জুলাইয়ে বিয়ে করছেন কোরীয় কমেডি জুটি কিম জুন হো ও কিম জি মিন। শুক্রবার হাতে লেখা একটি চিরকুট ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে কিম জি মিন লিখেছেন, ‘আমরা একসঙ্গে জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জুলাইয়ে বিয়ের পরিকল্পনা করেছি।’
২০২২ সালের এপ্রিলে দুজনের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছিলেন এই জুটি। এসবিএসের ভ্যারাইটি শো ‘মাই লিটল ওল্ড বয়’সহ বেশ কয়েকটি শোতে একসঙ্গে দেখা গেছে এই জুটিকে।
গত বছরের ডিসেম্বরে এই শোয়ের শুটিংয়ের ফাঁকে কিম জি মিনকে বিয়ের প্রস্তাব দেন কিম জুন হো। কিম জি মিন তাতে সম্মতি দেন। কিম জি মিন বলেন, ‘আমরা দারুণ আনন্দে দিনগুলো কাটিয়েছি। আমাদের সমর্থন দেওয়ার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
আরও পড়ুনবিয়ে করছেন দুই কোরীয় তারকা৩০ মার্চ ২০২৪কিম জি মিনের ভাষ্যে, কমেডি জুটি হিসেবে বিয়ের আয়োজনেও মজার কিছু থাকবে।
১৯৯৬ সালে কমেডিয়ান হিসেবে অভিষেক ঘটেছে কিম জুন হোর, ২০০৬ সাল থেকে কমেডি করছেন কিম জি মিন। কমেডি শো ‘গ্যাগ কনসার্ট’–এ দেখা গেছে দুজনকে।
এর আগে ২০০৬ সালে এক মঞ্চ অভিনেত্রীকে বিয়ে করেছিলেন কিম জুন হো। ২০১৮ সালে বিচ্ছেদ ঘটেছে। বর্তমানে কিমকে ‘ডলসিং ফোরম্যান’–শোতে দেখা যাচ্ছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যানসারের চিকিৎসায় অর্থের অপচয় চান না, তাই স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা করলেন ব্যবসায়ী
ভারতের দিল্লির কাছে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে এক আবাসন ব্যবসায়ী স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেন এবং পরে আত্মহত্যা করেন। গতকাল বুধবার এ ঘটনা ঘটেছে।
কুলদীপ ত্যাগী (৪৬) নামের ওই ব্যবসায়ী একটি সুইসাইড নোট রেখে গেছেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, তাঁর ক্যানসার ধরা পড়েছে। আর তিনি চান না, তাঁর চিকিৎসায় অর্থ অপচয় হোক। কারণ, সুস্থ হওয়াটা পুরোপুরি অনিশ্চিত।
ওই সুইসাইড নোটে আরও লেখা ছিল, তিনি স্ত্রী অনশু ত্যাগীকে হত্যা করেছেন। কারণ, তাঁরা একসঙ্গে থাকার শপথ করেছিলেন। এ দম্পতি দুই ছেলেসন্তান ও কুলদীপের বাবার (অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা) সঙ্গে বসবাস করতেন।
পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, কুলদীপ তাঁর স্ত্রীকে একটি লাইসেন্স করা রিভলভার দিয়ে গুলি করে হত্যা করেন এবং তারপর তিনি নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। গতকাল স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে রাজনগর এক্সটেনশনের রাধাকুঞ্জ সোসাইটিতে এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার সময় তাঁদের দুই ছেলে বাড়িতে ছিলেন। গুলির শব্দ শোনার পর তাঁরা দৌড়ে তাঁদের মা–বাবার কক্ষে যান। কুলদীপের মরদেহ মেঝেতে পাওয়া যায় এবং অনশুর মরদেহ বিছানায় ছিল। দুজনকে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
ওই কক্ষে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। নোটে লেখা ছিল: ‘আমি ক্যানসারে আক্রান্ত। আমার পরিবার তা জানে না। আমি চাই না চিকিৎসায় অর্থ অপচয় হোক। কারণ, বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনিশ্চিত। আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে যাচ্ছি। কারণ, আমরা চিরকাল একসঙ্গে থাকার শপথ নিয়েছিলাম। এটি আমার সিদ্ধান্ত। কেউ, বিশেষ করে আমার সন্তানেরা দায়ী নয়।’
পুলিশ রিভলবারটি জব্দ করেছে এবং মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা পুনম মিশ্র বলেন, ‘কুলদীপ ত্যাগী তাঁর স্ত্রীর এবং তারপর নিজের ওপর লাইসেন্স করা রিভলভার দিয়ে গুলি চালিয়েছেন। একটি সুইসাইড নোটে কুলদীপ ত্যাগী বলেছেন, তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত এবং তাঁর পরিবার তা জানে না। তিনি চান না তাঁর চিকিৎসায় অর্থ খরচ করা হোক। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তিনি স্ত্রী ও নিজেকে হত্যা করবেন। আমরা এই বিষয়টি তদন্ত করছি।’