Prothomalo:
2025-03-01@12:36:39 GMT

ম্রো ভাষা শিখছে শিশুরা

Published: 21st, February 2025 GMT

২ / ১০বর্ণমালার বই হাতে যাচ্ছে দুই ম্রো শিশু

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রোজার মাসে কেমন থাকবে আবহাওয়া

আগামীকাল রোববার থেকে শুরু হচ্ছে আরবী রমজান মাস। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ মাসে ইবাদত বন্দেগিতে কাটিয়ে দেন। খ্রিস্টাব্দ অনুসারে এটি মার্চ মাস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শীতের পর মার্চ মাস থেকেই গরম শুরু হয়। আজ শনিবার মার্চ মাসের প্রথম দিন। আগামীকাল থেকে শুরু হবে রোজা। রোজার মাসে কেমন থাকবে আবহাওয়া, তা নিয়ে কৌতুহল থাকে মুসলমানদের। 

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, গত কয়েক দশকের তুলনায় এখন উত্তপ্ত বৈশ্বিক তাপমাত্রা, যার প্রভাব টের পাওয়া যায় গ্রীষ্মের শুরুতেই। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে দাবদাহে এবারও পুড়বে সারা দেশ। গত বছর খরতাপে বাংলাদেশে বিরাজ করেছিল টানা এক মাসের তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ছাড়িয়েছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাই, গরমের প্রথম মাসে শুরু হতে যাওয়া রমজানেও আবহাওয়া নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে। এই মার্চ মাসে গরমের সঙ্গে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড় হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এপ্রিল মাস উষ্ণতম হওয়ায় মার্চ মাসের গরমটা বেশিই হয়ে থাকে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

এদিকে চলতি মাস নিয়ে বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছে, চলতি বছর মার্চ মাসে দেশের গড় তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকতে পারে ও বৃষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিক হতে কিছুটা কম হতে পারে। এ মাসে বঙ্গপোসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। তবে তা বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। 

কেমন থাকতে পারে মার্চ মাসের আবহাওয়া

মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবুল কালাম মল্লিক সমকালকে বলেন, চলতি মাসের ৬ তারিখের পর তাপমাত্রা একটু কমতে পারে। কারণ, এ সময় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমবে। তবে গরমের অনুভূতি একটু বাড়তে পারে।

তিনি বলেন, বৃষ্টি হওয়ার আগে মেঘমালা তৈরির সময় বাতাসে আদ্রতা বেড়ে যায়। এতে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এই সময় দেশের আকাশের অনেক স্থানে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে।

ড. মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় ও দেশের অন্যত্র সামান্য কিছু এলাকায় আকস্মিকভাবে কিছুটা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। পরে তা উত্তরাঞ্চলে বিস্তৃত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা সমকালকে বলেন, মার্চ মাসের ১০ তারিখের পর ঝড়ে হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় দমকা হাওয়ার সঙ্গে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর কালবৈশাখী ঝড় বেড়ে যেতে পারে। 

তিনি আরও জানান, মার্চের ১০ তারিখের পর অধিকাংশ সময়ই দেশের আকাশ প্রায় পরিষ্কার থাকতে পারে। তবে ১৫ তারিখের পর কিছু এলাকায় আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় দেশের কোথাও উল্লেখযোগ্য বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বলেন, মার্চ মাসে দেশের উত্তরাঞ্চলের দু-এক স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এ ছাড়া ১৮ তারিখের পর রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু এলাকায় মৃদু স্বল্পস্থায়ী তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি রাতের দিকে দেশের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আগামী ২১ থেকে মার্চ মাসের শেষ সময় পর্যন্ত দেশের অনেক এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে এবং শেষ দিকে অনেক এলাকা মেঘাছন্ন থাকতে পারে। ২৫ তারিখের পর দেশের অনেক এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে এবং রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক এলাকায় মাঝারি থেকে তীব্র বজ্রপাতের আশঙ্কা আছে। এ সময় দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাঝারি থেকে প্রায় তীব্র কালবৈশাখী ঝড়ের (৬০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে) আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগের কিছু এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

ড. মল্লিক বলেন, মার্চ, এপ্রিল ও মে- এই তিন মাস ‘ক্রিমসন টাইম’। এ সময় কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। এই সময়কে আমরা বর্ষাপূর্ব সময় বলি। এপ্রিল উষ্ণতম মাস হলেও মার্চ মাসের গরমটা এপ্রিলের কাছাকাছি বলা যায়। মার্চ থেকে গরমটা শুরু হয়ে এপ্রিলে গিয়ে চূড়ায় পৌঁছায়। মে মাস থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। আর জুন থেকে বর্ষাকাল শুরু হয়। মার্চ মাসে যেহেতু গরম থাকবে; সুতরাং রমজানটা আমাদের সেভাবেই পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, মার্চ মাসে কালবৈশাখী ঝড় হবে। আর কালবৈশাখী অল্প সময় ধরে হয়। এর ব্যাপ্ত ৩০ মিনিট থেকে দেড় ঘণ্টা। এ সময় প্রচণ্ড বজ্রপাত হয়, এর সঙ্গে থাকে বিদ্যুৎ চমক।

আবহাওয়াবিদ ড. কালাম মল্লিক বলেন, মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হয়। এই সময় কালবৈশাখীও হয়। এই তিন মাসে সারা দেশে ২০০ থেকে ৩০০ মানুষ মারা যান।

সবাইকে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, কালবৈশাখী ঝড় শুরু হওয়ার আগে দেশের উত্তর-পশ্চিম কোনে পাহাড়ের মতো উচু করে মেঘ জড়ো হয়, সঙ্গে বিদ্যুৎ চমক থাকে। এরপর যদি সেখান থেকে বৃষ্টি হয়, তবে সেটি কালবৈশাখী ঝড়। এই ঝড়ের স্থায়ীত্ব খুব অল্প সময়। কালবৈশাখীর সঙ্গে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হয়ে থাকে। তবে সব কালবৈশাখী ঝগে শিলাবৃষ্টি হয় না।

ড. মল্লিক বলেন, এ সময় কেউ যদি এক থেকে দেড় ঘণ্টা বাড়িতে বসে থাকেন, তবে তিনি ঝুঁকিমুক্ত থাকেন। তিনি বলেন, বজ্রপাত বা বিদ্যুৎ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কতা যদি কেউ অনুসরণ করেন, তবে তিনি বিপদমুক্ত থাকতে পারেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ