চিনি, তেল, ছোলাসহ রোজার ৯ পণ্যের আমদানি বেড়েছে
Published: 21st, February 2025 GMT
পবিত্র রমজান মাসের চাহিদা বাড়ে এমন ৯ ধরনের ভোগ্যপণ্যের আমদানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। গত অক্টোবর-জানুয়ারি সময়ে আগের বছর একই সময়ের তুলনায় ছোলা আমদানি বেড়েছে ৬৪ শতাংশ, খেজুর ২৩ শতাংশ, চিনি ২০ শতাংশ, সয়াবিন তেল ৩৪ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পবিত্র রমজান সামনে রেখে ৯ ধরনের ভোগ্যপণ্য আমদানিতে গড়ে ৩৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
পণ্যগুলো হলো চিনি, সয়াবিন তেল, ডাল, মটর, ছোলা, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও খেজুর। এর মধ্যে ছোলা ও মটর ডালের আমদানিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই প্রবৃদ্ধি বাজারে সরবরাহব্যবস্থা স্বাভাবিক ও পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ জমার হার নির্ধারণ ও বিলম্বে আমদানি বিল পরিশোধের সুযোগ দেওয়ায় কারণে এসব পণ্যের আমদানিতে আগ্রহ বেড়েছে ব্যবসায়ীদের।
জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর ১১ ধরনের ভোগ্যপণ্য আমদানিতে বিলম্বে বিল পরিশোধের অনুমতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। রমজানের আগে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা ও সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে আমদানির ক্ষেত্রে লেনদেন সহজ করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ সুবিধা বহাল থাকবে। এর আগে এসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ মার্জিনের হার নির্ধারণের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ৬ নভেম্বর এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে শূন্য মার্জিনেও এসব পণ্যের ঋণপত্রে খোলা যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, গত অক্টোবর থেকে জানুয়ারি—এই চার মাসে চিনি আমদানি হয়েছে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩৪ মেট্রিক টন, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। উল্লিখিত সময়ে সয়াবিন তেলের আমদানি ৩৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৯৮ হাজার ২৫২ মেট্রিক টনে। ডালজাতীয় পণ্যের আমদানি ৪৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৩৭ মেট্রিক টন। ছোলা আমদানি হয়েছে ৯৭ হাজার ৫৫৫ মেট্রিক টন, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ শতাংশ বেশি। খেজুরের আমদানি ২৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন। আলোচ্য সময়ে সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ আমদানি বেড়েছে মটর ডালের। চার মাসে এই পণ্যটি আমদানি হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৮৪৫ মেট্রিক টন। পেঁয়াজ আমদানি ২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ মেট্রিক টন। রসুনের আমদানি বেড়েছে ২০ শতাংশ। গত অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত পণ্যটি আমদানি হয়েছে ৬১ হাজার ৩৮১ মেট্রিক টন। আদার আমদানি ৫৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫২ হাজার ৫১৫ মেট্রিক টন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ট র ক টন আমদ ন ত
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলের অন্তত ৩৬ বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন শুধুই নারী ও শিশুরা
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের অন্তত ৩৬টি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন শুধুই নারী ও শিশুরা। এ তথ্য জানিয়ে জাতিসংঘ হুঁশিয়ার করে বলেছে, ইসরায়েলি সামরিক অভিযান ‘ফিলিস্তিনিদের একক গোষ্ঠী হিসেবে অব্যাহত অস্তিত্বকে’ হুমকির মুখে ফেলেছে।
১৮ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত গাজা উপত্যকার বিভিন্ন আবাসিক ভবন ও বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয় নেওয়া তাঁবুতে ইসরায়েলের ২২৪টি বিমান হামলা চালানোর ঘটনা নথিভুক্ত করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর।জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিএইচআর) এর মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি গতকাল শুক্রবার বলেছেন, ১৮ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত গাজা উপত্যকার বিভিন্ন আবাসিক ভবন ও বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয় নেওয়া তাঁবুতে ইসরায়েলের ২২৪টি বিমান হামলা চালানোর ঘটনা নথিভুক্ত করেছে তাঁর দপ্তর।
মুখপাত্র আরও বলেন, ‘এর মধ্যে ৩৬টি হামলার ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের বিষয়ে সংগৃহীত তথ্যে দেখা গেছে, তারা সবাই নারী ও শিশু।’
মার্চে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি শেষ হয়। তখন থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১ হাজার ৫০০–এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এক মাসের বেশি হয়ে গেল, গাজায় কোনো ত্রাণও যায়নি। সেখানে নেই কোনো খাবার, নেই জ্বালানি, নেই ওষুধ। নেই কোনো বাণিজ্যিক পণ্যের সরবরাহ। —আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘের মহাসচিবযুদ্ধবিরতি শেষে ইসরায়েল উপত্যকাটিতে আবারও পুরোদমে অবরোধ আরোপ করেছে। জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো সতর্ক করে বলেছে, এ অবরোধের ফলে সেখানে খাবার, পানি, ওষুধ ও অন্যান্য জরুরি পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং সেগুলো দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।
আরও পড়ুনগাজায় সাংবাদিকদের তাঁবুতে হামলা ০৮ এপ্রিল ২০২৫গাজায় নির্বিচার বোমা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল