কলাগাছে নির্মিত শহীদ মিনারে ভালোবাসা মাখানো পুষ্পাঞ্জলি
Published: 21st, February 2025 GMT
কেউ ফুল দিচ্ছেন কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের সরকারি গুরুদয়াল কলেজ প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। কেউ ফুল দিচ্ছেন উপজেলা সদরের শহীদ মিনারে। আবার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফুল দিচ্ছে তাদের নিজস্ব স্থায়ী শহীদ মিনারে। কিন্তু গ্রামীণ জনপদের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব কোনো স্থায়ী শহীদ মিনার নেই। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পরম শ্রদ্ধা আর মমতা দিয়ে তৈরি করেছেন কলা গাছের তৈরি শহীদ মিনার।
তিনটি কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে র্যাপিং পেপারে মুড়িয়ে তাতে লাগিয়েছেন জাতীয় পতাকা। আর এই শহীদ মিনারে সকালে ছাত্র-শিক্ষকরা প্রভাব ফেরি করে এসে ফুল দিয়েছেন।
এসময় প্রভাতফেরির সঙ্গে আসা অটোরিকশায় মাইক লাগিয়ে বাজানো হয় অমর সঙ্গীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কী ভুলিতে পারি’। আজ সকালে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের মইশাখালী এলাকার ইত্তেবা স্কুল অ্যান্ড কলেজের চিত্র এটি।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সামছুল হুদা নাঈম জানান, ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি করা হয়। আগে ভাড়া বাড়িতে ছিল। সম্প্রতি নিজস্ব জায়গায় স্থানান্তর করা হয়েছে। সামর্থ্যের অভাবে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার করা হয়নি। ফলে শুরু থেকেই কলা গাছ দিয়ে পরম যত্নে শহীদ মিনার তৈরি করে তাতেই পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে।
তিনি এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। শিক্ষার্থীদেরও একই দাবি, সরকার যেন একটি স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপনের উদ্যোগ নেয় শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদের নামাজে মাইকের শব্দ নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১২
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় ঈদের নামাজ আদায়ের সময় মাইকের শব্দ বাড়ানো-কমানো নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) দুপুরে উপজেলার দহকোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রামে স্থানীয় মাতব্বর আবুল হোসেন কাবুল ও নওয়াব আলীর সমর্থকদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সকালে গ্রামের ঈদগাহে নামাজ আদায়ের সময় মাইকের শব্দ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। পরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ১২ জন আহত হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরো পড়ুন:
বরিশালে প্রধান জামাতে বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের নামাজ আদায়
সাইপ্রাসে প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান জানান, এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়নি। কাউকে আটকও করা যায়নি।
ঢাকা/সোহাগ/বকুল