টেকনিক বদলে বাংলাদেশের পেস ও স্পিন সামলাতে হয়েছে, জানালেন গিল
Published: 21st, February 2025 GMT
বাংলাদেশের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫১ ইনিংসে অষ্টম সেঞ্চুরি পেয়েছেন শুভমন গিল। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দুইশ’ রানের ইনিংসও আছে তার। তারপরও আইসিসির ইভেন্টে পাওয়া ক্যারিয়ারের প্রথম এই সেঞ্চুরিকে ‘সবচেয়ে সন্তোষজনক’ ইনিংস অ্যাখ্যা দিয়েছেন ২৫ বছর বয়সী গিল।
বাংলাদেশের ২২৮ রান তাড়া করে ৬ উইকেটে জিতেছে ভারত। সাদা চোখে মনে হবে, সহজেই জিতেছে দলটি। যদিও মিডল অর্ডারে একটু চাপে পড়েছিলেন শুভমন গিলরা। তবে ভারতীয় ওপেনারের ভাষ্যে, বেশ চাপে ছিলেন তারা। টেকনিক বদলে সামলাতে হয়েছে বাংলাদেশের পেস এবং স্পিন বোলিং।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে এসে ১২৯ বলে ১০১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলা গিল বলেন, ‘আমি ও রোহিত ভাই ব্যাটিংয়ের সময়ই মনে হচ্ছিল, অফ স্টাম্পের বাইরের বল সহজে ব্যাটে আসছে না। পেস বোলারদের ক্ষেত্রেও তাই ওভার দ্য লাইনে গিয়ে খেলার চেষ্টা করেছি।’
বাংলাদেশের স্পিনাররা আক্রমণে আসতেই গিল এবং বিরাট আবিষ্কার করলেন সামনের পায়ে খেলা যাবে না। সেভাবেই পরিকল্পনা করেন তারা। গিল বলেন, ‘বিরাট ভাই ও আমার কথা হচ্ছিল। আমরা দেখলাম স্পিনারদের বিপক্ষে সামনের পায়ে সিঙ্গেলও পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা তাই পেছনের পায়ে সিঙ্গেল নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।’
গিল জানিয়েছেন, উইকেটে সেট হওয়া ড্রেসিংরুম থেকে তাকে ম্যাচ শেষ করে আসার বার্তা দেওয়া হয়েছিল, ‘এক পর্যায়ে আমাদের ওপর চাপ চলে আসে। ড্রেসিংরুম থেকে বলা হয়, আমাকে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করার চেষ্টা করতে হবে। আমি সেটাই করেছি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ ভমন গ ল
এছাড়াও পড়ুন:
নানার লাশ দেখতে গিয়ে মারা গেলেন খালা ও ভাগনি
গাজীপুরে বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা সম্পর্কে খালা ও ভাগনি। ঘটনার পর স্থানীয়রা যাত্রীবাহী বাসটিতে অগ্নিসংযোগ করে।
সোমবার সকাল ১০টায় শহরের শিববাড়ি এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন, নরসিংদীর রায়পুরা থানার কালিকাপুর মধ্যপাড়ার রহিদ উদ্দিনের স্ত্রী শিউলি বেগম (৫১) ও তাঁর বোন লিজা বেগমের মেয়ে তাবাসসুম (৫)। তারা সপরিবারে গাজীপুর মহানগরীর নলজানি এলাকায় বাস করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় শিউলি বেগম এবং তাবাসসুম নরসিংদী আত্নীয় বাড়ি যাচ্ছিলেন। সিএনজি শিববাড়ি মোড়ে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি বাস সিএনজিকে চাপা দেয়। এতে সিএনজিটি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সিএনজি চালকসহ আরো দুজন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা সিএনজি চালককে উদ্ধার করে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটি আটক করে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সর্ভিস এসে আগুন নেভায়।
গাজীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘নিহত তাবাসসুমের নানা আজ সকালে মারা যান। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে দুজন অটোরিকশা নিয়ে নরসিংদী যাচ্ছিলেন। পথে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।’’
আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাসটি আটক করা হয়েছে বলে জানান আশরাফুল ইসলাম।
রেজাউল//