বাংলাদেশের পক্ষে সেমিফাইনালে ওঠা কতটা সম্ভব
Published: 21st, February 2025 GMT
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু হয়েছে মাত্র দুই দিন আগে। বাংলাদেশ খেলেছে মাত্র একটি ম্যাচ। তবে সেমিফাইনালের ওঠার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা না হওয়ার কারণ নেই। সেরা চারে থাকতে সব দলের জন্য ম্যাচই যে মাত্র ৩টি করে।
গতকাল বাংলাদেশ দলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অভিযান শুরু হয়েছে হার দিয়ে। দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ২২৮ রান তুলে শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে হেরেছে নাজমুল হোসেনের দল। ‘এ’ গ্রুপের খেলায় এই মুহূর্তে ভারতের পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডেরও একটি করে জয় আছে। আর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পয়েন্ট ভান্ডার আপাতত শূন্য।
সেমিফাইনালে উঠতে হলে গ্রুপের সেরা দুইয়ে থাকতে হবে। প্রথমেই দেখে নেওয়া যাক, গ্রুপ ‘এ’-তে কোন দলের অবস্থান কোথায়। বিশেষভাবে লক্ষণীয় রান রেটও।
বোঝাই যাচ্ছে, পয়েন্ট শূন্য হলেও এই মুহূর্তে রান রেটের কারণে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশ। নাজমুলদের ম্যাচ বাকি দুটি।
২৪ ফেব্রুয়ারি: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে
২৭ ফেব্রুয়ারি: পাকিস্তানের বিপক্ষে
দুটি ম্যাচই হবে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এবার দেখা যাক, বাংলাদেশ দলের সামনে সেমিফাইনালে ওঠার কী কী সমীকরণ আছে।
১.
বাংলাদেশ যদি নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান—দুই দলের বিপক্ষেই জেতে, পয়েন্ট হবে ৪। এরই মধ্যে এক ম্যাচ জিতে ফেলা ভারত ও নিউজিল্যান্ড যদি আরও একটি করে ম্যাচ জেতে, তবে তাদের পয়েন্টও হবে চার। সে ক্ষেত্রে সেরা দুই দল নির্ধারণ হবে রান রেটের ভিত্তিতে। আর রান রেট নির্ভর করবে বাকি ম্যাচগুলোর জয়-পরাজয়ের ব্যবধানের ভিত্তিতে।
২. দুই ম্যাচের একটিতে জয়
বাংলাদেশ যদি নিউজিল্যান্ডের কাছে হারে কিন্তু পাকিস্তানকে হারায়—তাহলে পয়েন্ট হবে দুই। সে ক্ষেত্রে পাকিস্তান-ভারত ও নিউজিল্যান্ড-ভারত ম্যাচের ফলের প্রভাব থাকবে। তবে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে পাকিস্তানের কাছে হারলে হিসাব একটু কঠিন হবে। কারণ, নিউজিল্যান্ডের ২ পয়েন্ট আগে থেকেই আছে।
৩. দুই ম্যাচেই হার
নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান দুই দলের বিপক্ষেই হারলে কোনো হিসাব-নিকাশ নেই। সরাসরিই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হবে বাংলাদেশকে।
৪. পাকিস্তান-ভারত ম্যাচের প্রভাব
পাকিস্তান যদি ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারতের কাছে হারে, তাহলে বাংলাদেশ দলের সামনে সেমিফাইনালের সম্ভাবনা বাড়বে। নেট রান রেট তখন বড় প্রভাবক হয়ে উঠবে। আর যদি পাকিস্তান দল ভারতের বিপক্ষে জিতে যায়, তাহলে বাংলাদেশের পথ একটু কঠিন হয়ে যাবে।
মূল কথা হচ্ছে, বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে উঠতে হলে বাকি দুই ম্যাচে জয় নিশ্চিত করতে হবে। একটি জয় পেলেও শেষ চারে ওঠা সম্ভব, তবে সেটা নির্ভর করবে গ্রুপের অন্য ম্যাচের ফল ও নেট রান রেটের ওপর।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ম ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।