Risingbd:
2025-04-02@09:46:37 GMT

কুমিল্লায় শহীদ মিনারে ভাঙচুর

Published: 21st, February 2025 GMT

কুমিল্লায় শহীদ মিনারে ভাঙচুর

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার একটি কলেজের শহীদ মিনার ভেঙে ফেলেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে উপজেলার গুণবতী ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে থাকা শহীদ মিনারটির তিনটি স্তম্ভের মধ্যে দুটি ভেঙে ফেলে তারা।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। 

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে শিক্ষকরা এবং পরে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা কলেজ চত্বরে অবস্থিত শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। রাত সাড়ে ১২টার দিকে সবাই ক্যাম্পাস থেকে চলে যান। রাত ২টার দিকে বিকট শব্দ পেয়ে কলেজের নৈশপ্রহরী শহীদ মিনারের কাছে যান। তিনি দেখতে পান, শহীদ মিনারের তিনটি স্তম্ভের মধ্যে দুটি ভেঙে ফেলেছে সন্ত্রাসীরা।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ ৩ জনের নামে মামলা

বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় জেলেকে সাগরে নিক্ষেপ, আটক ৬

শুক্রবার দুপুরে গুণবতী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল লতিফ বলেন, ‍“শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার পর আমরা চলে যাই। গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা এ কাজ করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কারা ঘটনা ঘটিয়েছে তা বলতে পারছি না।”

চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় এখনই কারা শহীদ মিনার ভেঙেছে তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। স্থানীয় লোকজন এ কাজের সঙ্গে জড়িত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পৃথিবীর চারপাশে নতুন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে পৃথিবীর চারপাশে ভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের সন্ধান করছিলেন বিজ্ঞানীরা। অবশেষে লুকানো সেই বৈদ্যুতিক শক্তির খোঁজ পাওয়ার দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার একদল বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, নতুন ধরনের এই বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র পৃথিবীর ওপরের বায়ুমণ্ডল জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। শান্ত কিন্তু শক্তিশালী এই বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র পৃথিবীর ওপরের বায়ুমণ্ডলকে প্রভাবিত করতে সক্ষম। পৃথিবীর বায়ু ও মহাকাশের সংযোগে প্রধান ভূমিকা পালনও করে থাকে এই শক্তি। নাসার এনডুরেন্স মিশনের মাধ্যমে এই ক্ষেত্রের খোঁজ মিলেছে।

পৃথিবীর অনেক ওপরে বায়ুমণ্ডল ধীরে ধীরে পাতলা হতে শুরু করে, এর ফলে সেখানে পরমাণু চার্জযুক্ত কণা ভেঙে হালকা ইলেকট্রন ও ভারী আয়নে পরিণত হয়। সাধারণভাবে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আয়নকে নিচে টেনে নিয়ে আসে আর ইলেকট্রন হালকা বলে ওপরে ভেসে থাকে। কিন্তু বৈদ্যুতিক চার্জ আলাদা থাকতে চায় না। ইলেকট্রন পালাতে শুরু করলে তার সঙ্গে আয়নকে একসঙ্গে ধরে রাখার জন্য একটি বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি হয়। এই ক্ষেত্র আয়নকে ওপরে ঠেলে দেয় আর ইলেকট্রনকে ধীর করে দেয়। এই ভারসাম্যকে বিজ্ঞানীরা অ্যাম্বিপোলার বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র বলেন। এটি একটি অদৃশ্য টানাটানির মতো কাজ করে। চার্জকে আলাদা হওয়া থেকে রক্ষা করে। পৃথিবী থেকে ২৫০ থেকে ৭৭০ কিলোমিটার ওপরে এই ক্ষেত্রের উপস্থিতি দেখা যায়। এর প্রভাব সূক্ষ্ম, কিন্তু বেশ শক্তিশালী।

নতুন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের বিষয়ে নাসার বিজ্ঞানী গ্লিন কলিনসন বলেন, অ্যাম্বিপোলার ক্ষেত্র কণাকে উত্তপ্ত করার পরিবর্তে শান্তভাবে কণাকে ওপরে নিয়ে যায়, যেখানে অন্যান্য শক্তি সেগুলোকে আরও ওপরের মহাকাশে নিয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা দেখছেন, এই ক্ষেত্র হাইড্রোজেন আয়নকে সুপারসনিক গতিতে পৃথিবী থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী। মাধ্যাকর্ষণের ঊর্ধ্বমুখী শক্তির চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী এই শক্তি।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবাহিত চার্জযুক্ত কণার তথ্য জানতে ২০২২ সালের ১১ মে একটি রকেট উৎক্ষেপণ করেছিল নাসার এনডুরেন্স মিশন। রকেটটি পৃথিবীর ওপরে ৭৬৮ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছানোর আগে বায়ুমণ্ডলের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে। সেসব তথ্য পর্যালোচনা করেই নতুন ধরনের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

সূত্র: আর্থ ডটকম

সম্পর্কিত নিবন্ধ