‘এরশাদ ছাড়া কেউ সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনের উদ্যোগ নেননি’
Published: 21st, February 2025 GMT
রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়াম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। ভাষা শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন তিনি।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেছেন, “শোক, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার আখরে অক্ষয় হয়ে আছে আমাদের মহান জাতীয় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। তাৎপর্যময় এই দিনে দেশের প্রতিটি নাগরিক এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত বাংলাভাষীদের প্রতিও শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, “বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের পর ৩৫ বছরে কেউই সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনের উদ্যোগ নেননি। আমাদের প্রিয় নেতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮৭ সালের ৮ মার্চ আইন করে সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনের উদ্যোগ নেন।“ এ উপলক্ষে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতি অতল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন তিনি।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “একুশ মানে মাথা নত না করা। একুশ আমাদের সাহসী হতে অনুপ্রাণিত করে। সব অন্যায়-অবিচার আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহস যোগায় অমর একুশে। একুশের অবিনাশী চেতনা শক্তি যুগিয়েছিল আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে। মাতৃভাষার যথার্থ মর্যাদা ও স্বীকৃতির জন্য জীবন দেওয়ার অহঙ্কারের ইতিহাস শুধুই আমাদের। তাই, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে আত্মত্যাগের স্মৃতি বিজড়িত অমর একুশে, আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কলকাতায় ঈদের নামাজের আগে স্বাধীন ফিলিস্তিনির দাবিতে মিছিল
সারা ভারতসহ পশ্চিমবঙ্গে পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদের জামাতে সামিল হন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় কলকাতার রেড রোডে। নামাজে ইমামতি করে কাজি ফজলুর রহমান। লাখো মুসল্লি এতে অংশ নেন। এছাড়াও নাখোদা মসজিদ, টিপু সুলতান মসজিদ, পার্ক সার্কাস, ময়দান, খিদিরপুরসহ রাজ্যের অসংখ্য মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষেই একে অপরকে আলিঙ্গন, কুশল বিনিময় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
তবে ঈদের নামাজ শুরুর আগেই স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দাবি করে কলকাতায় সংহতি মিছিলে অংশ নেন মুসল্লিরা। হাতে ব্যানার এবং স্লোগানে স্লোগানে মুখর ছিল মিছিলটি। বিশাল মিছিল নিয়ে কলকাতার রেড রোডে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা। বড়দের পাশাপাশি অনেক বাচ্চারাও সেই মিছিলে শামিল হয়।
ওই মিছিলে অংশগ্রহণকারী শেখ আমির নামে এক মুসুল্লি জানান, ‘আজকে আমাদের খুশির দিন, আনন্দের দিন। কিন্তু ফিলিস্তিনে আমাদের ভাই-বোনেদের সঙ্গে যে অন্যায় হচ্ছে তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তারাও যেন শান্তিতে থাকতে পারেন। আমরা যেভাবে পরিবারের সঙ্গে ঈদ পালন করছি, ঠিক সেভাবে তারাও যেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ পালন করতে পারেন। আমি যেমন আমার বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে এসে নামাজ আদায় করছি, ঠিক তারাও যেমন এ রকম করতে পারেন। কিন্তু তাদের সঙ্গে অত্যাচার এবং জুলুম হচ্ছে। নিরপরাধ বাচ্চাদের হত্যা করা হচ্ছে সেটা কি অপরাধ নয়? ইসরায়েলের উচিত ওই বাচ্চাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করা। ইসরায়েলের আক্রমণে যেসব বাচ্চারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি।’
পরে রেড রোডের ঈদের নামাজে অংশ নেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খান, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও মমতার ভাতিজা অভিষেক ব্যানার্জি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা প্রমুখ।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ঈদ পালিত হচ্ছে দিল্লি, লখনৌ, হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই, জম্মু-কাশ্মীর, ভোপাল, পাটনাসহ দেশের প্রতিটি শহরে। দিল্লির জামা মসজিদে হাজার হাজার মুসল্লি নামাজে অংশ নেন।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের নাগপুরে দুইটি গোষ্ঠীর সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে ঈদ উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল নাগপুর, মুম্বাইসহ মহারাষ্ট্রের বড় শহরগুলোতে। নাশকতা এড়াতে দিল্লিসহ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ শহরেই ছিল পুলিশের কড়া নজরদারি।
এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও এই মসজিদে নামাজ আদায় করেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতেও দেখা যায়।