ইসরায়েলের প্রাণকেন্দ্রে তেল আবিবের দুটি এলাকায় পর পর তিনটি বাসে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে বিস্ফোরণে কেউ হতাহত হয়নি। তবে এই ঘটনায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিস্ফোরণের পর তেল আবিব শহরতলির ব্যাট ইয়ামের হালকা রেললাইনে সকল রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া ইসরায়েলজুড়ে বাস চালকদেরও তাদের গাড়ি থামাতে এবং সন্দেহজনক বস্তু আছে কিনা তা তল্লাশি করার নির্দেশও দেওয়া হয়।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তেল আবিব শহরতলির ব্যাট ইয়াম এবং হোলোনের পার্কিং লটে তিনটি খালি বাসে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
পুলিশের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণস্থলে বিপুল সংখ্যক অফিসার মোতায়েন করা হয়েছে, সন্দেহভাজনদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে এবং বোমা নিষ্ক্রিয়করণ বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন যাতে সেখানে কোনও অতিরিক্ত বিস্ফোরক ডিভাইস বা সন্দেহজনক বস্তুর উপস্থিত না থাকে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছবিও প্রকাশ করেছে কিন্তু বিস্ফোরণের ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
পুলিশ হোলোন এবং ব্যাট ইয়ামে বাসের সাথে সংযুক্ত দুটি অবিস্ফোরিত ডিভাইসও খুঁজে পেয়েছে বলে ইয়েদিওথ আহরোনোথের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ইসরায়েলি আর্মি রেডিও পরে জানিয়েছে, ব্যাট ইয়ামে পাওয়া ডিভাইসগুলোর একটিতে (অধিকৃত পশ্চিম তীরের) “তুলকারেম ক্যাম্পে (হামলার) প্রতিশোধ” লেখা ছিল।
ইসরায়েলের আরেক সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২ পরে জানিয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে বিস্ফোরণের প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিম তীরে সামরিক অভিযান জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে চ্যানেল ১৩ প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, নেতানিয়াহু বাসে বিস্ফোরক ডিভাইস লাগানোর বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুতর বলে মনে করেন এবং পশ্চিম তীরে সশস্ত্র গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেবেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় গভীর রাতে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের পর অভিযানে গ্রেপ্তার ৮
কুমিল্লা শহরতলির শাসনগাছায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গতকাল রোববার গভীর রাতে ঝটিকা মিছিল করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সবাই আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী।
গ্রেপ্তার আটজনকে সোমবার বিকেলে কুমিল্লার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহিনুল ইসলাম। এর আগে রোববার রাত দেড়টার দিকে হঠাৎ শাসনগাছা এলাকায় নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে খবর পেয়ে রাতভর নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কুমিল্লা শহরতলির চানপুর ইউনুস মেম্বারের বাড়ি এলাকার মো. আরিফ, নগরের মোগলটুলী এলাকার আবদুল হান্নান, ছোটরা এলাকার এ কে এম মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের রাইচৌ এলাকার মো. কবির হোসেন, একই উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা, জেলার বরুড়া উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের বাসিন্দা ও বর্তমানে শহরতলির ধর্মপুর এলাকার ভাড়ায় থাকা মিজানুর রহমানের ছেলে আরিফুল ইসলাম, জেলার বুড়িচং উপজেলার বানতি গ্রামের জাহিদুল হাসান এবং দেবীদ্বার উপজেলার চাপানগর এলাকার পিয়াল চন্দ্র সাহা।
ওসি মহিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কিছু লোক রোববার রাতে হঠাৎ শাসনগাছা এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের করেন। ঝটিকা মিছিলের পরপরই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেলে করে চারদিকে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে নগরের বিভিন্ন এলাকায় রাতভর অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি মিছিলকারীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া আটজনের মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে আগের মামলা রয়েছে। সোমবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় তাঁদের কুমিল্লার আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আদালত তাঁদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।