খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা কোনো মৌলিক অধিকার নয়!
Published: 21st, February 2025 GMT
ছোটবেলার প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা যখন সমাজ বই পড়তাম, সেখানে লেখা ছিল: মানুষের মৌলিক অধিকার ৫টি; যথাক্রমে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা।
কিন্তু বড় হয়ে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়তে গেলাম, তখন দেখলাম, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী এগুলোর কোনোটাই আসলে মৌলিক অধিকার নয়।
আরেকটু গুছিয়ে বলতে গেলে বাংলাদেশের সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি অধ্যায়ে অনুচ্ছেদ ১৫ বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো মৌলিক প্রয়োজনগুলো নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রকে দায়িত্ব দিয়েছে, তবে এটি আইনের মাধ্যমে আদালতে দাবি করা যাবে না।
অন্যদিকে অনুচ্ছেদ ১৭ শিক্ষাকে বিনা মূল্যে ও বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা দেয়, তবে এটিও আদালতে সরাসরি বলবৎযোগ্য নয়।
আরও পড়ুনপথশিশুর মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার বলে কিছু আছে কি?০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে রচিত প্রথম সংবিধান থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত হওয়া বিভিন্ন সাংবিধানিক সংশোধনীতে এগুলোকে কেন মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি, তার পক্ষে-বিপক্ষে অনেক যুক্তি থাকতে পারে।
তবে আমি এখানে মৌলিক অধিকার স্বীকৃতি দেওয়া না–দেওয়ার কারণে আসলে কী হয়, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করতে চাই।
সংবিধান অনুযায়ী খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাকে মৌলিক অধিকার ঘোষণা করা মাত্রই সব নাগরিকের জন্য এসব মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা দুটোই রাষ্ট্রের কাঁধে কঠোরভাবে বর্তায়।
যেহেতু মৌলিক অধিকার আদালতের মাধ্যমে বলবৎযোগ্য ও আইনের মাধ্যমে দাবি করার সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র শুধু এগুলো নিশ্চিত করতে সচেষ্টই থাকে না; বরং আইনি, নির্বাহী ও বিচারিক কাঠামোর মাধ্যমে সব নাগরিকের জন্য সুনিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
কিন্তু যেহেতু বাংলাদেশের বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী এগুলো আর মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত নয়, কাজেই রাষ্ট্রের পক্ষে সরকার তার মতো করে এসব মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করে।
তবে এ ক্ষেত্রে নাগরিকরা কতটা সুবিধা পান, তা আপনি নিজেই অনুধাবন করতে পারেন।
আরও পড়ুনখাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা নীতির বিসর্জন যে কারণে ‘আত্মহত্যা’২০ মে ২০২২তবে কেউ পাল্টা যুক্তি দিতে পারেন, পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেই এগুলোকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
এ ক্ষেত্রে আমাদের মনে রাখা উচিত, অনেক দেশের এগুলোকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া না হলেও খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো বিষয়গুলোকে আইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এখন বলতে পারেন, বাংলাদেশেও তো অনেক বিষয়ে আইন আছে। কিন্তু মুশকিলটা হলো, সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত না হলেও যখন আইনের মাধ্যমে এগুলোর সুরক্ষা প্রদান করা হয় এবং দেশে আইনের শাসন বিদ্যমান থাকে, তখন এসব অধিকার কিছুটা হলেও কার্যকর থাকে।
কিন্তু ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্টের আইনের শাসনের ২০২৪ সালের সূচক অনুযায়ী, বাংলাদেশ ১৪২ দেশের মধ্যে ১২৭তম অবস্থানে রয়েছে। আপনি যদি গত ১০ বছরের আইনের সূচকের বাংলাদেশের অবস্থানকে পর্যালোচনা করেন, তাহলে দেখবেন বাংলাদেশ দুর্ভাগ্যজনকভাবেই শেষের দিকে (খারাপ অবস্থায়) রয়েছে।
কাজেই যেহেতু বাংলাদেশের আইনের শাসনের অবস্থাটা নড়বড়ে, কাজেই এখন এসব অধিকারকে সাংবিধানিকভাবেই মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া শ্রেয়।
কেননা, এতে যে সরকারই আসুক না কেন, তাদের সব নাগরিকের জন্য এসব অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে।
এতে কমবে বৈষম্য, বাড়বে সামাজিক সমতা ও ন্যায্যতা, নিশ্চিত হবে রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা এবং সুশাসন।
আরও পড়ুনবৃত্তাকার কৃষি উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্ম হতে পারে একটি সমাধান১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আধুনিক যুগে অন্যতম জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য কনসেপ্ট হলো ওয়েলফেরার স্টেট বা কল্যাণমূলক রাষ্ট্র। ওয়েলফেয়ার স্টেট এমন একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা, যেখানে সরকার জনগণের মৌলিক জীবনমান নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সেবা ও সুবিধা প্রদান করে।
এই রাষ্ট্রে সরকারের মূল লক্ষ্য হলো জনগণের কল্যাণ এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যাতে প্রত্যেক নাগরিকের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয় এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত থাকে।
ওয়েলফেয়ার স্টেট হিসেবে পরিচিত দেশগুলো যেমন ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, সুইডেনের মতো দেশ এসব অধিকার কয়েকটিকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, তেমনিভাবে বাংলাদেশের মতো অনেক উন্নয়নশীল দেশও এসব অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা, ইন্দোনেশিয়া, আর্জেন্টিনা ও তানজানিয়ার মতো দেশ এই অধিকারগুলোর বেশির ভাগকেই মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
কেউ কেউ এটা বলে দ্বিমত করতে পারেন যে বাংলাদেশের মতো দেশের পক্ষে এগুলোকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলে সেটির ভার বহন করা সম্ভব হবে কি না?
কেননা, অনেক পণ্ডিতজনই এ কথা বলে যুক্তি দেন, রাষ্ট্র খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো বিষয়গুলোকে মৌলিক অধিকার ঘোষণা করলে তা পূরণের মতো ক্ষমতা রাষ্ট্রের নেই এবং এসব অধিকার ক্ষুণ্ন হলে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে।
খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাকে মৌলিক অধিকার ঘোষণা করা মাত্রই এটি বাংলাদেশের রাজনীতির গতিপ্রকৃতিকে পজিটিভভাবে বদলে দেবে। মানুষের জীবনের অত্যাবশ্যকীয় এসব অধিকার নিশ্চিত করতে সব রাজনৈতিক দল কিংবা সরকার সর্বদা তৎপর থাকবে। এগুলো মৌলিক অধিকার হলে জনগণও তার অধিকারের বিষয়ে সচেষ্ট ও সচেতন থাকবে। যেহেতু রাষ্ট্রকে এসব অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, তাই এগুলো যাতে সবার কাছে পৌঁছায়, সে জন্য কার্যকর ও টেকসই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।এতে করে রাষ্ট্র পরিচালনাকারী সরকার সমস্যায় পড়তে পারে। কিন্তু এসব যুক্তির অন্যতম সহজ খণ্ডন হলো, রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়া সরকার দেশের সব মানুষের অধিকার সুরক্ষা করবে, সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েই দায়িত্ব নেয়।
মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হলে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা হলে, তা সরকারকে এসব বিষয়ে সজাগ থাকতে ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করবে। এতে করে প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রের নাগরিকরাই উপকৃত হবে।
খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাকে মৌলিক অধিকার ঘোষণা করা মাত্রই এটি বাংলাদেশের রাজনীতির গতিপ্রকৃতিকে পজিটিভভাবে বদলে দেবে। মানুষের জীবনের অত্যাবশ্যকীয় এসব অধিকার নিশ্চিত করতে সব রাজনৈতিক দল কিংবা সরকার সর্বদা তৎপর থাকবে।
এগুলো মৌলিক অধিকার হলে জনগণও তার অধিকারের বিষয়ে সচেষ্ট ও সচেতন থাকবে। যেহেতু রাষ্ট্রকে এসব অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, তাই এগুলো যাতে সবার কাছে পৌঁছায়, সে জন্য কার্যকর ও টেকসই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।
মোটকথা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাকে মৌলিক অধিকার ঘোষণা করা হলে এটি ন্যায্যতা, বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ বিনির্মাণে পথ দেখাবে।
মো.
ইমরান আহম্মেদ পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ পুলিশ ও পিএইচডি গবেষক, পলিটিকস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ, ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারউইক, যুক্তরাজ্য। ই–মেইল: [email protected]
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক র যকর র জন ত র জন য ক র জন অন য য় সরক র অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়ার হুমকি ইরানের
ইরান ও ইসরায়েলের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের মধ্যে ধারাবাহিক হুমকি বিনিময় মধ্যপ্রাচ্যকে আরো অস্থিতিশীল করার শঙ্কায় ফেলেছে।
সর্বশেষ হুমকিটি এসেছে ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর (আইআরজিসি) জেনারেল ইব্রাহিম জাব্বারি কাছ থেকে। তিনি বলেছেন, অপারেশন ট্রু প্রমিজ ৩-এর অংশ হিসেবে ইরান ইসরায়েলকে ধ্বংস করে দেবে।
শনিবার (২২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
আরো পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো ভারী বোমার চালান পৌঁছাল ইসরায়েলে
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল
ইরান গত বছরের এপ্রিল ও অক্টোবরে দুই দফায় ইসরায়েলে যে হামলা চালিয়েছিল সেগুলো অপারেশন ট্রু প্রমিজ ও অপারেশন ট্রু প্রমিজ টু নামে পরিচিত।
মেজর জেনারেল জাব্বারি সতর্ক করে বলেছেন, “অপারেশন ট্রু প্রমিজ-থ্রি হবে সঠিক সময়ে; নির্ভুলতার সঙ্গে ও এমন মাত্রায় এটি পরিচালিত হবে, যা ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে এবং তেল আবিব ও হাইফাকে মাটিতে মিশিয়ে দিতে যথেষ্ট।”
আইআরজিসির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে এটি তৃতীয় হুমকি। জব্বারির দিন কয়েক আগে আইআরজিসির ডেপুটি কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলি ফাদাভি ও আইআরজিসির এরোস্পেস বাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলি হাজিজাদেও ইসরায়েলকে ধ্বংসের হুমকি দেন।
এদিকে, এর জবাবে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সা’র বলেছেন, “ইতিহাস থেকে যদি ইহুদিরা কিছু শিখে থাকে, তা হলো তোমার শত্রু যদি বলে তোমাকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে, তাহলে সেটা বিশ্বাস করো। আমরা প্রস্তুত।”
দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি এ হুমকি বিনিময় এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন আইআরজিসি তাদের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বাড়াচ্ছে।
একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইরান সম্প্রতি চীনের কাছ থেকে রকেটের ১ হাজার টন জ্বালানি বানাতে দরকারি রাসায়নিক পেয়েছে।
আইআরজিসি সম্প্রতি ‘দক্ষিণের কৌশলগত জলসীমায়’ হামলায় সক্ষম এমন ক্ষেপণাস্ত্রের নতুন একটি ভূগর্ভস্থ ঘাঁটি উন্মোচন করেছে।
মিডল ইস্ট কোয়ার্টারলিতে প্রকাশিত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআই-তে ৩০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কলিন উইনস্টনের নিবন্ধের উদ্বৃতি দিয়ে জেরুজালেম পোস্টের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যদি ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ হামলা করতে চায়, তাহলে এটাই সেরা সময়।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক এই কমকর্তার মতে, হিজবুল্লাহ ও হামাস এই মুহূর্তে ইসরায়েলের জন্য হুমকি নয়। ইরানের ‘প্রতিরোধ অক্ষ শক্তির’ অবস্থাও নড়বড়ে। ইরান ও সিরিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতাও হ্রাস পেয়েছে।
উইনস্টন দাবি করেছেন, ইরান একাধিক পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য পর্যাপ্ত অস্ত্র-গ্রেড ইউরেনিয়াম উৎপাদনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। তিনি যুক্তি দেন, ইরানের ‘পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদন’ শনাক্ত করার জন্য গোয়েন্দা তথ্যের জন্য অপেক্ষা করা এখন আর কার্যকর কৌশল নয়। এখন জেরুজালেম ও ওয়াশিংটনের ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তমূলক সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে।
উইনস্টনের নিবন্ধের উদ্ধৃতি দিয়ে জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ইরান ৬০ শতাংশে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সময়সীমাকে নাটকীয়ভাবে কমিয়ে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থাও অনুমান করছে, ইরান কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র-মানের ইউরেনিয়াম উৎপাদন করতে পারে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি গত মাসে সতর্ক করে বলেন, “ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যেকোনো ইসরায়েলি বা মার্কিন হামলা এই অঞ্চলে ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’ ডেকে আনবে।”
কাতার সফরের সময় আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আব্বাস আরাঘচি বলেন, ‘ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক আক্রমণ শুরু করা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ঐতিহাসিক ভুলগুলোর মধ্যে একটি হবে।’
গত মাসে একাধিক মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইসরায়েল চলতি বছরের মাঝামাঝি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় একটি আগাম হামলা চালাতে পারে।
ঢাকা/ফিরোজ