সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদের বিপদ-আপদ
Published: 21st, February 2025 GMT
কোনো জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বহুত্বকে একটি আধিপত্যশীল সংস্কৃতির অধীনে আনার চেষ্টা কিংবা একটি ভাবাদর্শের নামে কোনো সাংস্কৃতিক চর্চাকে আক্রমণ করা, বিরত রাখা এবং ওই জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে কাটছাঁট করে একটি কল্পিত শুদ্ধ সংস্কৃতি নির্মাণের ধারণাই সাংস্কৃতিক একান্তবাদ। এর উদ্ভব হয়তো বিশুদ্ধ সংস্কৃতির ধারণা থেকে। কিন্তু বিশুদ্ধ ভাষার ধারণার মতো সাংস্কৃতিক বিশুদ্ধতার কল্পনাও একটি মিথ। নানা দেশের ফ্যাসিস্ট সরকার বা গোষ্ঠী এই মিথকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে। কাজেই সাংস্কৃতিক একান্তবাদ একটি রাজনৈতিক প্রকল্প। সুনির্দিষ্ট করে বললে, একটি ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক প্রকল্প।
বিশুদ্ধ সংস্কৃতি বলে কিছু হতে পারে না। এমনকি জাতিসংস্কৃতিও বিশুদ্ধ নয়। জাতিসংস্কৃতি বলতে সাধারণত কোনো জাতিগোষ্ঠীর কতিপয় সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যকেই কেবল মোটাদাগে চিহ্নিত করা হয়। এই বৈশিষ্ট্যগুলো যেমন সমাজের নানা তলে ভিন্ন ভিন্ন রকম, তেমনি দেখা যাবে, স্থান-কালভেদে ওই সংস্কৃতির ভেতর তৈরি হচ্ছে বিচিত্র গড়ন। যে বস্তুগত উপাদান ও কর্মকাণ্ড দিয়ে সংস্কৃতির একেকটি নকশা বা ছক তৈরি হয়, তার ভেতর যেমন ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির উপাদান যুক্ত থাকে, তেমনি ওই সব উপাদান ছড়িয়ে যায় অন্যান্য সংস্কৃতির ভেতর। সংস্কৃতির এই বুনন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
বাংলাদেশ কেবল এক জাতির দেশ নয়। এ দেশের সংস্কৃতিকে জাতিসংস্কৃতির ভেতর আঁটানো অসম্ভব। আমাদের সংস্কৃতির প্রধান উপাদানগুলো—যেমন ভাষা, সাহিত্য, কৃষি—কেবল একটি জাতির সৃষ্টি ও উদ্ভাবন নয়। এ দেশের সংস্কৃতির পরিবেশনাগত ও বস্তুগত উপাদান, যেমন সংগীত, লোকাচার, লোক-উৎসব, লোকশিল্প ইত্যাদিতে নানা জাতির মানুষের অবদান আছে। এগুলোর সঙ্গে যুক্ত আছেন নানা জাতি, ধর্ম ও বিশ্বাসের মানুষ। এসব কর্মকাণ্ড ও সাংস্কৃতিক উপাদানকে কেবল একটি ভাবাদর্শ দিয়ে কাটছাঁট করতে গেলে সেই ভাবাদর্শ এক নিরঙ্কুশ ফ্যাসিজমের জন্ম দেবে।
আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষের ভাষা বাংলা, কিন্তু অন্য অনেক ভাষার মানুষও এ দেশে বাস করেন। প্রতিটি ভাষারই আলাদা সাংস্কৃতিক তাৎপর্য আছে, প্রতিটি ভাষাই ধারণ করে আলাদা একেকটি জগৎ। এই বিচিত্র পরিপ্রেক্ষিতকে কোনো একান্তবাদী ধারণা দিয়ে ফ্রেমবন্দী করার চেষ্টা জবরদস্তিমূলক। অন্যদিক থেকে, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এ দেশের মানুষের যে দার্শনিক চিন্তা, বিশ্বাস ও বোধকে প্রকাশ করে, তাকে একান্তবাদের ফ্রেমে বাঁধতে যাওয়া মানে খোলা আকাশকে নীল রিবন দিয়ে মোড়ানোর চেষ্টা।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে আছে নানা জাতি, ধর্ম ও গোষ্ঠীর মানুষের অবদান। যে প্রাকৃত ভাষায় সরহ, কাহ্ন কিংবা ভুসুকুপা চর্যাপদ ও ‘দোহাকোষ’ লিখেছেন, তা থেকে বাংলা ভাষার উদ্ভবে বৌদ্ধ সহজিয়াদের তত্ত্বীয় বাহাস-বিতর্ক ও চিন্তার দ্বন্দ্ব বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। প্রথম বাংলা গদ্য লিখেছেন বৌদ্ধ সহজিয়ারা এবং তাঁরা ‘চম্পুকাব্য’ লিখেছেন বাংলা গদ্য-পদ্য মিলিয়ে। বাংলার চৈতন্যভক্তরা সংস্কৃত ভাষায় না লিখে বইপত্র লিখেছেন বাংলা ভাষায়। যদিও তখনকার দিনে তাঁদের ধর্মতত্ত্ব সম্বন্ধীয় বইপুস্তক সংস্কৃততে লেখাই ছিল নিয়ম। বাংলায় লেখার কারণে বৈষ্ণব সহজিয়াদের গৌড়ীয় গোস্বামীদের কোপানলে পড়তে হয়েছে। বাংলায় লিখেছেন বলে কৃষ্ণদাস কবিরাজের লেখা শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত বইটি যমুনা নদীতে ফেলে দিয়েছিলেন শ্রীজীব গোস্বামী। তথাপি সহজিয়া বৈষ্ণবেরা বাংলাতেই লিখেছেন। তাঁরা কাব্য, দর্শনতত্ত্ব ও চরিতাখ্যান লিখে বাংলা ভাষার এক বিস্তৃত ভাবজগৎ নির্মাণ করেন।
বাংলা ভাষায় লেখার জন্য এ দেশের সুফি কবি ও সুফিসাধকদেরও সামাজিক লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে। আরবি-ফারসিতে না লিখে বাংলায় লেখার কারণে তাঁরা গোঁড়া মুসলমানদের তোপের মুখে পড়েছেন। সেই ষোলো-সতেরো শতকেও তাঁদের বিরুদ্ধে ভাষা ব্যবহারে হিন্দুয়ানির অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু তাঁরা স্থানীয় ধর্ম ও দর্শনের পরিভাষা ব্যবহার করেই সুফিতত্ত্ব প্রচার করেন এবং বাংলায় লেখার যুক্তি তুলে ধরেন। সেই সময় সুফিরা জোরালোভাবে বাংলায় লেখার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন এবং আমরা দেখতে পাই, কবি আবদুল হাকিম বিরোধী পক্ষকে ‘সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি’ বলে ধিক্কার দিয়েছেন।
এটা স্পষ্ট যে সংস্কৃতি দিয়েই নির্ধারিত হয় কোনো একটা জনগোষ্ঠীর চিন্তার জগৎ। কাজেই সংস্কৃতির মতো চিন্তার বিশুদ্ধতা বলেও কিছু থাকতে পারে না, যেমনটা আমরা দেখি সুফিতত্ত্ব ও সুফিসংস্কৃতির ক্ষেত্রে। আরব ও পারসিক সুফি ধারাগুলো ভারতবর্ষ হয়ে বাংলায় প্রবেশ করে তেরো-চৌদ্দ শতকে। এর কয়েক শ বছরের মধ্যে এসব ধারার সঙ্গে স্থানীয় দর্শন ও সংস্কৃতির একটা নিবিড় সংযোগ তৈরি হয়। ষোলো ও সতেরো শতকে লেখা সুফিসাহিত্যের বইগুলো পড়লে বোঝা যায়, বাংলার সুফিসাধক ও সুফি কবিদের মধ্যে জাত-ধর্ম নিয়ে পরিচয়বাদী কোনো ভেদজ্ঞান কাজ করেনি। তাঁরা স্থানীয় বিভিন্ন সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীর চিন্তা প্রকাশের পরিভাষা ও সাধনপদ্ধতি গ্রহণ করেছেন। তাঁরা সুফিতত্ত্ব প্রচার করতে গিয়ে সাংখ্য, তন্ত্র, যোগ, বৌদ্ধসহ নানা সম্প্রদায়ের তত্ত্বীয় পরিভাষা নির্দ্বিধায় ব্যবহার করেন। পরমার্থ লাভের জন্য যোগপদ্ধতি অনুসরণেও তাঁদের কোনো সমস্যা হয়নি। এর প্রমাণ পাওয়া যায় চট্টগ্রামে পাওয়া যোগ-কলন্দর বইয়ে।
ফ্যাসিস্ট ভাবাদর্শ ও একান্তবাদী সাংস্কৃতিক প্রকল্প তার একান্তবাদ দিয়ে শুধু যে শত্রু-মিত্র চিহ্নিত করে তাই না, পাশাপাশি এর মাধ্যমে জনগণের ভবিষ্যৎ আচরণকেও নিয়ন্ত্রণ করা হয়।সুফি কবি মীর সৈয়দ সুলতান নিরাকার পরম সত্তাকে বোঝাতে বৌদ্ধ ‘নিরঞ্জন’ কিংবা সাংখ্য ‘পুরুষ’ কথাটি ব্যবহার করেন। কবি হাজী মুহাম্মদ তাঁর নূরজামাল তথা সুরতনামা বইয়ে লেখেন ‘যেই আল্লা সেই খোদা গোসাঞি তার নাম।’ সুফি কবি আলী রজা ওরফে কানু ফকির তাঁর এক কবিতার ভণিতায় লেখেন, ‘শিশু আলী রজা ভণে শ্যাম কালিকা দাস।’ সেই সময় অনেক মুসলমান কবিই বৈষ্ণব কবিতা লিখেছেন। যতীন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য বাংলার বৈষ্ণব-ভাবাপন্ন মুসলমান কবি বইয়ে এমন শতাধিক কবির কবিতা সংকলিত করেন। সতেরো শতকের বাংলায় বৈষ্ণব সহজিয়া এবং সুফিতত্ত্বের পরিভাষা ও ভাবাদর্শ এতটাই কাছাকাছি ছিল যে ১৬২৫ সালে লেখা অকিঞ্চন দাসের বিবর্ত বিলাস বইটি উনিশ শতকে মুদ্রিত হয় ‘বৈষ্ণব ও ফকিরি সম্প্রদায়ীদিগের ধর্ম্ম ও নিগূঢ় তত্ত্বাবলী’ উপশিরোনাম দিয়ে।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বৌদ্ধ, বৈষ্ণব ও সুফিদের মতো জৈন, নৈয়ায়িক, নাথপন্থী ও বাউলদেরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। জৈন প্রাকৃতের সঙ্গে বাংলা প্রাকৃতের মিল কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়। একইভাবে আমরা মিল পাই জৈন লিপির সঙ্গে বাংলা লিপির। দৈনন্দিন কথাবার্তায় আমরা যুক্তিতর্কের যে পরিভাষা ব্যবহার করি, তাতে আছে ন্যায়শাস্ত্রীদের ব্যবহৃত পরিভাষা। বাংলা অঞ্চলের বহু পুরোনো কৃষি সমাজে উদ্ভূত দেহাত্মবাদী চিন্তা এখনো টিকে আছে এ দেশের সুফি-সন্ত ও বাউল-ফকিরদের তত্ত্বচিন্তায়। ভাষা-সাহিত্য ও দর্শনের মতো এ দেশের লোকপ্রযুক্তি, লোকশিল্প, সংগীত, নৃত্য, নাট্য, লোকক্রীড়া এবং খাদ্যাভ্যাসেও যুক্ত হয়েছে নানা ধর্ম ও জাতির মানুষের জ্ঞান ও সৃষ্টিশীল প্রজ্ঞা।
এমন একটি বহুত্ববাদী এবং সমন্বয়ী সংস্কৃতির ওপর যদি একটি একান্তবাদী ভাবাদর্শ চাপিয়ে দেওয়া হয়, তবে সেই ভাবাদর্শ এ দেশের জন্য নিশ্চয়ই বড় একটা আপদ হয়ে উঠবে। আমরা চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের আগে দেখেছি, সংস্কৃতির ক্ষেত্রে একটি কট্টর সেক্যুলার ন্যারেটিভ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে; এবং এটা করা হয়েছে ‘অসাম্প্রদায়িকতা’র নামে। নানা রকম অনুষ্ঠান, উৎসব, ঘোষিত-অঘোষিত আদেশ-নির্দেশ, আইন ও বিধিবিধান দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের একটি একমাত্রিক ন্যারেটিভ তৈরি করা হয়েছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে এ দেশের বহু মানুষকে সব সময় প্রমাণ দিতে হয়েছে যে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক। একটি একান্তবাদী সংস্কৃতির মাপকাঠি দিয়ে ফ্যাসিস্ট শাসক তার শত্রু-মিত্র চিহ্নিত করেছে।
আমরা দেখতে পাচ্ছি, গণ-অভ্যুত্থানের পর ভিন্ন এক ধরনের সাংস্কৃতিক একান্তবাদের রাজনৈতিক প্রকল্প চালু হয়েছে। সুফিসাধকদের দরগা, মাজার শরিফ আর ওরস অনুষ্ঠানে হামলা হচ্ছে, আক্রমণ হচ্ছে বাউলগানের অনুষ্ঠানে কিংবা হুমকি দিয়ে এসব অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি বইপুস্তক, খেলাধুলা, বসন্ত উৎসব ও নাট্যোৎসবও তাদের সেন্সরশিপের আওতায় পড়ছে। ইসলামপন্থী কোনো কোনো রাজনৈতিক দল প্রকাশ্যে বলছে, ইসলামি ভাবাদর্শবিরুদ্ধ হওয়ায় তারা এগুলো বন্ধ করতে বলেছে। এটা সন্দেহাতীত যে হামলা ও প্রতিরোধের সব ঘটনাই ঘটছে কোনো না কোনো রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায়। এতে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষজনকে যুক্ত করা হচ্ছে তাদের ধর্মীয় আবেগ কাজে লাগিয়ে। আশঙ্কার বিষয় হলো, এ রকম এক বা একাধিক গোষ্ঠী বা দলের হাতে যদি বাংলাদেশের সার্বভৌম ক্ষমতা ন্যস্ত হয়, তারা কি সাংস্কৃতিক একান্তবাদ প্রতিষ্ঠায় ভাষা–পুলিশ, সাহিত্য–পুলিশ, উৎসব–পুলিশ ইত্যাদি গঠন করবে?
ফ্যাসিস্ট ভাবাদর্শ ও একান্তবাদী সাংস্কৃতিক প্রকল্প তার একান্তবাদ দিয়ে শুধু যে শত্রু-মিত্র চিহ্নিত করে তা–ই নয়, পাশাপাশি এর মাধ্যমে জনগণের ভবিষ্যৎ আচরণকেও নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আধিপত্যবাদী ভাবাদর্শ এমনভাবে কাজ করে যে শাসক নির্দেশ না দিলেও তার মিত্ররা বুঝতে পারে, কোন পরিস্থিতিতে তাদের কী করতে হবে। তারা বুঝতে পারে, কোনো নাগরিক ঠিক কোন কাজ করলে বা কী লিখলে তাদের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে হবে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রেজিমে আমরা এমন হাজারো মামলা হতে দেখেছি। ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের ক্ষেত্রেও এর মিত্রদের কেন্দ্রীয় কোনো নির্দেশ বা আদেশ দিতে হচ্ছে না। ‘তৌহিদী জনতা’ আগে থেকেই জানে, কোন উৎসবগুলো বন্ধ করতে হবে, কোন লেখকের বই বিক্রি ঠেকাতে হবে কিংবা কোন প্রতিষ্ঠানগুলো ভাঙতে হবে।
ধর্মভিত্তিক সাংস্কৃতিক একান্তবাদ সব সময় ফ্যাসিবাদের সহযোগী। এ ক্ষেত্রে মনুবাদ-হিন্দুত্ববাদের সঙ্গে ‘তৌহিদী’ নামধারী উগ্রবাদের কোনো ফারাক নেই। সাংস্কৃতিক একান্তবাদীরা সব সময় এমন একটা সমাজের স্বপ্ন দেখে, যে সমাজে মানুষের আচরণ হবে সুনির্দিষ্ট ও অনুমানযোগ্য। সেখানে আগে থেকেই বলা যাবে, কোন পরিস্থিতিতে, কখন এবং কোথায় সে কী করবে। এমন একটা সমাজ ফ্যাসিবাদের উর্বর ভূমি, কারণ তারা ভাবাদর্শিক দিক থেকে একেকটি প্রস্তুত রেজিমেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং সেখানে ফ্যাসিস্ট ক্ষমতা সংহত করা যেমন সহজ, তেমনি তাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করাও খুব সহজ।
কট্টর সেক্যুলারবাদ যেভাবে রাজনৈতিক ইসলামকে একটি একান্তবাদী সংস্কৃতির স্বপ্ন দেখিয়েছে, একইভাবে ইসলামপন্থীদের সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদ নিঃসন্দেহে কট্টর সেক্যুলারদের শক্তিশালী করবে। খুব শিগগির যদি এই সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদকে ঠেকানো না যায়, বাংলাদেশ অচিরেই হয়তো একটি বড় রকমের সাংস্কৃতিক সংঘাতের মধ্যে পড়বে। সে ক্ষেত্রে অসাম্প্রদায়িক ও পরমতসহিষ্ণু বাংলাদেশ গড়ার লড়াই দীর্ঘতর হবে।
রায়হান রাইন: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক; কথাসাহিত্যিক।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত ক প রকল প চ হ ন ত কর র জন ত ক প স ফ তত ত ব ভ ব দর শ এ অন ষ ঠ ন র পর ভ ত র এক পর ভ ষ উপ দ ন ক জ কর ন একট সহজ য় ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
টস জিতে বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়া
হাইভোল্টেজ ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেছে ইংল্যান্ড। চোটজর্জর বিশ্বচ্যাম্পিয়নদেরও কঠিন প্রতিপক্ষ মনে করছে ইংলিশরা।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) লাহারের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছেন অসি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। অর্থাৎ আগে ব্যাটিং করছে ইংল্যান্ড।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ
ম্যাথিউ শর্ট, ট্রাভিস হেড, স্টিভ স্মিথ (অধিনায়ক), মার্নাস লাবুশেন, জশ ইংলিস (উইকেটকিপার), অ্যালেক্স কেরে, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, বেন ওয়ারশুইস, নাথান এলিস, অ্যাডাম জাম্পা, স্পেন্সার জনসন।
ইংল্যান্ড একাদশ
ফিল সল্ট, বেন ডাকেট, জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), জো রুট, হ্যারি ব্রুক, জস বাটলার (অধিনায়ক), লিয়াম লিভিংস্টোন, ব্রাইডন কার্স, জোফরা আর্চার, আদিল রশিদ, মার্ক উড।
বিএইচ