বাংলাদেশে মুক্তির তিনমাস পর ভারতে মুক্তি পাচ্ছে ‘দরদ’
Published: 21st, February 2025 GMT
গত বছরের ১৫ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় অনন্য মামুন পরিচালিত সিনেমা ‘দরদ’। শাকিব খান অভিনীত এই সিনেমাটি প্যান ইন্ডিয়ান দাবি করলেও সিনেমাটি ভারতেই মুক্তি পায়নি। এ নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। অবশেষে সিনেমাটি মুক্তির তিন মাস পর ভারতে মুক্তির খবর জানা গেল।
মুক্তির তিন মাস পর ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারতে সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে মুভিজ। প্রতিষ্ঠানটি তাদের পেজে লিখেছে, ‘খেলায় আজ শুধুই ভাব, হবে না কোনো আড়ি, দরদ নিয়ে শাকিব খান, আসছে ২৮ ফেব্রুয়ারি।’ তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গ, নাকি ভারতের অন্য রাজ্যে মুক্তি পাবে ‘দরদ’ জানায়নি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় রোমান্টিক সাইকো-থ্রিলার ঘরানার সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন অনন্য মামুন। সিনেমার কাহিনি ও চিত্রনাট্যও লিখেছেন তিনি। ছবির প্রযোজক হিসেবে আছেন অশোক ধানুকা, হিমাংশু ধানুকা, কামাল মোহাম্মদ কিবরিয়া ও অনন্য মামুন। সহপ্রযোজক (হিন্দি) হিসেবে আছেন করণ শাহ (ওয়ান ওয়ার্ল্ড মুভিজ)।
‘দরদ’ সিনেমার গল্পে দেখা যায়, বারানসিতে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি খুন হতে থাকে—এ ঘটনা সবাইকে হতবাক করে। এসব ঘটনায় দুলু মিয়ার ওপর সন্দেহ গিয়ে পড়ে। এরপর কী হয়, তা নিয়েই এগিয়েছে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ঘরানার এ সিনেমার গল্প। এতে দুলু মিয়া চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান। তিনি ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন সোনাল চৌহান, পায়েল সরকার, রাহুল দেব, রাজেশ শর্মা।
সিনেমাটিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাল চৌহান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
আবু তালহার ইসলাম গ্রহণ
উম্মে সুলাইম বিনতে মিলহান (রা.) একজন বুদ্ধিমতী নারী সাহাবি। তিনি ইসলাম গ্রহণকারী আনসারদের মধ্যে অন্যতম এবং খ্যাতিমান সাহাবি আনাস ইবনে মালিকের (রা.) মা। আনাসের বাবা মালিক ছিলেন উম্মে সুলাইমের মুসলিম হওয়ার আগের স্বামী। উম্মে সুলাইম ও আনাস ইসলাম গ্রহণ করলে স্বামী ক্ষোভে স্ত্রী-পুত্র ত্যাগ করে চলে যান। বিধবা হয়ে পড়েন উম্মে সুলাইম (রা.)।
রাসুল (সা.) বলেন, ‘একবার স্বপ্নে আমি জান্নাতে প্রবেশ করি। হঠাৎ আমার সামনে কারও জুতার আওয়াজ শুনতে পাই। আমি ফেরেশতাদের জিজ্ঞেস করলাম, কে? তারা বললেন, আনাস ইবনে মালিকের মা উম্মে সুলাইম বিনতে মিলহান।’ (মুসলিম, হাদিস: ২,৪৫৬)
শিশু পুত্র আনাসকে নিয়ে কাটছিল তার দিন। উম্মে সুলাইম (রা.) ঠিক করলেন, আনাস বড় না হওয়া পর্যন্ত তিনি বিয়ে করবেন না। আনাস যখন তার মায়ের বিয়েতে মত দেবে তখনই তিনি বিয়ে করবেন। একসময় আনাস উপযুক্ত বয়সে উপনীত হন।
আরও পড়ুনজীবনে একবার হলেও যে নামাজ পড়তে বলেছেন নবীজি (সা.)১৩ মার্চ ২০২৫সে সময় আবু তালহা আল আনসারি নামে এক লোক উম্মে সুলাইমকে পছন্দ করে এবং বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু আবু তালহা মুসলিম ছিলেন না। তাই তিনি বিয়েতে অমত করলেন। আবু তালহা বললেন, ‘তুমি অর্থকড়ি চাও? আমি তোমাকে মূল্যবান সবকিছুর বিনিময়ে বিয়ে করতে চাই।’ উন্মু সুলাইম (রা.) বললেন, ‘না, আমি তোমার মধ্যে ইসলাম চাই।’
অবশেষে আবু তালহা ইসলাম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন। উম্মে সুলাইমের (রা.)-এর সঙ্গে তার বিয়ে হয় এবং বিয়ের মোহর হয় ‘আবু তালহার ইসলাম গ্রহণ’। সাবিত (রা.) বলেছেন, উম্মে সুলাইমের বিয়ের মোহরের চেয়ে উত্তম মোহরের কথা আমরা আর শুনিনি। আবু তালহার ইসলাম গ্রহণের যুগপৎ এই সিদ্ধান্ত ও তাঁদের বিয়ে আরবে সেসময় বেশ আলোচনার সৃষ্টি করে। বলা হয়, ইসলামের ইতিহাসে এটিই ছিল বিয়েতে সবচেয়ে মূল্যবান মোহর।
উম্মে সুলাইম (রা.) যুদ্ধে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে শরিক হয়েছিলেন। আনাস (রা.) বলেন, ‘আমি আয়েশা (রা.) ও আমার মা উম্মে সুলাইমকে যুদ্ধের দিন মশক ভরে পানি এনে আহতদের পানি পান করাতে দেখেছি। মশক খালি হয়ে গেলে তারা আবার ভরে এনে পান করিয়েছেন।’ (সহিহ বুখারি, ২/৫৮১)
আরও পড়ুন ধৈর্য কাকে বলে১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫