চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু হয়েছে মাত্র দুই দিন আগে। বাংলাদেশ খেলেছে মাত্র একটি ম্যাচ। তবে সেমিফাইনালের ওঠার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা না হওয়ার কারণ নেই। সেরা চারে থাকতে সব দলের জন্য ম্যাচই যে মাত্র ৩টি করে।

গতকাল বাংলাদেশ দলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অভিযান শুরু হয়েছে হার দিয়ে। দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ২২৮ রান তুলে শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে হেরেছে নাজমুল হোসেনের দল। ‘এ’ গ্রুপের খেলায় এই মুহূর্তে ভারতের পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডেরও একটি করে জয় আছে। আর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পয়েন্ট ভান্ডার আপাতত শূন্য।

সেমিফাইনালে উঠতে হলে গ্রুপের সেরা দুইয়ে থাকতে হবে। প্রথমেই দেখে নেওয়া যাক, গ্রুপ ‘এ’-তে কোন দলের অবস্থান কোথায়। বিশেষভাবে লক্ষণীয় রান রেটও।

বোঝাই যাচ্ছে, পয়েন্ট শূন্য হলেও এই মুহূর্তে রান রেটের কারণে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশ। নাজমুলদের ম্যাচ বাকি দুটি।

২৪ ফেব্রুয়ারি: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে
২৭ ফেব্রুয়ারি: পাকিস্তানের বিপক্ষে

দুটি ম্যাচই হবে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এবার দেখা যাক, বাংলাদেশ দলের সামনে সেমিফাইনালে ওঠার কী কী সমীকরণ আছে।

১.

বাকি দুই ম্যাচেই জয়
বাংলাদেশ যদি নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান—দুই দলের বিপক্ষেই জেতে, পয়েন্ট হবে ৪। এরই মধ্যে এক ম্যাচ জিতে ফেলা ভারত ও নিউজিল্যান্ড যদি আরও একটি করে ম্যাচ জেতে, তবে তাদের পয়েন্টও হবে চার। সে ক্ষেত্রে সেরা দুই দল নির্ধারণ হবে রান রেটের ভিত্তিতে। আর রান রেট নির্ভর করবে বাকি ম্যাচগুলোর জয়-পরাজয়ের ব্যবধানের ভিত্তিতে।

২. দুই ম্যাচের একটিতে জয়
বাংলাদেশ যদি নিউজিল্যান্ডের কাছে হারে কিন্তু পাকিস্তানকে হারায়—তাহলে পয়েন্ট হবে দুই। সে ক্ষেত্রে পাকিস্তান-ভারত ও নিউজিল্যান্ড-ভারত ম্যাচের ফলের প্রভাব থাকবে। তবে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে পাকিস্তানের কাছে হারলে হিসাব একটু কঠিন হবে। কারণ, নিউজিল্যান্ডের ২ পয়েন্ট আগে থেকেই আছে।

৩. দুই ম্যাচেই হার
নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান দুই দলের বিপক্ষেই হারলে কোনো হিসাব-নিকাশ নেই। সরাসরিই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হবে বাংলাদেশকে।

৪. পাকিস্তান-ভারত ম্যাচের প্রভাব
পাকিস্তান যদি ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারতের কাছে হারে, তাহলে বাংলাদেশ দলের সামনে সেমিফাইনালের সম্ভাবনা বাড়বে। নেট রান রেট তখন বড় প্রভাবক হয়ে উঠবে। আর যদি পাকিস্তান দল ভারতের বিপক্ষে জিতে যায়, তাহলে বাংলাদেশের পথ একটু কঠিন হয়ে যাবে।

মূল কথা হচ্ছে, বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে উঠতে হলে বাকি দুই ম্যাচে জয় নিশ্চিত করতে হবে। একটি জয় পেলেও শেষ চারে ওঠা সম্ভব, তবে সেটা নির্ভর করবে গ্রুপের অন্য ম্যাচের ফল ও নেট রান রেটের ওপর।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ম ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

এমএলএসে সবচেয়ে দামি নন মেসিরা, শীর্ষে কারা

মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) নতুন মৌসুম শুরু হচ্ছে আগামীকাল। নতুন মৌসুমের প্রথম দিনেই মাঠে নামছে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। এর আগে কানসাসের চিলড্রেনস মার্সি পার্কে মাইনাস ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বছরের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে আলোচনায় এসেছেন মেসি।

কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের ম্যাচটিতে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় গোল করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এদিকে আজ থেকে মেসিরা শুরু করেছে এমএলএসের লড়াইও।

গত মৌসুমে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সে সাপোর্টাস শিল্ড জিতেছিল মেসির মায়ামি, কিন্তু জেতা হয়নি এমএলএস কাপের শিরোপা। এবার সেই অধরা শিরোপায় চোখ রেখেই নতুন মৌসুম শুরু করেছে দলটি।

আরও পড়ুনমাইনাস ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মেসির গোলে জিতল মায়ামি২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এর মধ্যে এমএলএসের নতুন মৌসুম শুরুর প্রাক্কালে এই লিগের সবচেয়ে দামি দলের নাম সামনে এসেছে ফোর্বস। তবে দামের এ তালিকায় শীর্ষে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে মেসির মায়ামি। সবচেয়ে দামি স্কোয়াড বিবেচনায় সবার ওপরে জায়গা করে নিয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস ফুটবল ক্লাব (এলএএফসি)। ফোর্বসের প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এলএএফসির মূল্য ১২৫ কোটি ডলার। ক্লাবটির দাম আগের বছরের চেয়ে ৪ শতাংশ বেড়েছে। পাশাপাশি এই দাম লিগের ২৯ দলের মূল্যের গড়ের চেয়ে ৬৯ কোটি ডলার বেশি।

এমএলএসে সবচেয়ে দামি দল এলএএফসি

সম্পর্কিত নিবন্ধ