুশ মানি মাথা নথ না করা’, ‘বাংলাশের আত্মা বাংলা ভাষা’, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রয়ারি’ ইত্যাদি লেখা। ‘মাথা নত’-এর পরিবর্তে লেখা হয়েছে ‘মাথা নথ’। বাংলাদেশের বদলে লেখা—‘বাংলাশ’। ফেব্রুয়ারির বদলে লেখা হয় ‘ফেব্রয়ারি’।
এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। নিক্সন নামের ফেসবুক আইডি থেকে একজন মন্তব্য করেন, ‘বাংলা ভাষার যে মৃত্যু আসলেই চট্টগ্রামে হয়েছে, এটাই তার প্রমাণ।’ মো.
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সমালোচনার মুখে গতকাল রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে যান সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন ও অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান। তাঁদের উপস্থিতিতে এসব প্ল্যাকার্ডের বানান ঠিক করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এত বানান ভুল দেখে তিনিই নিজেও অবাক হয়েছেন। প্রক্টরিয়াল বডিকে প্ল্যাকার্ড বসানো, ব্যানার-ফেস্টুন ঝোলানোসহ অনুষ্ঠানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আগামীকাল এ বিষয়ে তাঁরা বসে আলোচনা করবেন।
ভুল বানানের প্ল্যাকার্ডের বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হয়। তবে তিনি সাড়া না দেওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পেনাল্টি পেতে ‘মাটিতে পড়ে অভিনয় করেছে এমবাপ্পে’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে নাটকীয় এক মুহূর্তে পেনাল্টি দাবি করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে সেই দাবি নস্যাৎ হয়ে যাওয়ার পর কী ঘটেছিল মাঠে? ম্যাচ শেষে জানালেন আর্সেনালের মিডফিল্ডার ডেকলান রাইস নিজেই।
প্রথমার্ধে তখনো ৩-০ গোলে এগিয়ে আর্সেনাল। বুকোয়ো সাকার মিস করা পেনাল্টির ঠিক পরেই ডি-বক্সে রাইসের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান এমবাপ্পে। রেফারি সঙ্গে সঙ্গেই পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়ে রাইসকে একটি হলুদ কার্ড দেখান। তবে দীর্ঘ ভিএআর পর্যবেক্ষণের পর দুই সিদ্ধান্তই প্রত্যাহার করা হয়। পেনাল্টি বাতিলের সঙ্গে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন রাইসও।
ম্যাচ শেষে টিএন্ডটি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাইস বলেন, ‘আমি জানতাম ওটা পেনাল্টি নয়। ওর শরীরে আমার হাত ছিল, কিন্তু একজন মিডফিল্ডার হিসেবে এটা করতেই হয়। আমি সৎ একজন মানুষ, তাই সঙ্গে সঙ্গেই এমবাপ্পেকে বলেছিলাম, এটা কোনো পেনাল্টি ছিল না। ও নিজেই মাটিতে পড়ে অভিনয় করেছে। শেষ পর্যন্ত আমরা কাজটা ঠিকঠাক শেষ করেছি, এবং এটা ক্লাবের ইতিহাসে স্মরণীয় এক রাত।’
রাইসের এই সততাই হয়তো তাকে ম্যাচসেরার পুরস্কার এনে দিয়েছে। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে এগিয়ে সেমিফাইনালে পা রাখে আর্সেনাল, যেখানে তারা মুখোমুখি হবে ফরাসি জায়ান্ট পিএসজির। অন্যদিকে আরেক সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান।