শেফিল্ডে সবচেয়ে বেশি বেতন এখন হামজার
Published: 21st, February 2025 GMT
লেস্টার সিটি থেকে ধারে চ্যাম্পিয়নশিপের ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছেন হামজা চৌধুরী। শীতকালীন দলবদলের মৌসুমে শেফিল্ডে যোগ দেওয়া হামজা ক্লাবের অন্যদের চেয়ে বেশি বেতন পান।
মার্চে বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা হামজা বছরে শেফিল্ড থেকে ২৬ লাখ পাউন্ড বেতন পাবেন। টাকার হিসেবে যা প্রায় ৩৯ কোটি ৮০ লাখ।
অবশ্য হামজার সঙ্গে প্রাথমিকভাবে শেফিল্ডের চুক্তি হয়েছে চলতি মৌসুমের শেষ পর্যন্ত। ওই হিসেবে আপাতত আগামী জুন পর্যন্ত ওই হারে বেতন পাবেন তিনি।
শেফিল্ড ইউনাইটেড চ্যাম্পিয়নশিপের টেবিলে দুইয়ে আছে। অর্থাৎ আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে খেলার ভালো সম্ভাবনা আছে তাদের। চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়নও হতে পারে ক্লাবটি। হামজার সঙ্গে ধারের মেয়াদ শেষ হলে শেফিল্ড বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই মিডফিল্ডারের সঙ্গে স্থায়ী চুক্তিও করতে চায়।
শেফিল্ডে হামজার পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতন পান ডিফেন্ডার রব হোল্ডিং। তিনি বার্ষিক ২৩ লাখ ৪০ হাজার পাউন্ড বা ৩৫ কোটি ৮১ লাখ টাকার মতো বেতন পান। তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৫ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড বা প্রায় ২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বেতন পান আনেল আহমেদহোডজিক, মিডফিল্ডার গুস্তাভো হার্মার, টম ডেভিস ও ভিনিসিয়াস সৌজা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
লোকের পেছনে অনেক তেল মেরেছি আর না: অর্জুন
ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তী। মৌসুমী চ্যাটার্জি, মুনমুন সেন, দেবশ্রী রায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে জুটি বেঁধে পর্দা কাঁপিয়েছেন। যদিও প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি, তাপস পাল কিংবা চিরঞ্জিতের সঙ্গে নায়কের দৌড়ে পেরে উঠেননি। তবে সহনায়ক কিংবা চরিত্রাভিনেতা হিসেবে মুঠো মুঠো ভালোবাসা কুড়িয়েছেন অর্জুন।
পরিচালক গুলজারের সহকারী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন অর্জুন। কিন্তু কলকাতায় ফিরে হয়ে যান পুরোদস্তুর অভিনেতা। যদিও পরবর্তীতে সুচিত্রা ভট্টাচার্যের কাহিনি নিয়ে ‘টলিলাইটস’ সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন অর্জুন। কিন্তু এখন না অভিনয়, না নির্মাণ কোথাও দেখা নেই অর্জুন চক্রবর্তীর। কেন নেই সেই প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা।
ক্ষোভ প্রকাশ করে অর্জুন চক্রবর্তী বলেন, “এক সময় লোকের পেছনে অনেক তেল মেরেছি। কিন্তু আমার চোখেমুখে সেই তেল ফুটে উঠত। এই বয়সেও অভিনয়ের সুযোগ পেতে এখনকার পরিচালকদের তেল দিতে হবে! আবার সিনেমা পরিচালনা করতে গেলে নিত্যনতুন প্রযোজকদের তেল দিতে হবে। এখন এই বয়সে নিজেকে প্রমাণ করার আর কিছু নেই। তবু আমাদের ইন্ডাস্ট্রির এমনই অবস্থা। আর আমি ভীষণ অলস। এসব করার ইচ্ছা আর নেই।”
অভিনয়ে বা নির্মাণে না থাকার কারণ ব্যাখ্যা করে অর্জুন চক্রবর্তী বলেন, “এখনো মানুষ আমার ভুল ধরে। ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক রকমের অভিজ্ঞতা হয়েছে। সিনেমা কবে বানাব, তা আর ঠিক করিনি। লেখা চিত্রনাট্য অনেক পড়ে আছে। কিন্তু প্রযোজক পাচ্ছি না। আমার কাছে এত তেলের ভাণ্ডার নেই যে, সবাইকে তেল দেব। তাই আমাকে পর্দায় কম দেখছেন। এতদিন যা কাজ করেছি, আর কোনো কাজ না করলেও চলবে।”
১৯৮৩ সালে হিন্দি ভাষার ‘জারা সি জিন্দেগী’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন অর্জুন। বলিউডের এই সিনেমায় কমল হাসানের মতো তারকাদের সহশিল্পী হিসেবে পান। তিন বছর বিরতি নিয়ে বলিউডের ‘অঙ্কুশ’ সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন অর্জুন। ১৯৮৯ সালে মৃণাল সেন নির্মিত ‘এক দিন আচানক’ সিনেমায় অভিনয় করেন। একই বছর ‘প্রণামী তোমায়’ দিয়ে ভারতীয় বাংলা সিনেমায় পা রাখেন। এরপর অনেক সিনেমায় দেখা গেছে তাকে।
ঢাকা/শান্ত