কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল
Published: 21st, February 2025 GMT
একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সব স্তরের মানুষের ঢল নেমেছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকেই শ্রদ্ধা জানাতে ফুল নিয়ে আসতে দেখা গেছে শহীদ মিনারে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ৪০ মিনিটে সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পলাশী মোড়ের প্রবেশ পথ খুলে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে।
পলাশী থেকে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ও জগন্নাথ হল হয়ে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছায় জনতার মিছিল। শ্রদ্ধা জানানো শেষে সব স্তরে বাংলা ভাষা প্রচলন না হওয়া, পাশাপাশি মাতৃভাষা চর্চায় নতুন প্রজন্মের অনীহা ও অনাগ্রহে হতাশা প্রকাশ করেন প্রবীণরা। তবে মায়ের ভাষা চর্চা আর মর্যাদা রক্ষায় আরো সচেতন হওয়ার প্রত্যয় ছিল তরুণদের কণ্ঠে।
আরো পড়ুন:
পঞ্চনারীর মনোমুগ্ধকর অভিনয়
শ্রদ্ধার নতুন ফ্ল্যাট: ১ কোটি অগ্রিম, ৮ লাখ টাকা ভাড়া
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, “বাংলাকে যেভাবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা করার দরকার ছিল, বাংলাদেশ সরকার এখনো সেটি করতে পারেনি। রাষ্ট্রীয় চর্চার ক্ষেত্রে বাংলাকে মর্যাদা দিতে হবে।”
এর আগে, রাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো.
ঢাকা/মামুন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এক শ ফ ব র য় র
এছাড়াও পড়ুন:
ভিডিও বানাতে গিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক, হত্যা করলেন স্বামীকে
ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার রবিনার সঙ্গে সুরেশের দেড় বছর আগে ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয়। এরপর একসঙ্গে তাঁরা ভিডিও বানানো শুরু করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রবিনার সময় কাটানো আসক্তির পর্যায়ে চলে যায়। এ নিয়ে প্রায়ই স্ত্রী রবিনার সঙ্গে প্রাভিনের ঝগড়া হতো। প্রাভিন সন্দেহ করতেন, সুরেশের সঙ্গে রবিনার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।
গত ২৫ মার্চ প্রাভিন বাড়িতে ফিরে তাঁর সেই আশঙ্কার প্রমাণ পান। তিনি রবিনা ও সুরেশকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান। তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। এ ঘটনার পর থেকে প্রাভিনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এর তিন দিন পর প্রাভিনের মরদেহ পাওয়া যায় বাড়ি থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায়।
ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মোটরসাইকেলে তিনজন ছিলেন, কিন্তু ফেরার সময় তাঁদের মধ্যে একজন অনুপস্থিত। এরপর পুলিশ তাঁদের শনাক্ত করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিনা ও সুরেশ হত্যাকাণ্ডে নিজেদের দোষ স্বীকার করেন।
সুরেশ পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই দিন রবিনা ভিডিও বানানো শেষে ভিওয়ানির প্রেমনগরে প্রাভিনের বাড়িতে যান। সুরেশ সেখানে রবিনার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। প্রাভিন বাড়িতে ফিরে অন্তরঙ্গ অবস্থায় তাঁদের দেখতে পান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর প্রাভিনকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়।
হত্যার পর সারা দিন রবিনা স্বাভাবিক আচরণ করেন। আত্মীয়রা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, প্রাভিন কোথায় তা তিনি জানেন না। এরপর রাত নামার অপেক্ষা করেন রবিনা। রাতে সুরেশ মোটরসাইকেল নিয়ে এলে তাঁরা দুজন মিলে প্রাভিনের মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।
২৬ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুরেশ ও রবিনা মোটরসাইকেলের মাঝখানে প্রাভিনের মরদেহ বসিয়ে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরের একটি নালায় ফেলে দেন। তিন দিন পর পুলিশ সেই নালা থেকে প্রাভিনের মরদেহ উদ্ধার করে এবং তদন্ত শুরু হয়।