বিমানবন্দর থেকে ৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
Published: 21st, February 2025 GMT
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক ৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে দেশটির সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা (একেপিএস)। দেশটির স্থানীয় সময় বুধবার তাদের ফেরত পাঠানো হয়।
এর আগে বিমানবন্দরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার কারণে ৬৮ বিদেশিকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ৪৫ জন বাংলাদেশি ছিলেন।
এক বিবৃতিতে একেপিএস জানায়, আটকরা মূলত পর্যটক হিসেবে প্রবেশের দাবি করলেও তারা ইমিগ্রেশন কাউন্টারের দিকে এগোননি। বরং বিমানবন্দরের খাবারের দোকান ও অন্যান্য জায়গায় ঘোরাফেরা করছিলেন। তাদের দেখে বিশেষ কারও জন্য অপেক্ষা করছিলেন বলে সন্দেহ হয়।
একেপিএস জানায়, আটক ৬৮ জনের মধ্যে ১৬ জন পাকিস্তানি, ৪৫ জন বাংলাদেশি ও সাতজন ভারতীয় নাগরিক। পরে তাদের কেএলআইএ ইমিগ্রেশন অপারেশন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের অনুমতি না দিয়ে নোটিশ টু লিভ (এনটিএল) দেওয়া হয়।
সংস্থাটি আরও জানায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সর্বোচ্চ সংখ্যক এনটিএল রেকর্ড করা হয়। ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেএলআইএরের নজরদারি দল দুই হাজার ৬৫৪ বিদেশিকে পরীক্ষা করেছে, যার মধ্যে ৯০০ জন প্রকৃত পর্যটক না হওয়ায় তাদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘দায় ও দরদের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করবে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’
একটি সুস্থ ধারার মেধা ও মনন এবং দায় ও দরদের রাজনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ যাত্রা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য আত্মপ্রকাশ করা সংগঠনের সদস্য সচিব জাহিদ আহসান।
শনিবার (১ মার্চ) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রায়েরবাজারে কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত হয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের কবর জিয়ারত করে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেছে ছাত্র সংগঠনটি। জিয়ারত শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ আহসান বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে একটি শূন্যতা তৈরি হয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর গত ৫৪ বছরে বাংলাদেশে কোন সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি হয়নি। বরং ছাত্র রাজনীতির নামে ক্যাম্পাসগুলোতে ট্যাগিং কালচার, মাদার পার্টির এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য পুরো ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করে রাখার প্রচেষ্টা দেখেছি। এজন্য একটি সুস্থ ধারার মেধা ও মনন এবং দায় ও দরদের রাজনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ যাত্রা শুরু করেছে।”
আরো পড়ুন:
ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পরিচিতি সভা
রাজধানীর লোকাল বাসে মারধরের শিকার ঢাবি শিক্ষক
জুলাই গণঅভ্যুত্থান নতুন ছাত্র সংগঠনের শক্তি ও ভিত্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা মোহাম্মদপুর রায়েরবাজার জুলাই-আগস্টে শহীদ পরিবার ও যাদের পরিবার তাদের লাশ খুঁজে পায়নি, এমন ব্যক্তিদের কবর জিয়ারত করেছি। এ গণঅভ্যুত্থান বাদ দিয়ে বাংলাদেশে আগামীতে কোন রাজনীতি হবে না।"
তিনি আরো বলেন, “মানুষ যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিল, সেই আশা-আকাঙ্ক্ষাই হবে বাংলাদেশের রাজনীতির মূল ভিত্তি। শহীদদের পাশে দাঁড়িয়ে আমরা প্রতিজ্ঞা করছি, যে দায় ও দরদের জন্য তারা জীবন দিয়েছেন, আমরা তা ধারণ করব। আমরা ভুল করলে শুধরে দেবেন, ভালো করলে বাহবা দেবেন।”
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও তারুণ্যের স্বপ্ন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ভিত্তি। আমাদের শহীদ ভাই ও সহযোদ্ধারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাসিনার পতন ঘটিয়েছে। একটি গণঅভ্যুত্থানের দুটি শর্ত থাকে। বিদ্যমান ব্যবস্থা উপড়ে ফেলা এবং নতুন বন্দোবস্ত হাজির করা। আমরা প্রথম দায়িত্ব পালন করেছি। এখন আমাদের দায়িত্ব হলো নতুন বন্দোবস্ত হাজির করা।”
তিনি বলেন, “ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তি, দাসত্ব ও জিম্মি করে রাখার যে সংস্কৃতি ছিল, তা উপড়ে নতুন ব্যবস্থা হাজির করতে চায়। ছাত্রদের ব্যবহার করে যেভাবে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে রাখছে, তা আমরা উপড়ে ফেলতে চাই।”
অন্যদের মাঝে আরো বক্তব্য দেন সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব মহির আলম, মুখ্য সংগঠক হাসিব আল ইসলাম প্রমুখ।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী