Prothomalo:
2025-03-31@03:31:02 GMT

আজ সারা দিন মেলার দ্বার খোলা

Published: 21st, February 2025 GMT

বইমেলার মাহেন্দ্রক্ষণ হলো অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। আজ মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করার মহিমায় উদ্ভাসিত দিনটিতে বইমেলার দুয়ার খুলবে সকাল সাতটায়। চলবে টানা রাত নয়টা পর্যন্ত। গতকাল বৃহস্পতিবার মেলার তথ্যকেন্দ্র থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হচ্ছিল বারবার। গতকাল শহীদ দিবসের আগের দিন বরাবরের মতোই মেলায় লোকসমাগম আর বেচাকেনাও বেড়েছে। আজ ভালো বিক্রি হবে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা।

গতকাল মেলায় এসেছিলেন দেশের অন্যতম প্রধান যাত্রা পালাকার অভিনেতা ও নির্দেশক মিলন কান্তি দে। প্রবীণ যাত্রাশিল্পী জানালেন, এবার নবান্ন প্রকাশনী থেকে এসেছে আমি এক যাত্রাওয়ালা নামে তাঁর আত্মজীবনী। এতে দেশের যাত্রাশিল্পের ইতিহাস এবং বর্তমান অবস্থাও উঠে এসেছে।

বইমেলা এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। অধিকাংশ প্রকাশনী থেকেই তাদের বেশির ভাগ নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল তথ্যকেন্দ্রে নতুন বইয়ের নাম এসেছে ১১২টি। এ বছর বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক রশীদ করীমের জন্মশতবর্ষ। তাঁর দুটি উপন্যাস ও ছোটগল্প, প্রবন্ধ, স্মারক বক্তৃতাসহ বিভিন্ন রচনা নিয়ে রশীদ করীম অমনিবাস প্রকাশ করেছে সাহিত্য প্রকাশ। এটি সম্পাদনা করেছেন প্রাবন্ধিক মফিদুল হক। দিব্যপ্রকাশ এনেছে কবি হেলাল হাফিজের কবিতা সমগ্র। আগামী এনেছে সুরকার সত্য সাহাকে নিয়ে তাঁর স্ত্রী রমলা সাহার স্মৃতিকথা আমার সত্য আমার জীবন, টাঙ্গন এনেছে প্রণব মজুমদারের প্রবন্ধ অর্থের কারবার, অন্যপ্রকাশ এনেছে সজল আশফাকের গল্প ইলিশ ইলিউশনস, ঐতিহ্য এনেছে শামিমা সুলতানার গবেষণা মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য: নানা প্রসঙ্গ, পাঞ্জেরী এনেছে দন্তস্য রওশনের ছোটদের অণুকাব্য।

প্রথমার স্টলে কাল যথেষ্ট ভিড় ছিল গ্রন্থানুরাগীদের। ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন জানান, শহীদ দিবস সামনে থাকায় আহমদ রফিকের ভাষা আন্দোলন বইটি বেশি চলেছে। এ ছাড়া মেজর হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রমের সৈনিক জীবন: গৌরবের একাত্তর রক্তাক্ত পঁচাত্তর, মহিউদ্দিন আহমদের বিএনপি সময়-অসময়, মোস্তাক শরিফের কিশোর উপন্যাস তুমি রবে নীরবে, মশিউল আলমের উপন্যাস দ্বিতীয় খুনের কাহিনি, বিজ্ঞানবিষয়ক বই আবুল বাশার অনূদিত স্টিফেন হকিংয়ের বড় প্রশ্ন ছোট উত্তর বইগুলোর কাটতি ভালো ছিল।

লাল জুলাই: চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পথপরিক্রমা

চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বড় ঘটনা। অভ্যুত্থান নিয়ে অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন এখনো চলমান। সাধারণভাবে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে অভ্যুত্থানের একটি পর্ব শেষ হয়েছে। সেই পর্বের তথ্য-উপাত্ত ও প্রাথমিক ঘটনাক্রমের নির্মোহ বিবরণ সংরক্ষণ করার চেষ্টা করা হয়েছে লাল জুলাই: চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পথপরিক্রমা বইটিতে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও লেখক আলতাফ পারভেজ অভ্যুত্থানের পটভূমি থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক পরিণতি পর্যন্ত অন্তত ১০টি ভাগে অভ্যুত্থানকালীন ঘটনাবলি বইটিতে নথিবদ্ধ করেছেন। অভ্যুত্থানের স্মৃতি ধরে রাখা এবং তখনকার ঘটনাবলির বহুমাত্রিক দিক সামনে রেখে ভবিষ্যতে ইতিহাস লেখার কাজ এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে বইটি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

চার টাকার বিনিময়ে হাজার টাকার পণ্য পেলেন চা-শ্রমিকেরা

৪ টাকার বিনিময়ে প্রায় ১ হাজার টাকার পণ্য কেনার সুবিধা পেলেন চা-শ্রমিক ৬০টি পরিবারের সদস্য। পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে ‘ক্লিন সিটি সিলেট’ নামের একটি সংগঠন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে সিলেট সদর উপজেলার দলদলি চা-বাগানে ‘৪ টাকার ঈদবাজার’ নামের এমন আয়োজন করা হয়।

সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক কাজের অংশ হিসেবে সংগঠনটি পাঁচ বছর ধরে নগরের হতদরিদ্র মানুষ, পথচারী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ টাকার ইফতারসামগ্রী দিয়ে আসছে। প্রতিটি প্যাকেটে প্রায় ১০০ টাকার ইফতারসামগ্রী থাকে। সেসব বিক্রি করা হচ্ছে নামমাত্র ৪ টাকায়। পরে ওই টাকার সঙ্গে নিজেরা আরও টাকা যোগ করে ঈদ উপহার বিতরণের জন্য কেনাকাটা সারেন সংগঠনের কর্মীরা।

শুক্রবার বিকেলে দলদলি চা-বাগানে ৬০টি মুসলিম চা-শ্রমিক পরিবার চার টাকা দিয়ে হাজার টাকার পণ্য কিনে। বিতরণ করা পণ্যের মধ্যে ছিল চাল, ডাল, আলু, চিনি, পেঁয়াজ, ময়দা, সেমাই, দুধ ও সয়াবিন তেল। এর আগে রমজান মাস শুরু হওয়ার পর তিনটি শুক্রবার প্রায় ৮০০ পথচারী, হতদরিদ্র ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের মধ্যে সংগঠনটি ৪ টাকার বিনিময়ে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করে।

চা-শ্রমিকদের ঈদসামগ্রী কেনাকাটার আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। ক্লিন সিটি সিলেটের সভাপতি নাজিব আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠান হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট ভয়েসের প্রকাশক সেলিনা চৌধুরী, সাংবাদিক জয়ন্ত কুমার দাস, আয়োজক সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু তাহের, লজিস্টিক সম্পাদক তারেক রহমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সিলেটের চা-শ্রমিকেরা বেতন ও বোনাস না পেয়ে অসহায়ের মতো পরিবার-পরিজন নিয়ে দিন যাপন করছেন। এক বেলা খেয়ে থাকলে, আরেক বেলা না খেয়ে থাকছেন। তখন ঈদ উপলক্ষে চা-শ্রমিকদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ব্যতিক্রমী এ আয়োজন অনন্য ভালোবাসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এমন চেষ্টা আরও প্রসারিত হোক। সবাই যদি এ ধরনের কাজে এগিয়ে আসেন, তবে সত্যিকার অর্থেই একটি সমৃদ্ধ ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্লিন সিটি সিলেট সব সময়ই মহতী কাজের মধ্যে যুক্ত থাকে। তারা রমজানের শুরু থেকে ৪ টাকায় ইফতার বিতরণ করেছে। এখন তারা মাত্র ৪ টাকায় ঈদসামগ্রী চা-শ্রমিকদের মধ্যে বিক্রি করছে। এ আয়োজন শুধু একটি সামাজিক উদ্যোগ নয়, এটি মানবতার এক অনন্যদৃষ্টান্ত। আমাদের সমাজে যাঁরা কঠোর পরিশ্রম করেন, আমাদের অর্থনীতিকে সচল রাখেন, সেই চা-শ্রমিক ভাই-বোনদের মুখে হাসি ফোটাতে পারা, এটি সত্যিই গর্বের বিষয়।’

ক্লিন সিটি সিলেটের সভাপতি নাজিব আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাবিষয়ক সচেতনতার পাশাপাশি সিলেট, কুমিল্লা ও নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং নিয়মিতভাবে ইফতার ও ঈদ উপহারসামগ্রী বিতরণের মতো আয়োজন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আরও উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেটে ঈদের জামাত কোথায় কখন
  • চার টাকার বিনিময়ে হাজার টাকার পণ্য পেলেন চা-শ্রমিকেরা
  • ঈদ ঘিরে কাপড়ের ব্যবসায় মন্দাভাব