টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে ৩৫ রানে নেই ৫ উইকেট। টস জিতে ‘নিজের পায়ে কুড়াল মারা’ সিদ্ধান্ত মনে হওয়া স্বাভাবিক। যদিও ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচে দেখা গেছে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করা আরও কঠিন ছিল। 

বিপর্যয়ে দাঁড়িয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করা তাওহীদ হৃদয়ও জানিয়েছেন, টস জিতে ব্যাটিংয়ে কোন ভুল ছিল না, ‘আমরা টস জিতলে ব্যাটিং করবো, এ বিষয়ে পরিষ্কার ছিলাম।’ 

ওই বিপর্যয়ে দাঁড়িয়ে হৃদয়ের সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটি করেন সাতে ব্যাট করতে নামা জাকের আলী। তারা ১৫৪ রানের জুটি গড়েন। তাদের দু’জনের প্রশংসা করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। 

ম্যাচ শেষে সম্প্রচার স্বর্ত পাওয়া টিভি চ্যানেলকে রোহিত বলেন, ‘হৃদয় ও জাকেরকে কৃতিত্ব দিতে হবে। তারা দারুণভাবে ইনিংসটা মেরামত করেছেন।’ 

তবে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে মোহাম্মদ শামি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ তিন স্পিনার নিয়ে খেললে আরও কঠিন হতে পারত ভারতের রান তাড়া করা।

৫ উইকেট নেওয়া পেসার বলেন, ‘আমরা তিন স্পিনার নিয়ে খেলেছি। তারা দু’জন স্পিনার রেখেছিল। এখানে সম্ভবত আমরা একটু এগিয়ে গেছি। তাদের তিন স্পিনার থাকলে রান তাড়া আরেকটু কঠিন হতে পারত। তবে এটা আমাদের কম্বিনেশন। ওটা তাদের।’  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: টস জ ত

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্নীতি-দুঃশাসনমুক্ত দেশ গঠনে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে: শফিকুর রহমান

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘ঈদুল ফিতরের দিন কয়েকটি শহীদ পরিবারের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের স্বজনদের খোঁজ-খবর নিয়েছি। জানতে চেয়েছি, জাতির কাছে তাঁদের প্রত্যাশা কী? তাঁরা খুনিদের বিচার চেয়েছেন, আর তাঁদের স্বজনেরা যে দেশের জন্য জীবনদান করেছেন, সেই দেশ চেয়েছেন। শহীদ পরিবারের প্রত্যাশা অনুযায়ী, দুর্নীতি-দুঃশাসনমুক্ত দেশ গঠনে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে। আমরা মানবিক বাংলাদেশ চাই।’

মঙ্গলবার বিকেলে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌর শহরের ডাকবাংলো মাঠে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াতে ইসলামীর কুলাউড়া উপজেলা কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে শফিকুর রহমানের বাড়ি।

আওয়ামী লীগ সরকারের নানা অপকর্মের কথা উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, তারা ২৬ লাখ কোটি টাকা দেশ থেকে লুট করে বিদেশে সরিয়ে নিয়ে গেছে। তারা নিজেদের দেশের মালিক আর জনগণকে প্রজা মনে করত।

অতীতের প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিবেশের কথা উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, ‘দুঃশাসন-জুলুমের কারণে গত ২৪ বছর এখানে এসে সালাম দিতে পারিনি। আওয়ামী লীগ সরকার আমাকে যুদ্ধাপরাধের মামলায় জড়াতে নানাভাবে চেষ্টা করেছিল। কেউ মিথ্যা অভিযোগ, সাক্ষ্য দিতে চাননি। আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন সে চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন।’

একাত্তর সালে নিজের বয়স সাড়ে ১২ বছর ছিল উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘এ বয়সে কি মানুষ খুন করা যায়? এটা বিশ্বাসযোগ্য? তখন জামায়াতে ইসলামী বা ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করতাম না। অন্য একটি সংগঠনের খুদে সমর্থক ছিলাম। এখন এ সংগঠনের নাম বলতেও লজ্জা লাগে।’

সুনীতি-সুবিচারের বাংলাদেশ গঠনে সবার দোয়া, ভালোবাসা, পরামর্শ ও সমালোচনা প্রত্যাশা করেন করেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। বিকেল চারটার দিকে কুলাউড়া পৌর শহরের ডাকবাংলো মাঠে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির আবদুল মুন্তাজিম। সেক্রেটারি বেলাল আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সংগঠনটির সিলেট মহানগরের আমির মো. ফখরুল ইসলাম, সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, খেলাফত আন্দোলনের মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা আবদুল কুদ্দছ, মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. ইয়ামির আলী, ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা আবদুর রহমান প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ