ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশ দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই। বিশেষ করে নাহিদ রানাকে না খেলানোয় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ভারতীয়রা। তবে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিসের কৌতূহল মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে।

৩৯ বছর বয়সী এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ছিলেন না বাংলাদেশ দলে। এ নিয়ে আকরাম-ইউনিস বলেছেন, মাহমুদউল্লাহর মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের দলে রাখলে একাদশেও রাখা উচিত। যদিও তারা যে ভাবনা থেকে এমন মন্তব্য করেছেন, বাস্তবতা ছিল তার উল্টো।

গতকাল রাতে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের পর ‘ডিপি ওয়ার্ল্ড ড্রেসিং রুম’ অনুষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষণে অংশ নেন পাকিস্তান ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলিং জুটি আকরাম ও ইউনিস। ম্যাচের বিভিন্ন পর্যায় ও বিভিন্ন খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে একটা সময় আকরাম বলেন, ‘আমি একটা প্রশ্ন তুলে ধরতে চাই। বাংলাদেশ দলে মাহমুদউল্লাহ আছে। ৩৯ বছর বয়স, ভালো খেলোয়াড়। যদিও সম্প্রতি তাঁকে খেলতে দেখিনি। আজ (বৃহস্পতিবার) তাকে খেলানো হয়নি। আমার মতে সিনিয়র খেলোয়াড়দের যদি স্কোয়াডে নেওয়া হয়, তাহলে ম্যাচেও খেলানো উচিত। নইলে দলে একজন তরুণকে সুযোগ দিলেই হয়।’

আকরামের কথা সমর্থন করে পাকিস্তান দলে তাঁর পেস-বোলিং সঙ্গী ইউনিসও একই মন্তব্য করেন, ‘তরুণ ক্রিকেটাররা দেখিয়েছে, সাদা বলের ক্রিকেট তাদেরই খেলা। মাহমুদউল্লাহর বিষয়ে ঠিকই বলেছেন। একাদশে না রাখা হলে বেঞ্চে রাখার দরকাই নাই।’

আরও পড়ুনহৃদয় বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ, বললেন রমিজ রাজা১ ঘণ্টা আগে

আকরাম-ইউনিসের কথায় বোঝা যায়, মাহমুদউল্লাহকে ফর্ম বা দলের সমন্বয়ের কারণে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে ধরে নিয়েছেন তাঁরা। তবে বিষয়টা তার উল্টো। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর পর বাংলাদেশ দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছিল, দুবাইয়ে প্রথম অনুশীলনেই ডান পায়ের মাংসপেশিতে টান পড়েছিল মাহমুদউল্লাহর। সেই চোট পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেননি বলে ভারতের বিপক্ষে খেলেননি।

ম্যাচের জন্য ফিট হয়ে ওঠার অপেক্ষায় মাহমুদউল্লাহ।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আকর ম ইউন স

এছাড়াও পড়ুন:

বুয়েট নির্দেশিত ব্যাটারি রিকশা নামানোর চিন্তা

রাজধানীর সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম্য ঠেকাতে বিকল্প পথে হাঁটছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) নির্দেশিত নতুন মডেলের ব্যাটারি রিকশা সড়কে নামানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর অভিজাত এলাকায় বিদেশি নাগরিকসহ বাসিন্দাদের নিরাপত্তায় ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের বিকল্প খুঁজতে গুলশান সোসাইটি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃপক্ষ।

সূত্র জানায়, বৈঠকে ডিএসসিসি কর্মকর্তারা বুয়েটের দেওয়া ব্যাটারিচালিত রিকশার একটি মডেল উপস্থাপন করেন। এটি তারা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে সুপারিশসহ জমা দেবেন। মন্ত্রণালয় ডিজাইন ও সুপারিশ অনুমোদন দিলে, এর আলোকে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মডেল অনুসরণ করে রিকশা তৈরি করতে বলা হবে। বুয়েটের সুপারিশে তৈরি রিকশাকে টেকনিক্যাল কমিটির মাধ্যমে সিটি করপোরেশন লাইসেন্স দেবে। লাইসেন্সের বাইরে নগরীতে কোনো রিকশা চলতে দেওয়া হবে না। এটি চালু করার পর ধীরে ধীরে বর্তমানের ব্যাটারিচালিত রিকশা ঢাকা শহর থেকে উঠিয়ে নেওয়া হবে। বুয়েটের নতুন মডেলের রিকশা ডিএনসিসি নয়, ঢাকাসহ সারাদেশে চালানোর সুপারিশ করা হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ সমকালকে বলেন, ‘ঢাকার সড়কে এখন যে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলছে, সেগুলো থাকবে না। বুয়েট আমাদের ব্যাটারিচালিত রিকশার একটি নকশা তৈরি করে দিয়েছে। এটি নিয়ে মঙ্গলবার ব্যাটারিচালিত রিকশা নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছি। বুয়েটের নকশা অনুযায়ী তাদের রিকশা তৈরি করতে বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নতুন মডেলে এখন ব্যাটারিচালিত রিকশায় যে ধরনের হাতে ব্রেক থাকে, তেমন থাকবে না। পায়ে ব্রেক থাকবে। রিকশার গতি নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট মোটর থাকবে। এ মডেলের রিকশা যারা তৈরি করবে, তাদের টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে লাইসেন্স দেওয়া হবে। গুলশান-বনানী নয়, লাইসেন্স ছাড়া নগরীতে কোনো রিকশা চলতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে আমরা চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব।’
ঢাকার গলিপথ ছেড়ে প্রধান সড়কেও অবাধে চলছে ব্যাটারিচালিত এসব অটোরিকশা। কিছুতেই তাদের আটকানো যাচ্ছে না। গত সোমবার বনানী এলাকায় সাধারণ যাত্রী ও মোটরসাইকেল চালকদের ওপর চড়াও হন তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ