ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ
Published: 21st, February 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের পেটুয়াজুরি এলাকার বেলাল (৩৮) ও ইছাপুরা ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের জীবন আলী (১৭)। তাঁরা বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতা জানান, কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপিসহ অঙ্গ–সহযোগী সংগঠন দুই ভাগে বিভক্ত। এর প্রভাব জেলার সব উপজেলা বিএনপিসহ অঙ্গ–সহযোগী সংগঠনের ওপর পড়েছে। এ কারণে কয়েক বছর ধরে দলটির সদস্যরা পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় বিএনপির একটি পক্ষের নেতা-কর্মীরা জমির দস্তগীরকে বিজয়নগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও ইমাম হোসেনকে সদস্যসচিব মনে করেন। আরেকটি পক্ষের নেতা-কর্মীরা মহসিন ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক ও শাহালম মিয়াকে সদস্যসচিব হিসেবে অনুসরণ করে। গতকাল রাত ১২টার পর উপজেলা পরিষদের শহীদ মিনারে প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। পরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা শহীদ মিনারের দিকে এগিয়ে যান। জমির দস্তগীর ও ইমাম হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলা বিএনপিসহ অঙ্গ–সহযোগী সংগঠনের একপক্ষ এবং মহসিন ভূঁইয়া ও শাহালম মিয়ার নেতৃত্বে বিএনপিসহ অঙ্গ–সহযোগী সংগঠনের আরেক পক্ষ একই সঙ্গে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে এগিয়ে যান। আগে কোন পক্ষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে, তা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে ধারালো খুরের আঘাতে বেলাল ও জীবন আহত হন।
এ বিষয়ে জানতে ইমাম হোসেন ও মহসিন ভূঁইয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব জয়নগর ব এনপ র স গঠন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে বিএনপির ২ পক্ষের হাতাহাতি, আহত ২
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দুইজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহীদ মিনারে ঘটনাটি ঘটে। বিজয়নগর থানার ওসি মো. রওশন আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন- উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের পেটুয়াজুরি এলাকার সাজু মিয়ার ছেলে মো. বেলাল (৩৮) ও ইছাপুরা ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের মহরম আলীর ছেলে জীবন আলী (১৭)। তারা বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি রয়েছেন।
আরো পড়ুন:
বাগেরহাটে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষে আহত নেতার মৃত্যু
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় কুয়েট প্রশাসনের মামলা
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, উপজেলায় বিএনপির দুইটি পক্ষ রয়েছে। এক পক্ষে আছেন জমির দস্তগীর ও ইমাম হোসেন। অপর পক্ষে রয়েছেন মহসিন ভূইয়া ও শাহালম মিয়া। একুশের প্রথম প্রহরে উপজেলা পরিষদের ভেতরের শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা। এরপর বিএনপি শহীদ মিনারে ফুল দিতে যায়। আগে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে দলটির দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দুইজন আহত হন।
জমির ও ইমাম হোসেন এবং মহসিন ভূইয়া ও শাহালম মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি।
ইছাপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনাম খাঁ বলেন, “শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত যে ঘটনাটি ঘটেছে তার জন্য আমরা খুবই দুঃখিত এবং মর্মাহত। এই ঘটনার জন্য দায়ী তারা যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার জন্য বিএনপির মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছেন এবং তাদের দাওয়াত দিয়ে শহীদ মিনারে এনেছেন। এই আওয়ামী লীগের লোকগুলােই সুযোগ পেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও দেখে প্রত্যেক আওয়ামী লীগের সদস্যকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানাচ্ছি।”
এ বিষেয়ে জানতে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরার মোবাইলে কল করা হয়। তিনিও কল রিসিভ করেননি।
বিজয়নগর থানার ওসি মো. রওশন আলী বলেন, “শহীদ মিনারে ফুল আগে পরে দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটে। দুইজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/মাইনুদ্দীন/মাসুদ