মেহেরপুরের গাংনীতে কয়েক বছর ধরে প্রতিবেশীর সঙ্গে ব্যবসা নিয়ে বিরোধ চলছিল রতন আলী নামের এক ব্যক্তির। দুই বছর আগে তাঁকে পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছিল প্রতিপক্ষ। এবারে তাঁর বাড়িতে দেশি অস্ত্র রেখে ফাঁসাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিন বন্ধু। গত বুধবার দিবাগত রাত ১২টায় উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ছাতিয়ান গ্রামের তরিকুল ইসলাম (৩০), জেনারুল ইসলাম (২৫) ও সামিম আজাদ ওরফে বাবুল (৩৮)।

র‍্যাব-১২–এর গাংনী ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, ছাতিয়ার গ্রামের রতন আলী নামের এক ব্যক্তির উঠানে একটি দেশি একনলা বন্দুক পুঁতে রেখে র‍্যাবকে গোপনে খবর দেন ওই তিন বন্ধু। এতে র‍্যাবের কর্মকর্তাদের বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। গাংনী র‍্যাবের একটি দল রতন আলীর বাড়িতে গিয়ে ওই বন্দুকটি উদ্ধার করে। এ সময় রতন আলীর সঙ্গে র‍্যাবের কর্মকর্তারা কথা বলে জানতে পারেন আগের ঘটনা। তাঁর সঙ্গে কাঠের ব্যবসা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল কয়েক বছর ধরে। এরপর র‍্যাবের কর্মকর্তারা ওই তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাঁরা সেখানে অস্ত্র পুঁতে রাখার বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তাঁদের নামে অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়।

ক্যাম্পের কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার এনামুল হক বলেন, প্রতিবেশী রতন আলীকে ফাঁসাতে তরিকুল ইসলাম, জেনারুল ইসলাম ও সামিম আজাদ একটি দেশি একনলা ছোট আকারের বন্দুক পুঁতে রাখেন। পরে তাঁরা র‍্যাবের কাছে খবর দেন। ঘটনাটি তদন্ত করে র‍্যাব জানতে পারে যে ওই তিন বন্ধুই প্রকৃত অপরাধী।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, অস্ত্রসহ তিন ব্যক্তিকে থানা হেফাজতে দিয়েছে র‍্যাব তাঁদের নামে অস্ত্র মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত ন বন ধ ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

লিবিয়ায় অপহৃত ২৩ বাংলাদেশিকে উদ্ধার

লিবিয়ায় অপহৃত ২৩ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে দেশটির মিসরাতা সিকিউরিটি ডিরেক্টরেটের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

মিসরাতা শহরে অভিযান চালিয়ে এই বাংলাদেশিদের উদ্ধার করা হয়। আজ বুধবার লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।

ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, এই ঘটনায় জড়িত দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে মিসরাতা সিকিউরিটি ডিরেক্টরেটের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, বেশ কয়েকজন বিদেশিকে অপহরণ ও মুক্তিপণের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগে মিসরাতার আল-গিরান থানায় করা অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডি তদন্ত শুরু করে। তদন্তের মাধ্যমে অপহরণকারী চক্রের অবস্থান চিহ্নিত করে সিআইডি। এরপর সিআইডি সফল অভিযান চালিয়ে জিম্মিদের (অপহৃতদের) মুক্ত করে। পরবর্তী সময়ে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের আইনি প্রক্রিয়ার জন্য আল-গিরান থানায় হস্তান্তর করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদেরও একই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি

সম্পর্কিত নিবন্ধ