`তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতা আগামীর বাংলাদেশ গড়বে`
Published: 21st, February 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ''আমরা বিশ্বাস করি ৪৭ থেকে ৫২ এবং ৭১ থেকে ২৪ একই সূত্রে গাঁথা। আমাদের সবাইকে ২৪-এর স্পিরিটকে ধারণ করতে হবে। ৫২ ও ৭১ থেকে উজ্জীবিত হয়ে তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামীর বাংলাদেশ গড়বে। এটিই আমাদের আজকের শপথ।''
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ''মহান শহীদ দিবসে জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছি। আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি, সেই ১৯৫২ সালে আমাদের পূর্বসূরিরা ভাষার জন্য রাজপথে নেমেছিলেন। তাদেরও বাধা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, যৌক্তিক দাবিতে লড়াই করে রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে আমরা দাবি আদায় করে নিয়েছি। একইভাবে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে দেশের ছাত্র-জনতা আবার যখন রাজপথে নেমেছে, তখন আবারো আমাদের বাধা দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু, যৌক্তিক দাবিতে আমাদের পূর্বসূরিদের মতো আমরাও রক্ত দিয়েছি, জীবন দিয়েছি, স্বৈরাচারকে দেশ থেকে উৎখাত করেছি। খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায় করে নিয়েছি।''
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ''আমরা বায়ান্ন সালে ভাষার দাবিতে লড়াই করেছিলাম। কিন্তু, বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। সরকারকে আহ্বান জানাব, বাংলাদেশের মাটিতে যতগুলো ভাষা রয়েছে, সব জাতিগোষ্ঠী এবং ভাষাগুলোকে সংরক্ষণ, অধিকার দেওয়ার। শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার জন্য বাংলাদেশে যত দূতাবাস আছে, সেখানে বাংলা হাউজ কৃষ্টি-কালচার চালু করার। প্রত্যেকটি দেশে যদি আমরা বাংলা হাউজ চালু করতে পারি, বিশ্ববাসীকে আমরা জানান দিতে পারব, বাংলাদেশের মানুষের আশা, মনন সম্পর্কে। যেই ভাষার জন্য আমাদের ভাই-বোনেরা শহীদ হয়েছিল।''
তিনি আরো বলেন, ''আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, বাংলা ভাষাকে সরকারি বিল-পত্র থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সুন্দর পরিক্রমায় নিয়ে আসার জন্য।''
ঢাকা/মামুন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের খুব কাছে ইরান: জাতিসংঘ
পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে ইরান খুব বেশি দূরে নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি। তেহরানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে এ মন্তব্য করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে যে, পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করছে ইরান। যদিও তেহরান কখনোই তাদের অভিযোগ স্বীকার করেনি। তেহরানের দাবি, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোটাই বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। এ ছাড়া ইরান বিপজ্জনকভাবে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)।
গালফ টাইমসের খবরে বলা হয়, বুধবার ফরাসি পত্রিকা লে মন্ডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্রোসি বলেন, এ বিষয়টি ধাঁধার মতো। তাদের কাছে খণ্ড খণ্ড (পারমাণবিক) শক্তি আছে, একদিন তারা এগুলো একত্রিত করতে পারবে। ইরানের ওই পর্যায়ে পৌঁছাতে এখনও বহু পথ বাকি থাকলেও সময়টা খুব বেশি দূরে নয়, যা আমাদের স্বীকার করতেই হবে।
ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতার বিষয়টি যাচাই করার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শুধু এটা বললেই হবে না যে, আমাদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র নেই, যার ভিত্তিতে তারা আপনাকে বিশ্বাস করবে। এ ক্ষেত্রে বিষয়টি আমাদের যাচাই করতে দিতে হবে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলার পরিকল্পনা আটকে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পরিবর্তে তিনি একটি চুক্তির মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কার্যক্রম সীমিত করার চেষ্টা করছেন। মার্কিন প্রশাসনসহ অন্যদের বরাত দিয়ে বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।
রয়টার্স জানায়, ইরানের তেল রপ্তানিকে লক্ষ্য করে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে একটি চীনা ‘টিপট’ তেল পরিশোধনাগারও রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তেহরানের ওপর চাপ বাড়াতে আবারও তার ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতি চালু করেছে।