বাংলাদেশের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫১ ইনিংসে অষ্টম সেঞ্চুরি পেয়েছেন শুভমন গিল। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দুইশ’ রানের ইনিংসও আছে তার। তারপরও আইসিসির ইভেন্টে পাওয়া ক্যারিয়ারের প্রথম এই সেঞ্চুরিকে ‘সবচেয়ে সন্তোষজনক’ ইনিংস অ্যাখ্যা দিয়েছেন ২৫ বছর বয়সী গিল। 

বাংলাদেশের ২২৮ রান তাড়া করে ৬ উইকেটে জিতেছে ভারত। সাদা চোখে মনে হবে, সহজেই জিতেছে দলটি। যদিও মিডল অর্ডারে একটু চাপে পড়েছিলেন শুভমন গিলরা। তবে ভারতীয় ওপেনারের ভাষ্যে, বেশ চাপে ছিলেন তারা। টেকনিক বদলে সামলাতে হয়েছে বাংলাদেশের পেস এবং স্পিন বোলিং। 

ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে এসে ১২৯ বলে ১০১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলা গিল বলেন, ‘আমি ও রোহিত ভাই ব্যাটিংয়ের সময়ই মনে হচ্ছিল, অফ স্টাম্পের বাইরের বল সহজে ব্যাটে আসছে না। পেস বোলারদের ক্ষেত্রেও তাই ওভার দ্য লাইনে গিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি।’

বাংলাদেশের স্পিনাররা আক্রমণে আসতেই গিল এবং বিরাট আবিষ্কার করলেন সামনের পায়ে খেলা যাবে না। সেভাবেই পরিকল্পনা করেন তারা। গিল বলেন, ‘বিরাট ভাই ও আমার কথা হচ্ছিল। আমরা দেখলাম স্পিনারদের বিপক্ষে সামনের পায়ে সিঙ্গেলও পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা তাই পেছনের পায়ে সিঙ্গেল নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।’ 

গিল জানিয়েছেন, উইকেটে সেট হওয়া ড্রেসিংরুম থেকে তাকে ম্যাচ শেষ করে আসার বার্তা দেওয়া হয়েছিল, ‘এক পর্যায়ে আমাদের ওপর চাপ চলে আসে। ড্রেসিংরুম থেকে বলা হয়, আমাকে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করার চেষ্টা করতে হবে। আমি সেটাই করেছি।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ভমন গ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বালু লুট ও সালিশের নামে অন্যায় করতে দেওয়া হবে না: বাবুল

ফরিদপুরের সদরপুরবাসীদের উদ্দেশে কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেছেন, আমি আপনাদের সঙ্গে কমিটমেন্ট করলাম, আমার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আমি আপনাদের পাশে থাকব। বালু লুট, সালিশের নামে টাকা হরিলুট, অন্যায়-অত্যাচার-জুলুম করতে দেওয়া হবে না। আমি এখানে জোর করে আসি নাই, দলের সিদ্ধান্তে এসেছি।

শনিবার বিকেলে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চর বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের জয়বাংলা মাঠে কৃষক দলের আয়োজিত ‘কৃষক সমাবেশে’ এসব কথা বলেন তিনি।

বাবুল বলেন, সদরপুরের সঙ্গে আমার হৃদয়ের সম্পর্ক। সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পাশেই আমার বাড়ি। আমি রাজনীতি করি আটত্রিশ বছর ধরে। অনেক চড়াই উতরাই করে একটা গেরস্ত মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়ে ছাত্রদল করে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আজ এ পর্যন্ত এসেছি।

তিনি বলেন, ১৩৮টি মামলা, রক্ত ঝরাইছি বার বার, কারাগারে গেছি বহুবার। আমি এইখানে বানরের নাচ খেলাইতে আসি নাই।  

সদরপুর উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. ফজলুর রহমান বাবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন। 

তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্তে আমি (ফরিদপুর-৪)আপনাদের হাতে শহিদুল ইসলাম বাবুলকে তুলে দিলাম। তিনি আপনার এলাকায় কাজ করবেন।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বিশেষ অতিথি মহিলা কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইকবাল হোসেন সেলিম, সদরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কাজী বদরুজ্জামান বদু, সদরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক (কমিটি স্থগিত) তরিকুল ইসলাম কবির মোল্যা, সদরপুর উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদ মৃধা, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ