দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমাবেশে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও পেট্রলবোমা হামলার অভিযোগে করা মামলায় এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের রানীগঞ্জ বাজার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর আলম প্রধান (৪৫) যুবলীগের ঘোড়াঘাট উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি উপজেলার বুলাকিপুর ইউনিয়নের কানাগাড়ি ভেলাইন গ্রামের আবদুল লতিফ প্রধানের ছেলে। গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক।

গত বছরের ৪ আগস্ট বিকেলে ঘোড়াঘাট পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ডে চারমাথা পাকা রাস্তা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা হয়। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২৪ আগস্ট ঘোড়াঘাট পৌর ছাত্রদলের সদস্য সহিদ শেখ বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় এ মামলা করেন। এতে উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, পৌর কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান, দুজন সাংবাদিকসহ ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৭০–৮০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৪ আগস্ট বিকেল চারটার দিকে ঘোড়াঘাট পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ডে চারমাথা পাকা রাস্তা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলছিল। এ সময় সেলিম আখতার, মুরাদ হোসেন, আসাদুজ্জামান শিমুল, শেখ বদিউজ্জামান, শফিউল ইসলাম, বেলাল হোসেনসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা লাঠি, রড, ধারালো ছুরি, রামদা ও পেট্রলবোমা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পথ রোধ করেন। এ সময় আসামি আসাদুজ্জামান শিমুল তাঁর হাতে থাকা পেট্রলবোমা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর নিক্ষেপ করেন। এতে সাধারণ শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা আহত হন। এ সময় অন্য আসামিরা লাঠি ও রড দিয়ে সাধারণ ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও মারপিট করে তাঁদের আহত করেন। পরে আসামিরা মামলার বাদী সহিদ শেখ ও তাঁর সঙ্গে থাকা মো.

রাফিকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করেন।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সমাবেশে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও পেট্রলবোমা হামলার অভিযোগে গত বছরের ২৪ আগস্ট থানায় একটি মামলা হয়। তদন্তের পর সংশ্লিষ্টতা আসায় গতকাল সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আগস ট উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

তটিনীর ভ্রমণকাহিনি: সূর্যাস্তের সেই সৌন্দর্য আজও মনে গেঁথে আছে

নাটকের শুটিংয়ে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন অভিনয়শিল্পী তানজিম সাইয়ারা তটিনী। কাজে একটু ফুরসত পেলেই ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশটির এ-শহর, ও-শহর। শোনালেন তেমনই একটি অভিজ্ঞতা।

অস্ট্রেলিয়ায় একাধিক নাটকের শুটিং। তাই বলে একটু ঘুরব না! সহশিল্পী খায়রুল বাসারের সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে কথাও বলেছিলাম। কিন্তু সিডনিতে টানা শুটিংয়ে সময় বের করাটাই কঠিন হয়ে পড়ল। একঘেয়েমিও পেয়ে বসল। মন চাইছিল কোথাও একটু ঘুরতে যাই। এর মধ্যেই পাওয়া গেল বিরতি। সময়টা ঘুরেফিরে কাটাতে পারলে মন্দ হয় না। ব্যবস্থা করে দিল আমার কাজিন। সে-ও আমার অবসরের অপেক্ষায় ছিল সস্ত্রীক। সিদ্ধান্ত হলো তাদের সঙ্গে লা-পেরুজে যাব।

হলিউডের অনেক সিনেমার শুটিং সিডনির এই শহরতলিতে হয়েছে। জায়গাটা পর্দায় দেখা। সিনেমার সেসব দৃশ্যের কথা মনে পড়তেই আনন্দে নেচে উঠল মন। লা পেরুজের সূর্যাস্তের কথা তো কতই শুনেছি। পরে আমার কাজিনদের কাছ থেকেও জানলাম। তারাও অনেকবার গিয়েছে।

লা পেরুজে পৌঁছেই মনটা ভালো হয়ে গেল। পরিচ্ছন্ন আর খোলামেলা সৈকত, আবহাওয়াটাও দারুণ।

গাঙচিলদের সঙ্গে কিছুটা সময়

সম্পর্কিত নিবন্ধ