Samakal:
2025-04-21@08:19:53 GMT

বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে ঢাকার বাতাস

Published: 21st, February 2025 GMT

বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে ঢাকার বাতাস

বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে ঢাকার বাতাস। দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ শুক্রবার ঢাকার বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর। বেলা ১১টা ১০ মিনিটে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই-বায়ুর মান সূচক) স্কোর ২৪২, অবস্থান প্রথম।

বিশ্বের ১২৩টি দেশের মধ্যে এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমুন্ডু, স্কোর ২২৬ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুও খুব অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।

একিউআই স্কোরে তৃতীয় স্থানে আছে পাকিস্তানের করাচি, স্কোর ১৯৬। ১৮৬ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ভারতের দিল্লি। পঞ্চমে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা, স্কোর ১৮১। 

প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়। 

একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.

৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে দুই দশমিক পাঁচ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ (পিপিএম) যদি শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তাহলে ওই বাতাসকে বায়ু মানের সূচকে (একিউআই) ‘ভালো’ বলা যায়। এই মাত্রা ৫১-১০০ হলে বাতাসকে ‘মধ্যম’ মানের ও ১০১-১৫০ হলে ‘বিপদসীমায়’ আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আর পিপিএম ১৫১-২০০ হলে বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১-৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ও ৩০১-৫০০ হলে ‘বিপজ্জনক’ বলা হয়।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

উইলিয়ামসকে ফেরালেন মিরাজ

মায়াভোকে সঙ্গে নিয়ে জিম্বাবুয়েকে লিড এনে দেন উইলিয়ামস। ৫৫তম ওভারে মিরাজের বলে অহেতুক এক শটে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন। টাইমিংয়ের গড়বড়ে বাউন্ডারির কাছাকাছি জয়ের তালুবন্দি হন। সাজঘরে ফেরার আগে ১০৮ বলে ৫৯ রান করেন তিনি, ইনিংসটি সাজানো ছিল ছয়টি চার ও দুটি ছক্কায়। ৫৬ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ৬ উইকেটে ১৯৫। ক্রিজে নিয়াশা মায়াভোর সঙ্গী ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।

জিম্বাবুয়ের লিড

প্রথম সেশনে ৪ উইকেট হারানোর ধাক্কা সামাল দিয়ে লিড নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের ৫৩তম ওভারে মিরাজের বলে মায়াভোর চারে জিম্বাবুয়ের রান হয়েছে ৫ উইকেটে ১৯২। মায়াভো ১৩ এবং উইলিয়ামস ৫৮ রানে অপরাজিত। ক্রিজে শন উইলিয়ামস ও হাতে ৫ উইকেট থাকায় বড় লিড নেওয়ার সুযোগ আছে সফরকারীদের।

মাধেভেরেকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন খালেদ

প্রথম সেশনে ৪টা উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে দ্বিতীয় সেশনে উইলিয়ামস-মাধেভেরে জুটিতে ভালোই প্রতিরোধ গড়ে তারা। তবে ৫০তম ওভারে মাধেভেরেকে ফিরিয়ে ৪৮ রানের জুটি ভাঙলেন খালেদ। ৩৩ বলে চারটি জারে ২৪ রান করেন মাধেভেরে।

৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রানে ব্যাট করছে জিম্বাবুয়ে। লিড নেওয়ার পথেই এগোচ্ছে অতিথিরা। উইলিয়ামস ব্যাট করছেন ৫৬ রানে, মায়ভো আছেন ০ রানে। ১৪ রানে পিছিয়ে আছে জিম্বাবুয়ে।

এর আগে বিনা উইকেটে ৬৭ রানে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। প্রথম সেশন শেষ হতে হতে তাদের উইকেট পড়ে যায় চারটি। নাহিদা রানা শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক বোলিং করেছেন। লাঞ্চ বিরতির আগে একাই নিয়েছেন ৩ উইকেট। ১ উইকেট নেন হাসান। 

আজ প্রথম সেশনে ক্যাচের রেকর্ডে মেহেদী হাসান মিরাজকে ছাড়িয়ে গেলেন মুমিনুল হক। নাহিদ রানার লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারিতে শর্ট লেগে বেন কারানের ক্যাচ নিলেন মুমিনুল হক। জিম্বাবুয়ের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পাশাপাশি রেকর্ডও গড়লেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। টেস্ট ক্রিকেটে মুমিনুলের এটি ৪১তম ক্যাচ। যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। এত দিন ৪০ ক্যাচ নিয়ে শীর্ষে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনই এখনও খেলছেন। তাই সামনের দিনগুলোতে হয়তো বারবার হাতবদল ঘটবে এই রেকর্ডের।

নাহিদময় বাংলাদেশের প্রথম সেশন

সম্পর্কিত নিবন্ধ