সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কোনো ব্যক্তি, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অধিক পরিমাণ অর্থ স্থানান্তরের জন্য পুলিশের সহায়তা প্রয়োজন মনে করলে তাদেরকে ‘মানি এস্কর্ট’ সেবা দেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তবে, এ ক্ষেত্রে এস্কর্ট প্রত্যাশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে যানবাহনের সংস্থান করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ক্রয়-বিক্রয়, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থের লেনদেন ও স্থানান্তর বৃদ্ধি পাবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অধিক পরিমাণ অর্থ স্থানান্তরের জন্য পুলিশের সহায়তা প্রয়োজন মনে করলে তাদেরকে এস্কর্ট সেবা দেবে ডিএমপি।

সহায়তা প্রত্যাশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সংশ্লিষ্ট থানা অথবা পুলিশ কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।

কন্ট্রোলরুমের নম্বরগুলো হচ্ছে- ফোন: ২২৩৩৮১১৮৮,০২৪৭১১৯৯৮৮,০২৯৬১৯৯৯৯,০১৩২০-০৩৭৮৪৫, ০১৩২০-০৩৭৮৪৬, জাতীয় জরুরি সেবা : ৯৯৯।

এ ছাড়া অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তরের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মেনে চলার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।

সেগুলো হচ্ছে-

১.

বড় অংকের অর্থ একা বহন না করে সাথে অতিরিক্ত একাধিক বিশ্বস্ত ব্যক্তি সাথে রাখা যেতে পারে। অর্থ বহন সংক্রান্ত কোন তথ্য আগেই অন্যকে জানানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

২. পায়ে হেঁটে অথবা রিকশায় অর্থ বহনের পরিবর্তে গাড়িতে অর্থ বহন করা যেতে পারে।

৩. নগদ অর্থ বহনের পূর্বে নিশ্চিত হতে হবে যেন আপনার দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কেউ দুষ্কৃতকারীদের না জানিয়ে দেয়।

৪. দৈনিক নগদ অর্থ বহনের প্রয়োজন হলে মাঝে মাঝে ভিন্ন ভিন্ন পথ ব্যবহার করা যেতে পারে যেন দুষ্কৃতকারীরা পূর্বেই ওঁত পেতে থাকার সুবিধা নিতে না পারে।

৫. অর্থ বহনের সময় ব্যাগ এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে যেন বাইরে থেকে বোঝা না যায়। এতে দুষ্কৃতকারীরা প্রলুব্ধ হওয়ার সুযোগ পাবে না।

৬. সমস্ত টাকা একসাথে না রেখে বিভিন্ন জায়গায় যেমন: পকেটে, ব্যাগে, সঙ্গীয় ব্যক্তির নিকট ভাগ করে রাখা যেতে পারে।

৭. গলি কিংবা নির্জন পথ ব্যবহারের পরিবর্তে অপেক্ষাকৃত ব্যস্ত সড়ক ব্যবহার করা যেতে পারে।

৮. ট্রাফিক সিগন্যাল বা জ্যামে পড়লে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে।

৯. সিসি ক্যামেরা আছে এমন ব্যাংকের সাথে লেনদেন করার চেষ্টা করতে হবে। ব্যাংক থেকে বের হওয়ার পর বুঝার চেষ্টা করতে হবে সন্দেহজনক কেউ আপনাকে অনুসরণ করছে কি-না।

১০. বড় অঙ্কের অর্থ পরিবহনের কাজটি রাতে না করে দিনের বেলায় সম্পন্ন করা যেতে পারে।

১১. এ টি এম বুথের অভ্যন্তরে থাকা কোন গোপন ক্যামেরায় আর্থিক লেনদেনে ব্যবহৃত গোপন নম্বরটি ধারণ করা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

১২. এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফারের কাজটি চেকের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যেতে পারে।

১৩. বড় অঙ্কের টাকা পরিবহনে প্রয়োজনে পুলিশ এস্কর্ট সেবা গ্রহণ করুন।

 বিএইচ

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: ব যবহ র র জন য ড এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

মহান স্বাধীনতা উদযাপনে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে পুরোপুরি প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ইতোমধ্যে সৌধ মিনারসহ পুরো চত্বরের হাঁটার পথ, বেদি, স্থাপনা সেজেছে রঙ-তুলির আঁচড়ে। বাগানগুলোতে শোভা পাচ্ছে রঙ-বেরংয়ের বাহারি ফুল।

বুধবার (২৬ মার্চ) ৫৫তম মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করবে সারা দেশ। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল-সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পালন করা হবে নানা কর্মসূচি। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জাতির যে বীর সন্তানেরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে সমগ্র জাতি। 

এদিন সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টাসহ উপদেষ্টা পরিষদের অন্যান্য সদস্য ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হাজারো মানুষের ঢল নামবে স্মৃতিসৌধে।

স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন উপলক্ষে স্মৃতিসৌধ এলাকায় জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে স্মৃতিসৌধ চত্বরে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করেছে গণপূর্ত বিভাগ। ইটের পথ, শহীদ বেদি ও গণকবর ধোয়ামোছার পর সাদা রঙের শুভ্র আভায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা। বৃক্ষরাজির প্রাঙ্গণ আর সবুজ ঘাসের গালিচা কেটে-ছেঁটে নান্দনিক করে তোলার কাজও শেষ করেছেন গণপূর্তের কর্মচারীরা।

স্মৃতিসৌধ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানান,  ২৬ মার্চ (বুধবার) স্বাধীনতা দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন সর্বস্তরের মানুষ। ফুল, শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন তাঁরা। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের লক্ষে নানাভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে স্মৃতিসৌধ।

গত রবিবার স্মৃতিসৌধ চত্বর ঘুরে দেখা যায়, মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন সাভার গণপূর্ত বিভাগের কর্মীরা। এদের মধ্যে কয়েকজন মিলে সড়কের পাশে ফাঁকা জায়গায় পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘাসের চারা রোপণ করছেন। স্মৃতিসৌধ চত্বর পানি দিয়ে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হচ্ছে, রংতুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে বেদিসংলগ্ন সিঁড়িগুলো। সবুজ ঘাসের গালিচা কেটেছেঁটে নান্দনিক করে তোলা হচ্ছে। পুরোনো ফুলের গাছগুলোকে পরিচর্যা করার পাশাপাশি রোপণ করা হয়েছে নানা জাতের ফুলের গাছ। ভবনের দেয়ালে ঝোলানো হয়েছে বর্ণিল আলোকবাতি। 

স্মৃতিসৌধ চত্বরে ফুলের চারা রোপণ করা আব্দুল মতিন বলেন, “স্মৃতিসৌধে শহীদদের কবর রয়েছে। এটি দেশের স্বাধীনতার স্মৃতি স্তম্ভ। এখানে কাজ করতে আমার কাছে ভালোই লাগে। দীর্ঘদিন ধরে এখানে কাজ করতেছি।”

সবুজ ঘাসের গালিচা কেটেছেঁটে নান্দনিক করার কাজ করা রওশন মিয়া বলেন, “ঘাস কেটে, ফুলের চারা লাগিয়ে স্মৃতিসৌধ সুন্দর করতেছি। এখানে কাজ করতে গর্ব হয়, ভালো লাগে।”

জাতীয় স্মৃতিসৌধের ইনচার্জ সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, “মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে পুরো স্মৃতিসৌধ চত্বর ধুয়ে মুছে পরিষ্কার-পরিপাটি করা হয়েছে। এছাড়া পুরো চত্বরে ফুল দিয়ে সাজানো, রং তুলির কাজ, সিসি ক্যামেরা স্থাপন, আলোকসজ্জা, লেক সংস্কারসহ সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রায় দেড় মাস ধরে চলা এ কার্যক্রমে শতাধিক কর্মী কাজ করেছেন । নিরাপত্তার লক্ষ্যে গত ১৬ মার্চ থেকে স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের প্রবেশ সংরক্ষিত করা হয়েছে। ২৬ মার্চ রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্মৃতিসৌধ সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।” 

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহীনুর কবির বলেন, “মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষে প্রায় ৪ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। সাভার উপজেলার আমিন বাজার থেকে শুরু করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়ককে ১২ টা সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। সেক্টর অনুসারে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। এই পুরো এলাকাটি নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে। ২৬ মার্চ ভোর সাড়ে ৫ টা থেকে সকাল সাড়ে সাতটার মধ্যে এই মহাসড়কে দিয়ে চলাচলকারী গাড়ি না ছাড়ার জন্য পরিবহন মালিকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে। সকাল সাড়ে ৭ টার পর মহাসড়কের এই অংশটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এই সময়ে পরিবহন চালকদের প্রতি বিকল্প সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ থাকবে।”

ঢাকা/সাব্বির/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যমুনা নদীতে বারুণীর স্নানে পুণ্যার্থীর ঢল
  • বেরোবিতে হঠাৎ আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
  • সৌদি আরবে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
  • স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মহানগরী জামায়াতের আলোচনা সভা 
  • মহান স্বাধীনতা দিবসে ‘সীমান্ত গৌরবে’ বিজিবি মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা
  • মহান স্বাধীনতা দিবস আজ
  • জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধান উপদেষ্টার
  • বীর সন্তানদের শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে জাতি
  • বেরোবিতে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
  • মহান স্বাধীনতা উদযাপনে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ