মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। এ সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর বলেন, ‘‘একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন আইজিপি।’’

এর আগে, একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো.

সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ঢাকা/এএএম/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঠাকুরগাঁওয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ককে কুপিয়ে জখম

ঠাকুরগাঁওয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক কবিরুল ইসলাম ওরফে জয়কে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার ভোরে সদর উপজেলার ভুল্লী এলাকার বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় কবিরুলকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কবিরুল ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কেশুরবাড়ি এলাকার মৃত মতিউর রহমানের ছেলে। 

কবিরুল জানান, জুলাই আন্দোলনে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সে সময় পুলিশের গুলিতে তিনি আহত হন। তার শরীরে প্রায় ২৭টি গুলির চিহ্ন রয়েছে। তার চোখেও গুলি লাগে। চোখের চিকিৎসার জন্য ১৯ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকায় গিয়েছিলেন। শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে রাত দুটার দিকে একজন তার কাছে ফোন করে জানতে চান, তিনি কোথায় আছেন। সে সময় কবিরুল তাকে ঠাকুরগাঁও ফিরছেন বলে জানান।

কবিরুল বলেন, ঢাকার একটি বাসে করে আজ ভোরে ঠাকুরগাঁও শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নেমে অটোরিকশায় বাড়ির দিকে রওনা হই। পাঁচটার দিকে ভুল্লী এলাকায় পৌঁছালে দুইটি মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা আমার ওপর হামলা চালায়। তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। তবে আমি হামলাকারীদের চিনতে পারিনি।’

দুর্বৃত্তরা কবিরুলকে কুপিয়ে ফেলে যাওয়ার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান । 

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রাকিবুল ইসলাম বলেন, কবিরুলের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সেসব জায়গায় সেলাই দেওয়া হয়েছে। তাকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

ঠাকুরগাঁওয়ের ভুল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। তবে এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ