লেস্টার সিটি থেকে ধারে চ্যাম্পিয়নশিপের ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছেন হামজা চৌধুরী। শীতকালীন দলবদলের মৌসুমে শেফিল্ডে যোগ দেওয়া হামজা ক্লাবের অন্যদের চেয়ে বেশি বেতন পান। 

মার্চে বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা হামজা বছরে শেফিল্ড থেকে ২৬ লাখ পাউন্ড বেতন পাবেন। টাকার হিসেবে যা প্রায় ৩৯ কোটি ৮০ লাখ। 

অবশ্য হামজার সঙ্গে প্রাথমিকভাবে শেফিল্ডের চুক্তি হয়েছে চলতি মৌসুমের শেষ পর্যন্ত। ওই হিসেবে আপাতত আগামী জুন পর্যন্ত ওই হারে বেতন পাবেন তিনি। 

শেফিল্ড ইউনাইটেড চ্যাম্পিয়নশিপের টেবিলে দুইয়ে আছে। অর্থাৎ আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে খেলার ভালো সম্ভাবনা আছে তাদের। চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়নও হতে পারে ক্লাবটি। হামজার সঙ্গে ধারের মেয়াদ শেষ হলে শেফিল্ড বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই মিডফিল্ডারের সঙ্গে স্থায়ী চুক্তিও করতে চায়। 

শেফিল্ডে হামজার পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতন পান ডিফেন্ডার রব হোল্ডিং। তিনি বার্ষিক ২৩ লাখ ৪০ হাজার পাউন্ড বা ৩৫ কোটি ৮১ লাখ টাকার মতো বেতন পান। তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৫ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড বা প্রায় ২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বেতন পান আনেল আহমেদহোডজিক, মিডফিল্ডার গুস্তাভো হার্মার, টম ডেভিস ও ভিনিসিয়াস সৌজা।    

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ার কাছে রেকর্ড রানও নিরাপদ নয়!

ওয়ানডে ক্রিকেটে তারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। কেন তারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তারই আরেকটি প্রমাণ মিলল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মঞ্চে। ইংল্যান্ডকে স্রেফ নাকানিচুবানি খাইয়ে দোর্দণ্ড প্রতাপে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির যাত্রা শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া।

লাহোরে দুই দলই ইতিহাসের পাতায় নিজেদের জড়িয়ে নিয়েছে। ইংল্যান্ড আগে ব্যাটিং করে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় রান ৩৫১ জমা করে। এই রানও অস্ট্রেলিয়ার কাছে নিরাপদ নয়। পাল্টা জবাব দিয়ে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ জিতেছে ৫ উইকেটে, ১৫ বল হাতে রেখে।

ইংলিশ ওপেনার বেন ডাকেট চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান করেছিলেন প্রথম ইনিংসে। ১৬৫ রানের ইনিংস খেলেন। তার দেড়শ’র জবাব সেঞ্চুরিতে দিয়েছেন জশ ইংলিস। তাতেই অস্ট্রেলিয়ার বিজয়ের রূপকথা লিখা হয়ে যায়।

আরো পড়ুন:

সাকিবসহ ১০৪ ক্রিকেটারের দলবদল সম্পন্ন, আগামীকাল করবেন তামিম

পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের কোনো উত্তাপ টের পাচ্ছে না ভারত!

অজি দলে নিয়মিত একাধিক ক্রিকেটার নেই। কামিন্স, স্টার্ক, মার্শ, হ্যাজেলউড, স্টয়নিসকে ছাড়া অস্ট্রেলিয়া দলটি কেমন হবে তা নিয়ে চিন্তায় ছিল সমর্থকরা। কিন্তু স্কোয়াডের গভীরতা যে এতোটা বেশি তা কেউ ভাবতে পেরেছিল?

তার ওপরে ট্র্যাভিস হেড (৬), অধিনায়ক স্মিথ (৫) ও মার্নাস লাবুসানে (৪৭) ফেরার পর সাড়ে তিনশর বেশি রান তাড়া করা যাবে এমন ভাবনার লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল ছিল। কিন্তু পাঁচে নামা জশ ইংলিস সব হিসেব পাল্টে দিলেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন অ্যালেক্স ক্যারি। দুজন মিলে পঞ্চম উইকেটে ১১৬ বলে ১৪৬ রানের জুটি গড়েন।

ক্যারি ফিফটি ছুঁয়ে ৬৯ রানে ফিরে গেলে ইংলিস তুলে নেন ওয়ানডে ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরি। তাতে লিখা হয়ে অনবদ্য এক বিজয়ের গল্প। ৮৬ বলে ৮ চার ও ৬ ছক্কায় ইংলিস তার ইনিংসটি সাজান। এছাড়া ম্যাক্সওয়েল ১৫ বলে ৩২ রান করেন ৪ চার ও ২ ছক্কায়।

এর আগে বেন ডাকেটের একক ব্যাটিং প্রদর্শনীতে রানের পাহাড়ে চড়ে ইংল্যান্ড। ওপেনিংয়ে নেমে ৪৮তম ওভার পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন। প্রায় পৌনে চার ঘণ্টার ইনিংসে ১৭ চার ও ৩ ছক্কা হাঁকিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৬৫ রানের ইনিংস খেলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন জো রুট। ১৫৫ বলে ১৫৮ রান যোগ করেন দুজন। রুট ৭৮ বলে ৬৮ রান করে ফিরে গেলেও ডাকেট তুলে নেন ওয়ানডে ক্রিকেটের তৃতীয় সেঞ্চুরি।

এই দুই ব্যাটসম্যান বাদে বিশের ঘর পেরিয়েছেন কেবল জস বাটলার ও জোফরা আর্চার। বাটলার ২১ বলে ২৩ ও আর্চার ১০ বলে ২১ রান করেন। শেষ দিকে আর্চারের অতি গুরুত্বপূর্ণ রানের সুবাদে ইংল্যান্ডের রান সাড়ে তিনশ পেরিয়ে যায়।

ইনিংসের শুরুতে অ্যালেক্স ক্যারি দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে আলো কেড়ে নেন। বেন  ডোয়ার্শুইসের বলে মিড অনে ক্যাচ দিয়েছিলেন। সেখানে ক্যারি ডানদিকে ঝাঁপিয়ে এক হাতে অসাধারণ দক্ষতায় বল তালুবন্দি করেন।

অস্ট্রেলিয়ার বোলিংয়ে তেমন ঝাঁজ ছিল না। ডোয়ার্শুইস ৬৬ রানে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন অ্যাডাম জাম্পা ও মার্নাস লাবুসানে।

প্রথমে রেকর্ড রান গড়া। সেই রান তাড়া করে জয়। দুই ইনিংসে দুটি অনবদ্য সেঞ্চুরি। সব মিলিয়ে বলা যায় ওয়ানডে ক্রিকেট দারুণ একটি দিন কাটাল। আর ক্রিকেটপ্রেমীরাও সেটা মনভরে উপভোগ করলো।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ