রমজান-ঈদ ঘিরে মানি এস্কর্ট সেবা চালু ডিএমপির
Published: 21st, February 2025 GMT
ঈদ ঘিরে প্রতি বছরই রমজান মাসে বিপণি বিতানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কেনাকাটা বেড়ে যায়। এসময় অধিক পরিমাণ লেনদেন ও নগদ টাকা হস্তান্তর বা স্থানান্তর যেমন বাড়ে তেমনি পাল্লা দিয়ে বাড়ে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি। এ বছর কোনো ব্যক্তি, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অধিক পরিমাণ অর্থ বা টাকা স্থানান্তরের জন্য পুলিশের সহায়তা প্রয়োজন মনে করলে তাদের মানি এস্কর্ট সেবা প্রদান করবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তবে এজন্য পুলিশ এস্কর্ট প্রত্যাশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে যানবাহনের সংস্থান করতে হবে।
বৃহস্পতিবার ডিএমপির মুখপাত্র উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপির সহায়তা প্রত্যাশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সংশ্লিষ্ট থানা অথবা পুলিশ কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়।
কন্ট্রোলরুমের নম্বরগুলো হলো- ২২৩৩৮১১৮৮, ০২৪৭১১৯৯৮৮, ০২৯৬১৯৯৯৯, ০১৩২০-০৩৭৮৪৫, ০১৩২০-০৩৭৮৪৬। এছাড়া জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল দিয়েও এই সেবা চাওয়া যাবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এছাড়া অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তরের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মেনে চলার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পবিত্র রমজানে নগদ অর্থ উত্তোলন ও পরিবহনে ‘মানি এসকর্ট’ সেবা দেবে ডিএমপি
নগদ অর্থ উত্তোলন ও পরিবহনে ‘মানি এসকর্ট’ সেবা দেবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ জন্য সহায়তাপ্রত্যাশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সংশ্লিষ্ট থানা অথবা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে ডিএমপি। আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ক্রয়-বিক্রয়, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থ লেনদেন ও স্থানান্তর বেড়ে যায়। কোনো ব্যক্তি, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বেশি অর্থ স্থানান্তরের জন্য পুলিশের সহায়তা প্রয়োজন মনে করলে ডিএমপি তাদের এসকর্ট সেবা দেবে। এ ক্ষেত্রে যারা এসকর্ট সেবা নেবে, যানবাহনের ব্যবস্থা তাদের করতে হবে।
এসকর্ট সেবা পেতে পুলিশ কন্ট্রোল রুমসহ যোগাযোগের বেশ কিছু নম্বর দিয়েছে ডিএমপি। সেগুলো হলো ২২৩৩৮১১৮৮, ০২৪৭১১৯৯৮৮, ০২৯৬১৯৯৯৯, ০১৩২০-০৩৭৮৪৫, ০১৩২০-০৩৭৮৪৬ এবং জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯।
এ ছাড়া অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তরের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মেনে চলার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। নিয়মগুলো হলো:
বড় অঙ্কের অর্থ একা বহন না করে সঙ্গে অতিরিক্ত একাধিক বিশ্বস্ত ব্যক্তি রাখা যেতে পারে। অর্থ বহনসংক্রান্ত কোনো তথ্য আগেই অন্যকে জানানো থেকে বিরত রাখা।
পায়ে হেঁটে অথবা রিকশায় অর্থ বহনের পরিবর্তে গাড়িতে অর্থ বহন করা যেতে পারে।
নগদ অর্থ বহনের আগে নিশ্চিত হতে হবে যেন আপনার দোকান বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কেউ দুষ্কৃতকারীদের তা জানিয়ে না দেয়।
দৈনিক নগদ অর্থ বহনের প্রয়োজন হলে মাঝেমধ্যে ভিন্ন পথ ব্যবহার করা যেতে পারে, যেন দুষ্কৃতকারীরা আগেই ওত পেতে থাকার সুবিধা নিতে না পারে।
অর্থ বহনের সময় ব্যাগ এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে, যেন বাইরে থেকে বোঝা না যায়। এতে দুষ্কৃতকারীরা প্রলুব্ধ হওয়ার সুযোগ পাবে না।
পুরো টাকা একসঙ্গে না রেখে বিভিন্ন জায়গায় যেমন পকেটে, ব্যাগে, সঙ্গে থাকা ব্যক্তির কাছে ভাগ করে রাখা যেতে পারে।
গলি কিংবা নির্জন পথ ব্যবহারের পরিবর্তে অপেক্ষাকৃত ব্যস্ত সড়ক ব্যবহার করা যেতে পারে।
ট্রাফিক সিগন্যাল বা জ্যামে পড়লে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে।
সিসিটিভি আছে এমন ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করার চেষ্টা করতে হবে। ব্যাংক থেকে বের হওয়ার পর বোঝার চেষ্টা করতে হবে সন্দেহজনক কেউ আপনাকে অনুসরণ করছে কি না।
বড় অঙ্কের অর্থ পরিবহনের কাজটি রাতে না করে দিনের বেলায় সম্পন্ন করা যেতে পারে।
এটিএম বুথের ভেতরে থাকা কোনো গোপন ক্যামেরায় আর্থিক লেনদেনে ব্যবহৃত গোপন নম্বরটি ধারণ করা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফারের কাজটি চেকের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যেতে পারে।
বড় অঙ্কের টাকা পরিবহনে প্রয়োজনে পুলিশ এসকর্ট সেবা গ্রহণ করা।