মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পুরাতন মাওয়া ফেরিঘাট এলাকায় ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে এক গৃহবধূ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে ট্রলারে ওঠার পর যাত্রীবেশী তিন যুবক সংঘবদ্ধ হয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেন।

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় পদ্মা সেতু উত্তর থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পরে বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ইয়ামিন মুন্সী (১৯), জামাল মোল্লা (২৩) ও জব্বার শেখকে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ বিভাগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে গ্রেপ্তারকৃত তিন যুবক বৃহস্পতিবার বিকেলে মুন্সীগঞ্জের সংশ্লিষ্ট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আসামিদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি জনৈক গৃহবধূ তার স্বামীসহ পদ্মা সেতু (উত্তর) থানায় হাজির হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে মামলা রুজু করে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু করে।

পরদিন ১৮ ফেব্রুয়ারি পদ্মা নদীর পাড় থেকে অভিযুক্ত জামাল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া জবানবন্দির ভিত্তিতে ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৭টার দিকে পদ্মা সেতু সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপর দুই অভিযুক্ত ইয়ামিন ও জব্বারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার জানান, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ ও আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে আসামিরা জানান যে, ভুক্তভোগী গৃহবধূ পুরাতন মাওয়া ফেরিঘাট থেকে তার স্বামীর বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে ঘাটে নৌকার জন্য অপেক্ষা করাকালে অভিযুক্ত আবু বকর সিদ্দিক ও জামাল মোল্লা তাকে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ট্রলারে উঠায়। পথিমধ্যে অপর দুই অভিযুক্ত ইয়ামিন ও জব্বার ট্রলারে ওঠে। সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে নদীপথে নির্জনতার সুযোগে ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক জনমানবহীন পদ্মা নদীর ডোমরাখালী চরে নিয়ে চারজন মিলে ধর্ষণ করে।

পরবর্তীতে অভিযুক্তরা মাওয়া পুরাতন কোস্ট গার্ড স্টেশনের পাশে ভিকটিমকে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ট্রলার থেকে নামিয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দিয়ে দ্রুত চলে যায়।

পুলিশ সুপার আরও জানান, অভিযুক্ত তিনজনই বৃহস্পতিবার আদালতে দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় ব্যবহৃত নৌকা এবং আলামত হিসাবে একটি জিও ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে এবং তার ব্যবহৃত জামাকাপড় আলমাত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। বর্তমানে মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান এবং পলাতক অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ হবধ

এছাড়াও পড়ুন:

গান নিয়ে দেশজুড়ে ঘুরতে চান সাহিল

টিকটক ছাড়িয়ে ইউটিউব আর ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়েছে ‘অনুভূতি’। গানটি দিয়ে তরুণ শ্রোতাদের মনে একধরনের আকুলিবিকুলির জন্ম দিয়েছেন সাহিল সানজান। গানটির মধ্যে অভিমান আর প্রেমকে খুঁজে ফিরছেন তরুণেরা। ২০২২ সালের ৪ মে মুক্তি পাওয়া লাভ ভার্সেস ক্রাশ নাটকে গানটি গান সাহিল। গানটির সুর বেঁধেছেন পিরান খান, কথা লিখেছেন পিরান ও তানজিব সৌরভ।

প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গানটি বিষয়ে সাহিল বলেন, ‘সেই সময় বিরহের গান গাইতে বেশি পছন্দ করতাম। আমার মনে হতো, আমার কণ্ঠের সঙ্গে সেটাই সবচেয়ে বেশি যায়। একই সঙ্গে আমার নিজের কণ্ঠ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষারও ইচ্ছা ছিল। গানটি একেবারে নিখুঁত করার জন্য পিরান ভাইয়ের সঙ্গে প্রায় পাঁচবার রেকর্ড করেছি।’

সাহিল সানজান

সম্পর্কিত নিবন্ধ