সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলন’ রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পাবে। আমি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলবো।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাহাদুরপুর মাদরাসার ৮০তম ফরায়েজী আন্দোলনের মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, অন্যান্য ছোট দলগুলো যদি পায় তাহলে ফরায়েজী আন্দোলন পাবে না কেন? আসুন আমরা ভেদাভেদ ভুলে যাই। সমস্ত মুসলমানকে অন্তরের মধ্যে জায়গা দিই। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকেন। ঐক্যই শক্তি, শক্তিই শান্তি।

ড.

আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, হাজী শরীয়ত উল্লাহর জমানায় ব্রিটিশরা কৃষকদের ওপর জুলুম করতো। কৃষকদের জোর করে নীল চাষ করাতো, আর সেই নীল কম দামে কিনে নিতো তারা। তাতে কৃষকরা মজুরিও পেতো না। সেই জুলুমের বিরুদ্ধে ফরায়েজী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। এই ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন হাজী মোহাম্মদ শরীতউল্লাহ। তিনি এই বাংলার ও উপমহাদেশের প্রথম মুক্তিযোদ্ধা।

তিনি বলেন, আজকের যে বাংলাদেশ, হাজার হাজার মানুষের মাথায় টুপি, মুখে দাড়ি, নামাজের প্রতি আগ্রহী, রোজার প্রতি আগ্রহী এগুলো হাজী শরীয়ত উল্লাহ সাহেবের অবদান, পীর সাহেবের অবদান। সেই ইতিহাস মানুষ ভুলে গেছে। আবার এই ইতিহাসকে আমাদের পুনজ্জীবিত করতে হবে।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, হাজী শরীয়ত উল্লাহর অবদান বর্ণনা করো, ফরায়েজী আন্দোলন সম্পর্কে তোমার অভিমত ব্যক্ত করো—এরকম প্রশ্ন অনার্স-মাস্টার্সে আসতো। নানা কারণে এই জাতীয় প্রশ্নগুলো এখন আর সিলেবাসে নাই। আমরা আশাকরি আগামীতে যিনি আসবেন নতুন সিলেবাসে ফরায়েজী আন্দোলন, হাজী শরীয়ত উল্লাহ ছাহেব (রহ.)-এর জীবনী ও ওনাদের কালজয়ী অবদান সিলেবাসভুক্ত হবে।

এ সময় হাজী শরীয়ত উল্লাহর আস্তানার গদিনসিন পীর আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান, দেশবরেণ্য ওলামায় কেরামগণ, শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রতন শেখ ও ফরায়েজী আন্দোলনের নেতাকর্মীসহ লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ, ঐতিহাসিক ব্রিটিশবিরোধী ফরায়েজী আন্দোলনের নেতা হাজী শরীয়ত উল্লাহর গ্রাম মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাহাদুরপুর মাদ্রাসার মাহফিলে প্রতি বছর লাখো মানুষের জমায়েত ঘটে। ৮০ বছর যাবত এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবত তার অনুসারীদের দাবি কৃষক শ্রমিকদের নিয়ে করা হাজী শরীয়ত উল্লাহর ফরায়েজী আন্দোলনকে রাজনৈতিক দলে ‘বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলন’ নামে রুপান্তরিত করবে। এতদিন ফ্যাসিবাদী সরকার থাকার কারণে এবং ইসলামবিরোধী হওয়ায় নিবন্ধন পাননি তারা। এখন পুনরায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে নিবন্ধনের জন্য দাবি জানিয়েছেন হাজী শরীয়ত উল্লাহর অনুসারীরা।

বিএইচ

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট ফর য় জ অবদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

পঞ্চগড়ে স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে পিটুনির শিকার সেই শিক্ষক কারাগারে

পঞ্চগড়ে প্রাইভেট পড়ানোর সময় স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে আটক করে পিটুনি দেওয়া সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলাটি করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ওই শিক্ষক পঞ্চগড় জেলা শহরে ভাড়া বাসায় থাকেন। তিনি বিবাহিত, তাঁর দুই সন্তান আছে। তাঁর গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার একটি গ্রামে।

ওই শিক্ষকের বিচার দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এইচ এস এম সোহরাওয়ার্দী প্রথম আলোকে বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বুধবার রাতে স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে একটি ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার বেলা দেড়টার দিকে জেলা শহরের ভাড়া বাসার একটি কক্ষে পাঁচ ছাত্রীকে উচ্চতর গণিত পড়াচ্ছিলেন ওই শিক্ষক। প্রাইভেট শেষে চার ছাত্রী চলে গেলেও এক ছাত্রী থেকে যায়। পরে বিষয়টি সন্দেহ হলে স্থানীয় কয়েকজন সেখানে ওই ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষককে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ভিডিও ধারণ করেন। পরে ওই শিক্ষককে আটক করেন এবং মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে তুলে দেন। এ সময় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ লোকজন তাঁকে পিটুনি দিয়ে অটোরিকশায় করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চত্বরে নিয়ে যান। সেখানেও ক্ষুব্ধ লোকজন তাঁকে মারধর করেন। খবর পেয়ে পঞ্চগড় সদর থানা-পুলিশের সদস্যরা এসে তাঁকে আটক করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ