রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়াম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। ভাষা শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন তি‌নি।

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক বিবৃ‌তি‌তে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেছেন, “শোক, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার আখরে অক্ষয় হয়ে আছে আমাদের মহান জাতীয় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। তাৎপর্যময় এই দিনে দেশের প্রতিটি নাগরিক এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত বাংলাভাষীদের প্রতিও শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানা‌চ্ছি।”

গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, “বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের পর ৩৫ বছরে কেউই সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনের উদ্যোগ নেননি। আমাদের প্রিয় নেতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮৭ সালের ৮ মার্চ আইন করে সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনের উদ্যোগ নেন।“ এ উপলক্ষে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতি অতল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন তিনি।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “একুশ মানে মাথা নত না করা। একুশ আমাদের সাহসী হতে অনুপ্রাণিত করে। সব অন্যায়-অবিচার আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহস যোগায় অমর একুশে। একুশের অবিনাশী চেতনা শক্তি যুগিয়েছিল আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে। মাতৃভাষার যথার্থ মর্যাদা ও স্বীকৃতির জন্য জীবন দেওয়ার অহঙ্কারের ইতিহাস শুধুই আমাদের। তাই, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে আত্মত্যাগের স্মৃতি বিজড়িত অমর একুশে, আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।”

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

সীতাকুণ্ডে শিবচতুর্দশী মেলা শুরু মঙ্গলবার

শিবচতুর্দশী তিথি উপলক্ষে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ ধাম, ফটিকছড়ির কাঞ্চননাথ ধাম ও কক্সবাজারের মহেশখালীর আদিনাথে তিন দিনের তীর্থযাত্রা আগামী মঙ্গলবার শুরু হবে। একই সঙ্গে তীর্থযাত্রা উপলক্ষে শুরু হবে ১৫ দিনের মেলা। দোলপূর্ণিমার মধ্য দিয়ে এ মেলা শেষ হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তীর্থ পরিচালনাকারী সীতাকুণ্ড স্রাইন (তীর্থ) কমিটির সাধারণ সম্পাদক চন্দন দাশ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি এ তীর্থের মূল তিথি শিবচতুর্দশী। এ দিনেই তীর্থযাত্রীরা শিবরাত্রির ব্রত রেখে মূল তীর্থ করবেন। পরদিন অমাবস্যা তিথিতে মৃত পূর্বপুরুষের জন্য শ্রাদ্ধ করবেন। এবার অন্তত ১০ লাখ ভক্তের সমাগমের আশা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার শিবচতুর্দশী মেলা উপলক্ষে দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ওই সভায় মেলার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে তুলে ধরা হয়। মো. কামরুজ্জামান বলেন, সুষ্ঠু-সুন্দরভাবে যাতে শিবচতুর্দশী মেলা সম্পন্ন হয়, সে লক্ষ্যে সব দপ্তরের দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে।

সভায় সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবুর রহমান বলেন, শিবচতুর্দশী মেলা উপলক্ষে এবার মোট ৬০০ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। মেলায় জনসমাগম গতবারের তুলনায় বেশি হবে ধরে নিয়েই এই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

যেভাবে তীর্থ শুরু হয়

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ ফুট ওপরে পাহাড়ের চূড়ায় চন্দ্রনাথমন্দির। শিবচতুর্দশী তিথিতে তীর্থ করতে আসা যাত্রীদের লক্ষ্য থাকে চন্দ্রনাথমন্দিরে পৌঁছে শিবদর্শন করা। সীতাকুণ্ড পৌর সদরে পৌঁছার পর মন্দির সড়ক হয়ে অর্ধশতাধিক মঠ-মন্দির প্রদক্ষিণ করে সর্বশেষ চন্দ্রনাথমন্দিরে পৌঁছান তীর্থযাত্রীরা। সীতাকুণ্ডে রয়েছে সতীর একান্ন পীঠের একটি ভবানীমন্দির। এ ছাড়া রয়েছে স্বয়ম্ভূনাথমন্দির, ভৈরবমন্দির, সীতামন্দির, জগন্নাথমন্দির ও বিরূপাক্ষমন্দির।

স্রাইন কমিটির সহসম্পাদক সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, পবিত্র ব্যাসকুণ্ডে স্নান করার পর মূল তীর্থ শুরু হয়। অনেকে শুরুতেই ভৈরবমন্দির দর্শন করে চন্দ্রনাথের উদ্দেশে রওনা হন। আবার অনেকে ব্যাসকুণ্ডে মৃত পূর্বপুরুষের আত্মার তৃপ্তির জন্য তর্পণ করেন। এরপর চন্দ্রনাথমন্দিরের উদ্দেশে রওনা দেন। পাহাড়ের দিকে ২০০ ফুট উঠে হাতের ডানে নিচের দিকে তাকালেই সীতামন্দির। সেটি দর্শন করে স্বস্তিক গেট পার হয়ে ডান পাশের সিঁড়ি বেয়ে কিছু দূর উঠলেই ভবানীমন্দির। তার কিছুটা ওপরে স্বয়ম্ভুনাথমন্দির। এ চার মন্দির দর্শন শেষে আরও ওপরে একে একে জগন্নাথমন্দির, বিরূপাক্ষমন্দির ও চন্দ্রনাথমন্দির পাওয়া যাবে।

তীর্থ উন্নয়ন উপকমিটির আহ্বায়ক উত্তম কুমার শর্মা প্রথম আলোকে বলেন, এবার চন্দ্রনাথমন্দিরের প্রবেশপথ ও আঙিনা পাকা করা হয়েছে। চন্দ্রনাথমন্দির থেকে নামার পথে নতুন সিঁড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তার জন্য ১০২টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, চন্দ্রনাথ পাহাড়ে ওঠার পথে অস্থায়ী শৌচাগার নির্মাণ, পথ প্রশস্ত করে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে রেলিং লাগানোসহ নানা সংস্কারকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

প্রতিবছর স্রাইন কমিটির প্রধান কার্যালয় মোহন্ত আস্তান বাড়িতে বৈদিক সম্মেলন ও ঋষি সমাবেশ করা হতো। সম্মেলনে ধর্মীয় বিষয়ে আলোচনা করতেন আগত সন্ন্যাসীরা। আয়োজন করা হতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও। কিন্তু এবার এ অনুষ্ঠানের কিছুটা পরিবর্তন করেছে স্রাইন কমিটি। এবার বৈদিক সম্মেলন হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কমিটির দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা। তবে সম্মেলনস্থলে দূরদূরান্ত থেকে আসা যাত্রীদের থাকা ও প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্রাইন কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, এবার দূরদূরান্ত থেকে আসা তীর্থযাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যে থাকার জন্য যেখানে বৈদিক সম্মেলন হতো, সে স্থানে ছাউনি করা হবে। তীর্থযাত্রীদের থাকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বৈদিক সম্মেলনটি বাদ দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেড় দশক পর গৌরনদীতে ভাষাসৈনিক কাজী গোলাম মাহবুবকে নিয়ে অনুষ্ঠান
  • চাঁদাবাজি কেন সহ্য করব, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: জামায়াত আমির
  • আমরা কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে নই: জামায়াত আমির
  • শহীদ দিবসের ফুল কুড়াতে যাওয়া শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
  • রিয়াদে মহান শহীদ দিবস পালিত
  • ডলারের বিকল্প ভাবলে ব্রিকসকে ১৫০ শতাংশ শুল্কের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
  • সীতাকুণ্ডে শিবচতুর্দশী মেলা শুরু মঙ্গলবার
  • রাষ্ট্রভাষার উন্নয়নে নবজাগরণ দরকার
  • বাংলাদেশ হউক বহুপক্ষীয়