চব্বিশের বিপ্লব এক উন্নত বাংলাদেশ তৈরির সুযোগ সৃষ্টি করেছে: পররাষ্ট্রসচিব
Published: 21st, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
চব্বিশের বিপ্লব একটি উন্নত বাংলাদেশ তৈরির সুযোগ সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
জসীম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালের বিপ্লব এবং তরুণদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সাংস্কৃতিক শোষণসহ সব ধরনের বৈষম্য দূর করার এক অনন্য সুযোগ দিয়েছে। একটি উন্নত বাংলাদেশের সুযোগ সৃষ্টির জন্য এই ঐতিহাসিক দিনে আমি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐক্য, সমান সুযোগ নিশ্চিত করে এবং সব ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয়কে সম্মান করে এই আদর্শগুলোকে সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অন্তর্বর্তী সরকার বহুভাষার প্রচার, বিপন্ন ভাষা সংরক্ষণ এবং ভাষাগত বৈচিত্র্য নিশ্চিত করার পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দিচ্ছে।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এই দিনটি সারা বিশ্বে আমাদের সবার জন্য একটি শুভ মুহূর্ত নিয়ে আসে। প্রতিটি সংস্কৃতিতে পরিচিত এবং অজানা ব্যক্তিদের স্মরণ করার জন্য, পৃথিবীর প্রতিটি কোণে বসবাসকারী প্রতিটি জাতিসত্তা যারা অগণিত উপায়ে অবদান এবং ত্যাগ স্বীকার করেছে এবং তাদের সংস্কৃতিকে রক্ষা ও সমুন্নত রাখার জন্য সংগ্রাম করেছে। একই সময়ে আমাদের জাতীয় পরিচয় নির্বিশেষে, আমরা একটি সার্বজনীন মানবজাতির সদস্য হিসেবে, আমরা এখন যে সাংস্কৃতিকভাবে বৈচিত্র্যময় বিশ্বে বাস করি তার জন্য সেই অজ্ঞাত নায়কদের কাছে চিরকাল ঋণী থাকা উচিত।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকায় নিযুক্ত মরক্কোর রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক কোরের ডিন মজিদ হালিম বলেন, বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপিত হচ্ছে। যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন, আমরা তাদের স্মরণ করি। ভাষা সবাইকে সংযুক্ত করে, তাই প্রতিটি ভাষাকেই রক্ষা করতে হবে।
ইউনেস্কোর কান্ট্রি ডিরেক্টর সুজন ভাইস বলেন, বাংলাদেশ মাতৃভাষা রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। তাই বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়ন। বিশ্বের অন্যান্য ভাষার মতো বাংলা ভাষাও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সব ভাষার বিকাশ প্রত্যাশা করি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক ইকবাল আহমেদ।
এর আগে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি কূটনীতিকরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং প্রভাত ফেরিতে অংশ নেন।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপককে পাঁচ বছরের জন্য অব্যাহতি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মুসতাক আহমেদকে পাঁচ বছরের জন্য একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আর্থিক অনিয়ম, একাডেমিক পরিসরে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৯ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৫৩৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অব্যাহতির পাশাপাশি পরবর্তী পদোন্নতির তারিখ থেকে পাঁচ বছরের জন্য তাঁর পদোন্নতি ও বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। তাঁর কাছে বিভাগের পাওনাদি বিষয়ে পত্র ইস্যু করার ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা পরিশোধ করতে হবে। পাঁচ বছর তিনি অন্য কোথাও চাকরি বা খণ্ডকালীন শিক্ষকতা বা কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না এবং এই পাঁচ বছর সক্রিয় চাকরি হিসেবেও গণ্য করা হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ বিভাগের সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন বিভাগের আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষার বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগ তদন্ত করতে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অর্থ আত্মসাৎ, ছাত্রলীগ নেতাকে ভুয়া প্রত্যয়নপত্র প্রদান, একাডেমিক পরিসরে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক মুসতাক আহমেদের অপসারণ দাবি করেন স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও বিভাগের কার্যালয়ে লিখিতভাবে স্নাতক পর্যায়ের ২০৯ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৯২ শিক্ষার্থী তাঁর অপসারণের দাবির পক্ষে অভিযোগপত্রের সংযুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।