মহাসড়কে যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, একটি বাস ও দুটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর
Published: 21st, February 2025 GMT
মহাসড়কে একটি বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছিল একটি মাইক্রোবাস। অন্য একটি গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে হঠাৎ বাসটি সামনে চলে আসায় সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে মাইক্রোবাসটির। এ ঘটনার জেরে ওই মাইক্রোবাসে থাকা যাত্রীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বাসটিতে ভাঙচুর চালান। সঙ্গে যোগ দেন আরও একটি মাইক্রোবাসের যাত্রীরা। এর প্রতিবাদে বাসের যাত্রীরাও গাড়ি থেকে নেমে ভাঙচুর করেছেন মাইক্রোবাস দুটি।
আজ শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঘটেছে এমন ঘটনা। ভাঙচুরের সময় স্থানীয় বাসিন্দারা এসে উভয় পক্ষকে শান্ত করেন। পরে পুলিশ এসে এ ঘটনায় বাস ও একটি মাইক্রোবাস জব্দ করে, তবে অন্য মাইক্রোবাসটি পালিয়ে যায়।
সকালে সীতাকুণ্ডের সুলতানা মন্দির এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙচুর হওয়া শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস ও একটি কালো রঙের মাইক্রোবাস সড়কে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বাসের যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন নারী-শিশুকে কাঁদতে দেখা যায়। দুই পক্ষের পুরুষ যাত্রীরা হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে তর্ক করছিলেন।
বাসের এক যাত্রী নিজেকে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বলেন, তিনি বগুড়া থেকে কক্সবাজারের রামুতে নিজের কর্মস্থলে ফিরছিলেন। প্রতিযোগিতা করে গাড়ি চালাতে গিয়ে সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে মাইক্রোবাসটির সঙ্গে বাসের কিছুটা ঝামেলা হয়। এ সময় মাইক্রোবাসে থাকা তরুণদের কাছে ক্ষমা চান বাসের চালক। এরপরও কিছুদূর অতিক্রম করার পর ওই তরুণেরা দ্বিতীয় দফায় বাসটি আটকে জানালার কাচ ভাঙচুর করেন। পরে বাসের কিছু যাত্রী নেমে প্রতিবাদ করেছেন।
মাইক্রোবাসটির সামনের কাচ ভাঙচুর করা হয়েছে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানে ভারত নিয়ে চিন্তা নেই
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটা আজকের জন্য শুধুই ভারত–পাকিস্তানের। বিশ্ব ক্রিকেটের দৃষ্টি আজ থাকবে কেবলই দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ম্যাচটার দিকে। রাজনৈতিক বৈরিতায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রতিবেশী দেশের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক এমনিতেই অম্লাত্মক। ভারত নিজেদের ম্যাচগুলো পাকিস্তানে খেলছে না বলে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তার ঝাঁজ আরও বাড়িয়েছে। শুধু ভারতের কারণেই টুর্নামেন্টটা হচ্ছে দুই দেশে। যদিও ভারত নিজেরা খেলছে শুধু দুবাইয়ে।
তবে যদি বলা হয়, খোদ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তানের দৃষ্টিই আজ পুরোপুরি দুবাইয়ের দিকে নেই, খুব বেশি ভুল বলা হবে না বোধহয়। অনেক বছর ধরেই পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মানে দেশটির রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সবার একটাই চিন্তা—অঘটন এড়িয়ে খেলাটা যেন ঠিকঠাকভাবে হয়, নিরাপদে থাকতে পারে অতিথি দলগুলো। দুবাইয়ের ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের চেয়েও তাই তাদের বড় চিন্তা পাকিস্তানে থাকা দলগুলোর নিরাপত্তা ও সুযোগ–সুবিধা নিশ্চিত করা।
পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক দলগুলোর নিরাপত্তা শঙ্কা অনেক আগে থেকেই ছিল। সেটি আরও বেড়ে যায় ২০০৯ সালের মার্চে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার পর। ওই ঘটনায় পাঁচ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দূরে সরে ছিল পাকিস্তান থেকে। ২০১৫ সাল থেকে আবার বিদেশি দলগুলো দেশটিতে আসতে শুরু করে এবং তখন থেকে এই দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মানেই সফরকারী দলগুলোর সবার আগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার শর্ত জুড়ে দেওয়া।
আরও পড়ুন‘পাকিস্তান যদি ভারতকে হারায়, সেটা হবে অঘটন’১০ ঘণ্টা আগেঅতিথিদের স্বস্তি দিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড সে আয়োজনে ত্রুটি রাখে না কখনো। তা এতটাই যে অনেক সময় বাড়তি এ নিরাপত্তাব্যবস্থা কিছু সম্পূরক প্রশ্নও তুলে দেয়। যেখানে সেনা, পুলিশ আর ভারী অস্ত্র দিয়ে ক্রিকেটকে সুরক্ষিত রাখতে হয়, সেখানে খেলা হওয়ার দরকার কী?
এটা তো কোনো খেলার জন্যই স্বাভাবিক পরিস্থিতি হতে পারে না! হোটেল আর মাঠবন্দী জীবন কি একধরণের মানসিক চাপও তৈরি করে না ক্রিকেটারদের ওপর? কাল ইসলামাবাদে পিসিবি–সংশ্লিষ্ট একজনকে প্রশ্নটা করা হলে অবশ্য তিনি পাল্টা যুক্তি দিলেন, ‘বিদেশি দলগুলো চায় বলেই তো তাদের জন্য রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। এটা না হলে তারাই পাকিস্তানে আসবে না খেলতে।’
দুবাইয়ে কাল অনুশীলনে ভারতের বিরাট কোহলি