সৌরভ গাঙ্গুলীর বায়োপিকের নায়ক কে? জানালেন নিজেই
Published: 21st, February 2025 GMT
ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আত্মজীবনীমূলক ছবি ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে নানান জল্পনাকল্পনা চলছে। সৌরভের ভূমিকায় কোন বলিউড অভিনেতাকে দেখা যাবে, এ নিয়ে এত দিন নানান প্রশ্ন ছিল। তবে এবার সব জল্পনা দূর করেছেন স্বয়ং সৌরভ গাঙ্গুলী। তিনি জানিয়েছেন কোন বলিউড নায়ক তাঁর ভূমিকায় অভিনয় করবেন পর্দায়।
‘দাদা’, ‘মহারাজ’ এসব নামেই ভারতে পরিচিত সৌরভ। কয়েক বছর ধরে তাঁর বায়োপিক ঘিরে নানান তথ্য সামনে এসেছে। শুরুতে শোনা যাচ্ছিল যে রুপালি পর্দায় সৌরভ হবেন বলিউড অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা। এরপর বলিউড তারকা রণবীর কাপুরের নামও উঠে এসেছিল। এমনও শোনা গেছে সৌরভের বায়োপিকের জন্য সবার আগে আয়ুষ্মান খুরানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। এমনকি এই সিনেমার জন্য নাকি সইসাবুদ পর্ব সেরে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু কোনো কারণে এই ছবি থেকে সরে দাঁড়িয়ে ছিলেন আয়ুষ্মান। এরপর রণবীর কাপুরের নাম শোনা গিয়েছিল। তবে রণবীর নাকি ছবিটি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি।
সর্বশেষ খবর, নির্মাতারা সৌরভ গাঙ্গুলীর বায়োপিকের জন্য রাজকুমার রাও-কে চূড়ান্ত করেছেন। এই খবর নিশ্চিত করেছেন সৌরভ নিজেই। তাঁর আত্মজীবনীমূলক ছবির প্রসঙ্গে সম্প্রতি তিনি বলেছেন, ‘আমি যত দূর শুনেছি, সেই অনুযায়ী রাজকুমার রাও এই ভূমিকায় (মুখ্য চরিত্রে) অভিনয় করবেন। কিন্তু তারিখ নিয়ে সমস্যা দেখা যাচ্ছে। আর তাই এই ছবিটা পর্দায় আসতে এক বছরের বেশি সময় লেগে যেতে পারে।’
রাজকুমার রাওকে শেষ বড় পর্দায় দেখা গেছে ‘স্ত্রী ২’ ছবিতে। এই ছবিটি বক্স অফিসে দারুণ সফলতা পেয়েছে। আগামী দিনে তাঁকে ‘ভুল চুক মাফ’ ছবিতে দেখা যাবে। সম্প্রতি এই ছবির টিজার মুক্তি পেয়েছে। বললে বাড়াবাড়ি হবে না, সৌরভের ভক্তরা দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের প্রিয় ক্রিকেটারের বায়োপিক দেখার অপেক্ষায় আছেন। রাজকুমার রাওকে নিয়ে সৌরভ সিলমোহর ভক্তদের নিশ্চয় আনন্দ দেবেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর দ য়
এছাড়াও পড়ুন:
শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার পুষ্পস্তবক অর্পণ
একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রীতি অনুযায়ী রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধান উপদেষ্টার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে একুশের কর্মসূচি শুরু হয়।
রাষ্ট্রপতি ১১টা ৫৯ মিনিটে শহীদ মিনারে আসেন। এ সময় তাকে অভ্যর্থনা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, একুশে উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান এবং সদস্যসচিব সাইফুদ্দীন আহমেদ।
আরো পড়ুন:
নতুন বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে সাংবাদিকদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি দিলেন রাষ্ট্রপতি
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রাত ১২টা ১০ মিনিটে শহীদ মিনারে আসেন। তাকেও উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান, একুশে উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান এবং সদস্যসচিব সাইফুদ্দীন আহমেদ অভ্যর্থনা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা রাত ১২টা ১৩ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা রাত ১২টা ১৬ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক ও হাইকমিশনাররা এরপর পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর তিন বাহিনীর প্রধান শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শুরুতে সেনাবাহিনীর পক্ষে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ১২টা ২২ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান। বিমানবাহিনীর পক্ষে চিপ এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) নতুন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা জানান।
পরে ভাষাসৈনিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা জানান।
একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাজপথ ও দেয়াল বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। চারুকলার শিক্ষার্থীরা রাত-দিন খেটে রং-তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলেছেন প্রতিবাদের নানা ভাষা। শহীদ মিনারের বেদি, কালো রাজপথ, দেওয়াল হেসে উঠছে বর্ণিল আল্পনায়।
ঢাকা/হাসান/ইয়াসিন