বইমেলায় রক্তিম রাজিবের ‘বোবা পাখির পালক’
Published: 21st, February 2025 GMT
অমর একুশে বইমেলায় চন্দ্রবিন্দু প্রকাশন প্রকাশ করেছে রক্তিম রাজিবের বয়ানের বই ‘বোবা পাখির পালক’।
রক্তিম রাজিব বলেন, ‘‘বয়ান গদ্যীয় ঢঙে প্রাবন্ধিক ভাবের কবিতা।’’ বইটিতে উপস্থাপন করা হয়েছে— দৃশ্যের আড়ালে যে অস্পষ্টতা লুকিয়ে থাকে, প্রতিটি বাস্তবতার গভীরে থাকে যে অনিবার্য দ্বন্দ্ব, যা আমাদের উপলব্ধি ও ব্যাখ্যার সীমানাকে প্রতিনিয়তই প্রশ্নবিদ্ধ করে যায়.
বইটির প্রচ্ছদ করেছেন আল নোমান। এটির মূল্য রাখা হয়েছে ২৬০ টাকা। একুশে বইমেলায় বইটি পাওয়া যাবে ৭০১ এবং ৭০২ নম্বর স্টলে।
আরো পড়ুন:
বইমেলায় রক্তিম রাজিবের ‘বোবা পাখির পালক’
অনার্য বছরজুড়ে বই প্রকাশ করে : সফিক রহমান
রক্তিম রাজিব ছোটকাগজ অর্বাক-এর সহযোগী সম্পাদক এবং হারপুনের সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ অর্থ কী
মহানবীকে স্মরণ করার সময় আমরা বলি, ‘সল্লাল্লাহু আলাই ওয়া সাল্লাম’, বাংলায় সংক্ষেপে যা ‘(সা.)’ দিয়ে বোঝানো হয়। ‘সল্লাল্লাহু’ আরবি দুটি শব্দের সমষ্টি। একটি হলো ‘সল্লা’, আরেকটি ‘আল্লাহু’। প্রথম সাধারণ অতীতবাচক ক্রিয়া, যার মূল শব্দটি হলো ‘সালাত’। ‘সল্লাল্লাহু’ মানে ‘আল্লাহ সালাত পড়ুন’।
যেমন, কোরআনে আছে, আল্লাহ-তায়ালা বলেছেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা রাসুলের প্রতি সালাত পড়েন। ইমানদারগণ, তোমরাও তার প্রতি সালাত পড়ো এবং অধিক পরিমাণে সালাম বলো।’ (সুরা আহজাব, আয়াত: ৫৬)
‘সালাত’ শব্দের অনেক রকমের অর্থ আছে। ব্যবহার ভেদে এর অর্থ বিভিন্ন রকমের হয়। আমরা যে নামাজ পড়ি, তাকেও বলে সালাত। আবুল আলিয়া বলেন, মহানবীর (সা.) প্রতি আল্লাহর ‘সালাত’ হলো ফেরেশতাদের সামনে নবীজির (সা.) প্রশংসা করা। আর ফেরেশতাদের ‘সালাত’ মানে প্রার্থনা করা। (সংশ্লিষ্ট আয়াতের তাফসির, ইমাম বুখারি, কিতাবুত তফসির)
আরও পড়ুনকেন দরুদ পাঠ করব১৫ মার্চ ২০২৫আর ‘আলাইহি’ শব্দের অর্থ ‘তার ওপর’। এবং ‘ওয়া সাল্লাম’ মানে এবং ‘তিনি শান্তি দিন’। সালাম মানে শান্তি। সুতরাং ‘সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ মানে আল্লাহ মুহাম্মাদের ওপর সালাত পড়ুন এবং শান্তি বর্ষণ করুন।
ফাতহুল বারিতে গ্রন্থকার ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) বলেন, এটাই সর্বোত্তম মত। নবীর (সা.) প্রতি আল্লাহর সালাতের অর্থ হবে, তার প্রশংসা করা এবং তাকে সম্মান জানানো। আর ফেরেশতা ও অন্যান্যদের সালাতের অর্থ হবে, আল্লাহর কাছে তার প্রশংসা ও সম্মান কামনা করা। অর্থাৎ, সম্মান ও প্রশংসা বৃদ্ধির কামনা করা। (ইমাম কাস্তালানি, আল-মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যা, ৩/৩১৯)
সাইয়েদ কুতুব (রহ.) বলেন, ‘নবীজির (সা.) প্রতি আল্লাহর সালাত’-এর অর্থ হলো, সুউচ্চ সভায় তাঁর প্রশস্তি বর্ণনা করা। আর ফেরেশতাদের সালাত হলো, আল্লাহর কাছে তার জন্য প্রার্থনা করা। তার মর্যাদা কত মহান। সৃষ্টির মধ্যে আল্লাহ কেবল তার নবীর (সা.) প্রশংসা করেন বারবার। যার আলোয় এই জগতের সব উদ্ভাসিত হয়, যার প্রত্যাশায় প্রতিটি বস্তু সাড়া দেয়, তিনি প্রশংসা করেন। নিশ্চয় তার প্রশংসা চিরন্তন ও অনন্ত। আল্লাহ তাআলা চান নিজের সালাম-সালাতের সঙ্গে মুমিনদের সালাত-সালামকে মিলিয়ে তাদের সম্মানিত করতে। (সুরা আহজাবের ৫৬ নম্বর আয়াতের তাফসির, তাফসিরে ফি জিলালিল কোরআন)
আরও পড়ুনদরুদ পড়ার ফজিলত১৫ জানুয়ারি ২০২৫