পবিত্র রমজান মাসের চাহিদা বাড়ে এমন ৯ ধরনের ভোগ্যপণ্যের আমদানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। গত অক্টোবর-জানুয়ারি সময়ে আগের বছর একই সময়ের তুলনায় ছোলা আমদানি বেড়েছে ৬৪ শতাংশ, খেজুর ২৩ শতাংশ, চিনি ২০ শতাংশ, সয়াবিন তেল ৩৪ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পবিত্র রমজান সামনে রেখে ৯ ধরনের ভোগ্যপণ্য আমদানিতে গড়ে ৩৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

পণ্যগুলো হলো চিনি, সয়াবিন তেল, ডাল, মটর, ছোলা, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও খেজুর। এর মধ্যে ছোলা ও মটর ডালের আমদানিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই প্রবৃদ্ধি বাজারে সরবরাহব্যবস্থা স্বাভাবিক ও পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ জমার হার নির্ধারণ ও বিলম্বে আমদানি বিল পরিশোধের সুযোগ দেওয়ায় কারণে এসব পণ্যের আমদানিতে আগ্রহ বেড়েছে ব্যবসায়ীদের।

জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর ১১ ধরনের ভোগ্যপণ্য আমদানিতে বিলম্বে বিল পরিশোধের অনুমতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। রমজানের আগে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা ও সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে আমদানির ক্ষেত্রে লেনদেন সহজ করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ সুবিধা বহাল থাকবে। এর আগে এসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ মার্জিনের হার নির্ধারণের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ৬ নভেম্বর এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে শূন্য মার্জিনেও এসব পণ্যের ঋণপত্রে খোলা যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, গত অক্টোবর থেকে জানুয়ারি—এই চার মাসে চিনি আমদানি হয়েছে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩৪ মেট্রিক টন, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। উল্লিখিত সময়ে সয়াবিন তেলের আমদানি ৩৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৯৮ হাজার ২৫২ মেট্রিক টনে। ডালজাতীয় পণ্যের আমদানি ৪৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৩৭ মেট্রিক টন। ছোলা আমদানি হয়েছে ৯৭ হাজার ৫৫৫ মেট্রিক টন, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ শতাংশ বেশি। খেজুরের আমদানি ২৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন। আলোচ্য সময়ে সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ আমদানি বেড়েছে মটর ডালের। চার মাসে এই পণ্যটি আমদানি হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৮৪৫ মেট্রিক টন। পেঁয়াজ আমদানি ২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ মেট্রিক টন। রসুনের আমদানি বেড়েছে ২০ শতাংশ। গত অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত পণ্যটি আমদানি হয়েছে ৬১ হাজার ৩৮১ মেট্রিক টন। আদার আমদানি ৫৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫২ হাজার ৫১৫ মেট্রিক টন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ট র ক টন আমদ ন ত

এছাড়াও পড়ুন:

দিন-রাত ব্যস্ততা সেমাইপল্লিতে

পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ব্যস্ত রাজবাড়ীর সেমাইপল্লি। রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে সেমাই পৌঁছে দিতে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ পল্লিতে সেমাই তৈরি করা হচ্ছে। 
সেমাইয়ের গুণগত মান ঠিক রাখতে নিয়মিত তদারকি করছেন মিল মালিক ও বিসিক কর্মকর্তারা। মান ভালো হওয়ায় জেলার চাহিদা মিটিয়ে কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, 
মাগুরা, ঝিনাইদহসহ পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি জেলার বাজারে যাচ্ছে এ সেমাই। 
রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরীর কয়েকটি কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, ঈদের বাজার ধরতে কর্মমুখর সেমাই কারখানাগুলো। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শ্রমিকরা সেমাই তৈরির কাজ করছেন। বস্তা থেকে আটা মেশিনে ঢেলে মেশানো হচ্ছে। এরপর মেশিনের সাহায্যে সুতোর মতো সেমাই তৈরির পর, রোদে শুকিয়ে আগুনের তাপে ভেজে প্যাকেটজাত করা হচ্ছে। সবশেষে সরবরাহ করা হচ্ছে বিভিন্ন জেলায়।
রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় অবস্থিত দ্বীন ফুড প্রোডাক্টস কারখানার ম্যানেজার আব্দুস ছাত্তার জানান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে তারা সেমাই তৈরি করেন। তাদের নিজেদের মিল থেকে ময়দা দিয়ে বানানো হয় সেমাই। প্রতিদিন বিশ মণ সেমাই তৈরি করেন তারা। তাদের উৎপাদিত সেমাই রং ও কেমিক্যালমুক্ত হওয়ায় চাহিদা রয়েছে বেশ। ঈদের সময় ঘনিয়ে আসায় এখন দম ফেলার সময় নেই তাদের। রাজবাড়ীর চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন জেলার বাজারে সরবরাহ করা হয়ে থাকে তাদের সেমাই।
শ্রমিক নাফিজা খাতুন জানান, সকাল ৮টায় এসে সারাদিন বিরতিহীন কাজ করে রাত ৯টার দিকে 
বাসায় ফেরেন। ঈদের সময় ঘনিয়ে আসায় তাদের কাজের চাপও বেড়েছে। 
আরেক শ্রমিক ফুলজান বেগম জানান, তারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে হাতে গ্লাভস পরে কাজ করেন। মিল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন।
রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরীর সহকারী মহাব্যবস্থাপক চয়ন বিশ্বাস বলেন, রাজবাড়ীর বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় তিনটিসহ জেলায় মোট চারটি কারখানায় প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ১৫শ কেজি সেমাই তৈরি হচ্ছে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত মালিক ও শ্রমিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত বিধিমালা মেনে যেন তারা সেমাই তৈরি করেন। যদি কেউ নোংরা পরিবেশে খাদ্যসামগ্রী তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুনে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের নিচে নেমে আসবে: প্রধান উপদেষ্টা
  • নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা চলমান থাকবে: প্রধান উপদেষ্টা
  • চট্টগ্রাম ওয়াসায় চাকরি, বেতন ছাড়াও আছে সার্বক্ষণিক গাড়ির সুবিধা
  • ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা সরবরাহের নির্দেশ
  • ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
  • ‘নিউজ মিডিয়া মনিটরিং সেবা’ চালু করবে বিএসইসি
  • সরবরাহ চুক্তিতে না আসায় শাস্তির মুখে চালকল মালিক
  • দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল জীবন, অবশেষে অভিশাপমুক্ত হলেন রিয়া
  • জি এম কাদের ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তর স্থগিত
  • দিন-রাত ব্যস্ততা সেমাইপল্লিতে