এফবিআইয়ের প্রধান পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্যাশ প্যাটেলের নিয়োগ অনুমোদন
Published: 21st, February 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) প্রধান হিসেবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্যাশ প্যাটেলের মনোনয়ন অনুমোদন করেছে মার্কিন সিনেট।
কংগ্রেসের রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত উচ্চকক্ষ সিনেট গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ মনোনয়ন অনুমোদন করে।
ট্রাম্পের অত্যন্ত অনুগত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ৪৪ বছর বয়সী ক্যাশ প্যাটেল। ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার শীর্ষ পদে তাঁর নিয়োগ চূড়ান্ত হলো।
সিনেটে ৫১-৪৯ ভোটে ক্যাশ প্যাটেলের মনোনয়ন অনুমোদন পায়। ডেমোক্র্যাট সিনেটরদের সবাই তাঁর বিপক্ষে ভোট দেন। ভোটাভুটিতে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন সিনেটের দুই মধ্যপন্থী রিপাবলিকান সদস্য। তাঁরা হলেন সুসান কলিন্স ও লিসা মুরকোস্কি।
অতীতে ট্রাম্পের পক্ষে ক্যাশ প্যাটেলের রাজনৈতিক ওকালতি এবং এফবিআইয়ের কার্যক্রমের ওপর এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে এই দুই রিপাবলিকান সিনেটর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে ক্যাশ প্যাটেলের পক্ষের রিপাবলিকানরা যুক্তি দেন, এফবিআইয়ের ওপর জনগণের আস্থা পড়ে গেছে। এ সংস্থার সংস্কার করবেন ক্যাশ প্যাটেল।
ডেমোক্র্যাটরা জোরালোভাবে ক্যাশ প্যাটেলের মনোনয়নের বিরোধিতা করেন। তাঁরা বলেন, তিনি অতীতে ট্রাম্পের সমালোচকদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাই এফবিআইয়ের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তিনি অযোগ্য।
সিনেটের জুডিশিয়ারি কমিটির (বিচারবিষয়ক কমিটি) শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সিনেটর ডিক ডারবিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, এফবিআইয়ের প্রধান হিসেবে ক্যাশ প্যাটেলের নিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে।
ক্যাশ প্যাটেল অতীতে খোলাখুলিভাবে এফবিআইয়ের সমালোচনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে ‘ডিপ স্টেটের’ (রাষ্ট্রের ভেতরে রাষ্ট্র) অস্তিত্ব থাকার ধারণা তিনি জোরেশোরে প্রচার করেছেন। ট্রাম্পের ব্যাপারে এফবিআই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে বলে মনে করেন ক্যাশ প্যাটেল। তিনি সংস্থাটিকে ঢেলে সাজানোর পক্ষে।
ক্যাশ প্যাটেল হিসেবে পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম কাশ্যপ প্রমোদ বিনোদ প্যাটেল। তাঁর জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে। অভিবাসী হিসেবে তাঁর মা-বাবা ভারতের গুজরাট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। ইউনিভার্সিটি অব রিচমন্ড থেকে ক্রিমিনাল জাস্টিস অ্যান্ড হিস্টোরি বিষয়ে স্নাতক করেন ক্যাশ প্যাটেল। এ ছাড়া তিনি পেস ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে পড়াশোনা করেছেন।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৯ সালে মার্কিন প্রশাসনে যোগ দিয়েছিলেন ক্যাশ প্যাটেল। ট্রাম্প প্রশাসনে তাঁর দ্রুত উত্থান হয়েছিল। কিছু গণমাধ্যমের ভাষ্যমতে, ক্যাশ প্যাটেলের এই উন্নতির পেছনে ছিল ট্রাম্পের প্রতি তাঁর পূর্ণ আনুগত্য।
আরও পড়ুনক্যাশ প্যাটেল: এফবিআইপ্রধান পদে ট্রাম্পের পছন্দ এই ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে ঘিরে কেন বিতর্ক০৪ ডিসেম্বর ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র প বল ক ন
এছাড়াও পড়ুন:
১৭ বছর পর সোনারগাঁও আইডিয়াল কলেজের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত সোনারগাঁও আইডিয়াল কলেজ এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা রফিকুল ইসলাম এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও ইসলামিক এডুকেশন সোসাইটির পরিচালক অধ্যক্ষ ড. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঈশাখা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা কলেজের অধ্যাপক মো:ওবায়দুল হক । অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সোনারগাঁও আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান গিয়াস।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ ড. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়া বলেন, সোনারগাঁও আইডিয়াল কলেজ সোনারগাঁও উপজেলায় অন্যতম একটি শ্রেষ্ঠ কলেজ। আমাদের কলেজের শিক্ষকরা খুব আন্তরিকতার সাথে পাঠ দান করে থাকেন এবং আমাদের এই কলেজটি দিয়ে বিভিন্ন চড়াই উৎড়াই এর মধ্য দিয়ে দিন দিন উন্নতির শিখরে আরোহন করছে। আমরা একটি মানসম্মত কলেজ ও ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। তিনি এই কলেজ থেকে যারা পাশ করে গেছে তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই কলেজ থেকে যারা পাস করে বিভিন্ন পজিশনে আছো তোমাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ওবায়দুল হক বলেন, এই কলেজ থেকে অনেক ছাত্রছাত্রী পাশ করে গিয়ে শিক্ষক, সাংবাদিক, ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ অনেক পেশায় যুক্ত আছে। সকলকে কলেজটির উন্নয়নকল্পে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানাই। তিনি আরো বলেন, আমাদের অনেক ঘাটতি থাকতে পারে কিন্তু আন্তরিকতার ঘাটতি নাই। বিগত সরকার শিক্ষার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে শেষ করে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি ২০২৫ সালের মধ্যে একটা বহুতল ভবন নির্মাণ করার জন্য। কলেজের আর্থিক ব্যবস্থাপনার সততা নিয়ে কোন প্রশ্ন করার সুযোগ নাই বলে তিনি সকলকে কলেজটিকে উন্নত করার পরামর্শ ও সহযোগিতার কামনা করেন।
অত্র কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ২০১০ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় সোনারগাঁও উপজেলায় একমাত্র জিপিএ 5 প্রাপ্ত মোঃ রইস উদ্দিন বলেন, সোনারগাঁও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষকরা স্বপ্ন দেখায়, পরিশ্রম করায় ও সফলতার পথ দেখায়। কলেজটি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ব্যর্থতা থেকে। একটা ফ্যাসিস্ট সরকার ছিল,সেই ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুমের সোনারগাঁও আইডিয়াল কলেজের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটেনি।
প্রাক্তন ছাত্রী ছনিয়া আক্তার বলেন, কলেজের শিক্ষকরা আমাদের সন্তানতুল্য স্নেহে পড়ালেখা করিয়েছেন।
আরেক প্রাক্তন ছাত্র মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, সোনারগাঁও আইডিয়াল কলেজ সোনারগাঁ উপজেলা একটি স্বনামধন্য কলেজ হওয়া সত্বেও গত ১৫ বছরে যথাযথ অবকাঠামগত উন্নয়ন হয়নি।আমরা সকলে মিলে কলেজটিকে একটি উন্নত ও মানসম্মত কলেজ হিসেবে গড়ার জন্য সহযোগিতা করব।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট আমির হোসেন, জহিরুল ইসলাম, সোনারগাঁও আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাওলানা আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
এসময় অনুষ্ঠানে আগত প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যায়। দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।