যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রদপ্তর ভিসা ইন্টারভিউ মওকুফ কর্মসূচি (ড্রপবক্স প্রক্রিয়া) নীতিতে বড় পরিবর্তন ঘোষণা করেছে। যা মহামারীর আগে প্রযোজ্য যোগ্যতার মানদণ্ডে ফিরে যাচ্ছে। গতকোল বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই পরিবর্তন কার্যকর হয়েছে। এর অর্থ হলো অনেক অ-অভিবাসী ভিসাধারীরা, যারা আগে সাক্ষাৎকার ছাড়াই ভিসার জন্য যোগ্য ছিলেন, এখন থেকে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎকার দিতে হতে পারে।

যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে

এখন থেকে ভিসা নবায়নের জন্য আবেদনকারীদের পূর্ববর্তী ১২ মাসের মধ্যে বৈধ ভিসা থাকতে হবে, যা আগে ছিল ৪৮ মাস পর্যন্ত।

কেবল নির্দিষ্ট ভিসা ক্যাটাগরি যেমন কূটনৈতিক (এ-১, এ-২), সরকারি কর্মকর্তা (জি-১ থেকে জি-৪, ন্যাটো ভিসা) এবং ১২ মাসের মধ্যে একই ক্যাটাগরির ভিসা নবায়নকারীরা সাক্ষাৎকার ছাড়াই ড্রপবক্স সুবিধা পাবেন।

যারা নতুন নিয়মের আওতায় পড়বেন না, তাদের মার্কিন কনস্যুলেটে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারের সময়সূচি নির্ধারণ করতে হবে, যা দীর্ঘ প্রসেসিং টাইমের কারণ হতে পারে।

পরিবারভিত্তিক ভিসা (এইচ-৪, এল-২ ইত্যাদি) নবায়নে প্রধান আবেদনকারী এবং নির্ভরশীলদের মধ্যে যোগ্যতার পার্থক্য থাকলে ভ্রমণের বিলম্ব হতে পারে।

এইচ-১বি, বি-১/বি-২ ছাড়াও অন্যান্য ভিসা ক্যাটাগরির জন্য সাক্ষাৎকার মওকুফের সুযোগ সংকুচিত করা হয়েছে। ফলে দীর্ঘ ভিসা প্রক্রিয়া ও সাক্ষাৎকারের অপেক্ষা বাড়তে পারে।

কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?

মার্কিন সরকার নির্দিষ্ট অ-অভিবাসী ভিসা আবেদনকারীদের জন্য ইন্টারভিউ মওকুফ কর্মসূচির (ড্রপবক্স প্রক্রিয়া) মাধ্যমে সাক্ষাৎকার ছাড়াই তাদের ভিসা নবায়নের অনুমতি দিয়েছিল। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল ভিসা নবায়নের প্রক্রিয়া দ্রুত করা এবং মার্কিন কনস্যুলেটে সরাসরি সাক্ষাৎকারের সংখ্যা কমানো। ৪৮ মাসের যোগ্যতার সময়সীমার মাধ্যমে আরও বেশি আবেদনকারী সাক্ষাৎকার ছাড়াই তাদের ভিসা নবায়ন করতে পারতেন।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাইডেন প্রশাসন কর্মসূচিটি সম্প্রসারণ করেছিল। কনস্যুলার কর্মকর্তাদের প্রথমবারের মতো এইচ-২ ভিসার আবেদনকারীদের (অস্থায়ী কৃষি ও অ-কৃষি কর্মী) জন্য ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার মওকুফের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

অন্যান্য অ-অভিবাসী ভিসার আবেদনকারীরাও যোগ্য ছিলেন যদি তারা আগে কোনো অ-অভিবাসী ভিসা পেয়ে থাকেন (তবে শুধুমাত্র বি ভিসা থাকলে এটি প্রযোজ্য নয়) বা যদি তারা তাদের সর্বশেষ ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার ৪৮ মাসের মধ্যে আবেদন করতেন।

মার্কিন ভিসাধারীদের জন্য কী পরিবর্তন আসছে?

ট্রাম্প প্রশাসন ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ড্রপবক্স প্রক্রিয়ার যোগ্যতার মানদণ্ড মহামারীর পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হলো, ভিসা নবায়নকারী আবেদনকারীদের এখন সাক্ষাৎকার মওকুফের জন্য পূর্ববর্তী ১২ মাসের মধ্যে বৈধ ভিসা থাকতে হবে, যা আগে কোভিড-১৯ মহামারীর সময় ৪৮ মাস পর্যন্ত ছিল।

এছাড়াও কেবল নির্দিষ্ট ভিসা ক্যাটাগরিগুলো—যেমন কূটনৈতিক (এ-১, এ-২), সরকারি কর্মকর্তা (জি-১ থেকে জি-৪, ন্যাটো ভিসা) এবং আগের ভিসার একই ক্যাটাগরির জন্য ১২ মাসের মধ্যে নবায়নকারীরা—এই সুবিধার জন্য যোগ্য হবেন। এই পরিবর্তনের ফলে আবেদনকারীরা এখন ভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসার জন্য ড্রপবক্স ব্যবহার করতে পারবেন না।

বিশ্বের বিভিন্ন মার্কিন দূতাবাস স্বীকার করেছে যে এই পরিবর্তন ‘কিছু ভিসার অপেক্ষার সময় দীর্ঘ করতে পারে’ এবং যারা নতুন নিয়মের আওতায় পড়ছেন না, তাদের এখন মার্কিন কনস্যুলেটে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারের সময়সূচি নির্ধারণ করতে হবে, যা প্রক্রিয়ার দেরি করতে পারে।

পারিবারিক ভিত্তিক ভিসাধারীদের ওপর প্রভাব কী হবে?

এইচ-১বি (এইচ-৪), এল-১ (এল-২) এবং অন্যান্য অ-অভিবাসী কর্মসংস্থান ভিসাধারীদের স্ত্রী ও নির্ভরশীলদেরও সাক্ষাৎকার মওকুফের জন্য নতুন ১২ মাসের নবায়ন সময়সীমা পূরণ করতে হবে। পূর্বে তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার ৪৮ মাসের মধ্যে হলে তারা সাক্ষাৎকার ছাড়াই ড্রপবক্স প্রক্রিয়া ব্যবহার করতে পারতেন।

এই পরিবর্তন একসঙ্গে ভ্রমণকারী পরিবারগুলোর জন্য জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। কারণ, মূল আবেদনকারী এবং নির্ভরশীলদের যোগ্যতার মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকলে দেরি হতে পারে। যদি কোনো নির্ভরশীল ব্যক্তি ১২ মাসের নিয়ম পূরণ না করতে পারে। তবে তাদের ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে হতে পারে, যা ভ্রমণের আরও বিলম্ব সৃষ্টি করতে পারে।

এছাড়া যারা আগে ভিসা প্রত্যাখ্যান বা প্রশাসনিক পর্যালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন, তাদের জন্য সাক্ষাৎকার ছাড়া ভিসা নবায়ন করা আরও কঠিন হতে পারে।

এইচ-১বি ভিসাধারীদের ওপর প্রভাব কী হবে?

এইচ-১বি ভিসাধারীরা নতুন ভিসা ইন্টারভিউ মওকুফ (ড্রপবক্স) যোগ্যতার নিয়ম দ্বারা সরাসরি প্রভাবিত হবেন। নতুন নীতির অধীনে, এইচ-১বি আবেদনকারীদের অবশ্যই: একই ক্যাটাগরির ভিসা নবায়ন করতে হবে (এইচ-১বি থেকেএইচ-১বি )। তাদের পূর্ববর্তী ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার ১২ মাসের মধ্যে নবায়নের জন্য আবেদন করতে হবে (পূর্বে ৪৮ মাস ছিল)।

তাদের নিজ দেশের নাগরিকত্ব বা বাসস্থানের দেশ থেকে আবেদন করতে হবে। পূর্বে কোনো ভিসা প্রত্যাখ্যান বা অযোগ্যতার সমস্যা থাকা যাবে না।

যদি কোনো এইচ-১বি ভিসাধারী এই শর্তগুলো পূরণ করতে না পারেন, তাহলে তাকে মার্কিন কনস্যুলেটে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে হবে, যা সময়সূচি নির্ধারণে বিলম্ব ঘটাতে পারে।

এই পরিবর্তন এইচ-১বি পেশাজীবীদের ভ্রমণ পরিকল্পনাকে ব্যাহত করতে পারে, বিশেষ করে যারা তাদের নিজ দেশে ভিসা নবায়নের পরিকল্পনা করেছিলেন। ভারতের মতো দেশগুলোতে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার সময়সীমা অতিরিক্ত কাজ ও ভ্রমণের বিঘ্ন ঘটাতে পারে, যার ফলে এইচ-১বি ভিসাধারীদের যুক্তরাষ্ট্রে কাজে ফিরে যাওয়ার সময় দেরি হতে পারে।

বি-১ পর্যটন ভিসাধারীদের ওপর প্রভাব কী হবে?

বি-১/বি-২ পর্যটন ও ব্যবসায়িক ভিসাধারীরাও নতুন নিয়ম দ্বারা প্রভাবিত হবেন। নতুন নীতির অধীনে কেবলমাত্র যারা তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার ১২ মাসের মধ্যে একই ক্যাটাগরির ভিসা নবায়ন করবেন, তারাই সাক্ষাৎকার মওকুফের জন্য যোগ্য হবেন। পূর্বে ৪৮ মাসের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসাধারীরা ড্রপবক্স প্রক্রিয়া ব্যবহার করতে পারতেন, যা অপেক্ষার সময় ও কনস্যুলেট পরিদর্শনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়েছিল।

এই পরিবর্তনের ফলে অনেক বি-১/বি-২ ভিসাধারীরা যারা নতুন নিয়মের আওতায় আসছেন না, তাদের এখন মার্কিন কনস্যুলেটে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারের সময়সূচি নির্ধারণ করতে হবে।

আপনার করণীয়

যদি আপনি ভিসা নবায়ন করতে চান, তাহলে নতুন নিয়ম অনুসারে আপনার যোগ্যতা যাচাই করুন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত রাখুন। নতুন পরিবর্তনের কারণে সাক্ষাৎকারের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার সম্ভাবনা থাকায় পরিকল্পনামাফিক আবেদন করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম র ক ন কনস য ল ট ন র ভরশ ল দ শ ষ হওয র র জন য য গ যত র ৪৮ ম স র র য গ যত দ র জন য র সময স ন করত ভ রমণ

এছাড়াও পড়ুন:

কুবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে হিন্দুধর্ম অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। 

এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। তারা উপাচার্যকে অভিযোগপত্রের একটি কপি দিয়েছেন।

অভিযুক্ত আব্দুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০২৩-২৪ বর্ষের শিক্ষার্থী। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তার পোস্টটির স্ক্রিনশট ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে সমালোচনা হয়। 

আরো পড়ুন:

কুবি শিক্ষার্থীদের ভাবনায় ফ্যাসিবাদমুক্ত নববর্ষ

৫ বছর পর কুবিতে নববর্ষ উদযাপন

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সম্প্রতি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী (আব্দুর রহমান, আইন বিভাগ ১৮তম আবর্তন) লাগাতার সনাতন ধর্মের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটুক্তি করে যাচ্ছে। এর মধ্যে সোমবার (১৪ এপ্রিল) একটি পোস্টে সনাতন ধর্মকে ঘৃণিত ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে। সেখোনে ‘হিন্দুধর্ম। ইট'স রিকোয়াইর্স টু বি অ্যাগ্রেসিভলি রেপড, (গালি) ইন আ রুড ওয়ে। (গালি)।’ বলা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, এই বক্তব্য শুধু কুরুচিপূর্ণ নয়, বরং আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে অপমান এবং ঘৃণিত করে। এ ধরনের বক্তব্য কোনো সভ্য সমাজ বা শিক্ষাঙ্গনে মেনে নেওয়া যায় না। এছাড়া সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ অনুযায়ী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। যার সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে বর্তমানে ২ বছর কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় একটি জ্ঞান ও সম্প্রীতির স্থান। এখানে এমন কোনো মত প্রকাশের সুযোগ থাকা উচিত নয়, যা অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করে এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করে।

অভিযোগপত্রে তাদের দাবি, ওই শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের ঘৃণিত কাজ না করে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার (১৪ এপ্রিল) এম এ হোসাইন নামের একটি পেইজে জ্বলন্ত আগুনের মধ্যে জীবন্ত ছাগলকে পুড়িয়ে ফেলার একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়। সেটার ক্যাপশন অপশনে লেখা ছিল ‘জনশ্রুতি আছে, পৃথিবীর নিকৃষ্ট ধর্ম হচ্ছে হিন্দু ধর্ম। একটা নিরীহ জীবন্ত প্রাণীকে এভাবে আগুনে পুড়ে মারার অধিকার কি কোনো ধর্মে আছে?’

পরবর্তীতে স্ক্রিনশটটি আরো ছড়িয়ে পড়লে শেয়ারকৃত পোস্টটি ডিলিট করে ক্ষমা চেয়ে নতুন আরেকটি পোস্ট শেয়ার করেন। বর্তমানে অভিযুক্ত আবদুর রহমানের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ডিঅ্যাক্টিভেট করে রাখা হয়েছে।

আইন বিভাগের ১৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সজীব বিশ্বাস বলেন, “আব্দুর রহমান যেভাবে ফেসবুকে আমাদের ধর্মকে নিয়ে কটুক্তি করেছে, আমি তার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থী কিভাবে একটা ধর্মকে নিয়ে এমনভাবে গালি দিতে পারে? আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলবো, বিগত বছরগুলাতে যেভাবে ধর্মকে অবমাননার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে, এবারো যেন তার ব্যতিক্রম না ঘটে।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবদুর রহমান বলেন, “আমি আমার বক্তব্য প্রক্টর অফিসে দিয়েছি।”

আইন বিভাগের বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মো. আলী মোর্শেদ কাজেম বলেন, “আমি এই বিষয়ে অবগত নই। ঘটনা সম্পূর্ণ না জেনে আমি তো কোন বক্তব্য দিতে পারছি না।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আবদুল হাকিম বলেন, “আমরা অভিযোগপত্রটি পেয়েছি অভিযুক্ত শিক্ষার্থী যেহেতু আইন বিভাগের, সেহেতু আমরা ওই বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের মাধ্যমে অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি শৃংখলা কমিটির কাছে হস্তান্তর করবো।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “আমি অভিযোগপত্রটি পেয়েছি। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে ডেকে শোকজ করা হবে। তার লিখিত ব্যাখ্যা গ্রহণের পর নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ