সামুদ্রিক মাছ কি আসলেই মানুষের চেহারা চিনতে পারে
Published: 21st, February 2025 GMT
সামুদ্রিক মাছ মানুষের চেহারা আলাদা করে চিনতে পারে কি না, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা করছেন জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট অব অ্যানিমেল বিহেভিয়ারের (এমপিআই-এবি) একদল বিজ্ঞানী। তাঁদের তথ্যমতে, সামুদ্রিক মাছ মানুষের মধ্যে পার্থক্য শনাক্ত করতে পারে। আর তাই বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নির্দিষ্ট ডুবুরিদের চিনতে পারে।
বিজ্ঞানী মেলান টোমাসেক জানিয়েছেন, কেউ কখনো আসলে জানার চেষ্টা করেননি সামুদ্রিক মাছের মানুষের চেহারা শনাক্ত করার কোনো ক্ষমতা আছে কি না বা প্রকৃতপক্ষে তারা মানুষ চিনতে পারে কি না। আমরা পানির নিচের জগতে প্রবেশ করার পর জানতে পেরেছি, এসব মাছ আমাদের চিনতে পারে। সামুদ্রিক মাছ স্বতন্ত্রভাবে মানুষকে চিনতে পারে। তারা নির্দিষ্ট ডুবুরিদের অনুসরণ করে। মাছ জানে, কে তাদের পুরস্কৃত করবে। বায়োলজি লেটার্সে এই গবেষণা নিয়ে একটি জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা ভূমধ্যসাগরের আট মিটার পানির নিচে গবেষণা পরিচালনা করেন। সেখানে সামুদ্রিক মাছ বিজ্ঞানীদের উপস্থিতিতে বেশ অভ্যস্ত বলা যায়। গবেষণার সময় প্রথমে মাছ কোনো ডুবুরিকে অনুসরণ করে কি না, তা জানার চেষ্টা করা হয়। দেখা যায়, মাছগুলো ধীরে ধীরে ডুবুরিদের চিনতে পেরেছে।
বিজ্ঞানীদের আশপাশে থাকা কয়েক ডজন মাছের প্রজাতির মধ্যে দুটি প্রজাতির মাছের ওপর এ গবেষণা চালানো হয়, যার মধ্যে ‘ব্রিম’ প্রজাতির মাছ বেশি সাড়া দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী ক্যাটিংকা সোলের বলেন, ‘আমি সমুদ্রে নামার সঙ্গে সঙ্গে মাছেরা আমার দিকে সাঁতার কেটে আসতে থাকে। আমি পিঠে দুটি চকচকে রুপালি আঁশের একটি মাছের নাম দিই ‘বার্নি’ আর আরেকটি মাছের নাম দিই ‘আলফি’, যার লেজের পাখনা একটু ছেঁড়া ছিল।’
গবেষণার তথ্যমতে, ১২ দিনের প্রশিক্ষণের পর প্রায় ২০টি মাছ নিয়মিত বিজ্ঞানী সোলারকে অনুসরণ করেছে। পরে বিজ্ঞানী সোলার অন্য বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সমুদ্র নামেন। তখন দেখা যায়, বিজ্ঞানী সোলারকে যেসব মাছ চিনত, সেগুলো সবই তার কাছাকাছি অবস্থান করছে।
সূত্র: ফিজিস ডট অর্গ
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি চাকরিতে ৭ শতাংশ কোটার পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সরকারের কমিটি
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে কোটাপদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে কমিটি গঠন করেছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (বিধি অনুবিভাগ) আহ্বায়ক করে গতকাল মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এ কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। কমিটি আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে সরকারের কাছে তাদের প্রতিবেদন পেশ করবে।
আরও পড়ুন৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন, আওতার বাইরে যাঁরা২৩ মার্চ ২০২৫কমিটির সদস্যরা হলেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে যুগ্ম সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা, অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা। কমিটির সদস্যসিচিব করা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিবকে (বিধি-১ শাখা)।
আরও পড়ুনচীনের সেরা ১০ স্কলারশিপ: টিউশন ফি মওকুফ-আবাসন-চিকিৎসার সঙ্গে মিলবে মাসিক ভাতাও৩ ঘণ্টা আগেকমিটির কার্যপরিধিসরকারি চাকরিতে নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানের জন্য ৫ শতাংশ; ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটার প্রয়োগপদ্ধতির পর্যালোচনা ও সুপারিশ প্রণয়ন করবে।
কমিটি প্রয়োজনে যেকোনো সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।