বাংলাদেশের ৪১টি ভাষার মধ্যে বিপদাপন্ন মাত্র ৩টি ভাষা সংরক্ষণের কাজ শুরু করতে পেরেছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট। যদিও কাজটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বিপন্নপ্রায় এই তিন ভাষা হচ্ছে রেংমিটচ্য, কন্দ ও পাত্র (লালেংথার)। এর কোনো একটি ভাষায় মাত্র দুজন কথা বলেন, কোনো ভাষায় ছয়জন। এই ভাষাগুলো যে বিপন্ন, তা জানা গিয়েছিল ২০১৬ সালে ভাষা সমীক্ষা শেষে। অথচ তা নিয়ে কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিতেই চলে গেছে সাত বছর। এর মধ্যে ভাষাগুলো আরও বিপন্ন হয়েছে। কমে গেছে সে ভাষায় কথা বলা মানুষের সংখ্যাও।

১৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই তিন বিপন্ন ভাষার শব্দ সংরক্ষণ করা হয়েছে। এবার ডিজিটাইজেশনের কাজ শুরু হবে। দেশের বিপন্ন অন্যান্য ভাষার মধ্যে আছে খাড়িয়া, কোডা, সৌরা, মুন্ডারি, খুমি, পাংখোয়ার মতো ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর আরও ১৪টি ভাষা। ভাষাগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা না গেলে চিরতরে মুছে যাবে। এসব ভাষার লিপি উদ্ধার, লিপি না থাকলে নতুন লিপি প্রণয়ন এবং সংরক্ষণের দায়িত্ব মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের। এ ভাষা ব্যবহারকারীরা যাতে ভাষাটি ব্যবহার করতে পারেন, সে ব্যবস্থাও তাদের করার কথা।

দেশের বিপন্ন অন্যান্য ভাষার মধ্যে আছে খাড়িয়া, কোডা, সৌরা, মুন্ডারি, খুমি, পাংখোয়ার মতো ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর আরও ১৪টি ভাষা। ভাষাগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা না গেলে চিরতরে মুছে যাবে।

ভাষা নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের দেশব্যাপী ক্ষেত্রসমীক্ষার কাজ শেষ হওয়ার পর গত আট বছরে তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে মাত্র একটি। তা–ও তা জনসাধারণের হাতের নাগালে পৌঁছায়নি। বাংলা ও ইংরেজি মিলিয়ে ক্ষেত্রসমীক্ষার কাজ নিয়ে প্রকাশের কথা ছিল মোট ২০টি খণ্ড। সে গবেষণায় জানা গিয়েছিল বাংলাদেশের ৪১টি ভাষার মধ্যে ১৬টির নিজস্ব লিপি রয়েছে। বাকি ২৫টি ভাষা লিপিহীন।

মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের আরেক দায়িত্ব লিপিহীন ভাষাগুলোর জন্য লিপি প্রবর্তন করা। এ ব্যাপারে এখনো কোনো উদ্যোগ নিতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। দেশের বিপন্ন ভাষা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষা নিয়ে কাজে গতি না থাকলেও শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি ছয়টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষায় ভাষান্তর করে গত বছর প্রকাশ করেছে মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট।

এ বছরের অমর একুশে বইমেলায় এ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বসাহিত্যের সেরা গল্প সংকলনের বই। এতে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার জনপ্রিয় ১৪টি উল্লেখযোগ্য গল্প বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে। এই অনুবাদের কাজটি করেছেন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এর মধ্যে মাত্র একজনের অনুবাদের অভিজ্ঞতা আছে বলে জানা যায়।

ভাষা নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের দেশব্যাপী ক্ষেত্রসমীক্ষার কাজ শেষ হওয়ার পর গত আট বছরে তা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে মাত্র একটি। তা–ও তা জনসাধারণের হাতের নাগালে পৌঁছায়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আধুনিক ভাষা নিয়ে কাজ করা একজন শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের কাজ বাংলাকে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা। এ জন্য ভাষা নিয়ে কাজ করে, এমন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। যৌথভাবে কাজ করতে হবে। সে দেশের ভাষায় বাংলা সাহিত্য অনূদিত হতে হবে। তা না করে উল্টো অদক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে বাংলা অনুবাদে বই প্রকাশ হচ্ছে দ্রুত সময়ে কাজ দেখানোর চেষ্টা। তিনি আরও বলেন, নামের সঙ্গে ‘আন্তর্জাতিক’ শব্দটি থাকলেও আদতে বিশ্ব পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটির সংযোগ দুর্বল। সার্বিকভাবে প্রতিষ্ঠানটির উল্লেখযোগ্য কোনো অর্জন নেই।

১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘ বাঙালির অমর একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আইন পাস হয়। এক বছর আগে, ২০১১ সালের মাঝামাঝি শুরু হয় জনবল নিয়োগ ও ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত সুরম্য এই প্রতিষ্ঠানটি ইউনেসকোর দ্বিতীয় গ্রেডের একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

নামের সঙ্গে ‘আন্তর্জাতিক’ শব্দটি থাকলেও আদতে বিশ্ব পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটির সংযোগ দুর্বল। সার্বিকভাবে প্রতিষ্ঠানটির উল্লেখযোগ্য কোনো অর্জন নেই।নাম প্রকাশ না করার শর্তে আধুনিক ভাষা নিয়ে কাজ করা একজন শিক্ষকগবেষণায়ও নেই, বরাদ্দেও নেই

মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের দুর্বলতার তালিকায় আছে গবেষণা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রসঙ্গও। মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আইন-২০১০ অনুযায়ী, এই ইনস্টিটিউটের ২৩টি দায়িত্ব পালন করার কথা। এর মধ্যে প্রথম দায়িত্ব ‘দেশে ও দেশের বাইরে বাংলা ভাষার প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ।’ প্রতিষ্ঠানের আইন অনুসারে দ্বিতীয় দায়িত্ব ‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও ক্ষুদ্র জাতিসমূহের ভাষা সংগ্রহ, সংরক্ষণ, এ–সংক্রান্ত গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা’।

গত এক বছরে এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিশ্বসাহিত্যের সেরা গল্প ছাড়া প্রকাশিত হয়েছে বার্ষিক প্রতিবেদন, ১২ পৃষ্ঠার ত্রৈমাসিক পত্রিকা মাতৃভাষা-বার্তা, আর দুটি ভাষা তথ্য সংগ্রহ প্রতিবেদন। এদিকে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রতিবেদন বলছে, গবেষণা অনুদান খাতে একটি টাকাও খরচ করতে পারেনি এই প্রতিষ্ঠান। মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান হলেও গবেষণা খাতে বরাদ্দ উৎসব অনুষ্ঠানের বরাদ্দের তিন ভাগের এক ভাগ।

মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক (অর্থ, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা) শেখ শামীম ইসলামের দেওয়া তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরে (২০২৪-২০২৫) প্রতিষ্ঠানের মোট বাজেট ৮ কোটি ১ লাখ ৮১ হাজার টাকা। এর মধ্যে অনুষ্ঠান ও উৎসবাদি খাতে বরাদ্দ দেড় কোটি টাকা, বেতন–ভাতা ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা আর গবেষণার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ লাখ টাকা।

প্রতিষ্ঠানটি ভাষাবিষয়ক গবেষণার জন্য বৃত্তি চালু করেছে। এর আওতায় ১৩ জন গবেষক ভাষা নথিভুক্তকরণ, ভাষার হারিয়ে যাওয়া উপাদান সংরক্ষণ এবং অভিধান তৈরি নিয়ে কাজ করছেন। পোস্ট ডক, পিএইচডি, এমফিল, ফেলোশিপ ও প্রফেশনাল—এই পাঁচ ভাগে কাজ চলছে। তবে এই কাজ চলমান থাকার কথা গত বছরেও শোনা গেছে। এখন পর্যন্ত কোনো গবেষণাপত্র উপহার দিতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।

গত এক বছরে এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিশ্বসাহিত্যের সেরা গল্প ছাড়া প্রকাশিত হয়েছে বার্ষিক প্রতিবেদন, ১২ পৃষ্ঠার ত্রৈমাসিক পত্রিকা মাতৃভাষা-বার্তা, আর দুটি ভাষা তথ্য সংগ্রহ প্রতিবেদন।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইটেও অবশ্য প্রমাণ পাওয়া গেল জনগণের অর্থে পরিচালিত ভাষা সংরক্ষণের, প্রচার-প্রসারের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এ প্রতিষ্ঠানে একজন গবেষকেরও নিয়োগ হয়নি। গবেষকের কোনো পদই নেই। কর্মকর্তাদের তালিকায় ১৫ জনের মধ্যে ১১ জনই বিসিএস কর্মকর্তা।

এসব বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে গত নভেম্বরে ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘অবকাঠামো নির্মাণেই অনেক সময় গেছে। প্রতিষ্ঠানে গত দুই বছরে সবচেয়ে বেশি কাজ হয়েছে। এখানে যে পরিমাণ জনবলসংকট, তা নিয়ে কীভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে প্রতিষ্ঠান? এরপরও যদি গত দুই বছরের দিকে তাকাই, আমি মনে করি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট সম্পূর্ণ জনবল পেলে অনেক কাজ করতে পারবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভাষা নিয়ে গবেষণা সব সময় সব দেশেই ধীরগতির কাজ। না বুঝেই মানুষ এ বিষয়ে মন্তব্য করেন।’

তবে এ বক্তব্যের বিপরীতে ভাষাবিদেরা সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ান ল্যাঙ্গুয়েজেসের (সিআইআইএল) কর্মপদ্ধতি ও দ্রুত সময়ে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের উদাহরণ দিয়ে থাকেন। প্রতিষ্ঠানটি দেশটির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে ভাষাসংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ এবং সহায়তা দেয়। অপ্রধান ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষাগুলোকে সুরক্ষা দিতে এবং নথিভুক্ত করতে কাজ করে। বিষয়বস্তু তৈরির মাধ্যমে ভারতীয় ভাষার উন্নয়নে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে দেখা যায়, আগামী এপ্রিল মাসেই তারা ভাষা নিয়ে আয়োজন করছে কয়েক ধাপের আলোচনা অনুষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান যেসব ভাষা নিয়ে কাজ করে, সেসব ভাষার জন্য বিভিন্ন কোর্সের বইও প্রকাশ করে থাকে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইটেও অবশ্য প্রমাণ পাওয়া গেল জনগণের অর্থে পরিচালিত ভাষা সংরক্ষণের, প্রচার-প্রসারের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এ প্রতিষ্ঠানে একজন গবেষকেরও নিয়োগ হয়নি। গবেষকের কোনো পদই নেই। কর্মকর্তাদের তালিকায় ১৫ জনের মধ্যে ১১ জনই বিসিএস কর্মকর্তা।বাংলার জন্য নেই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড

বিপন্ন ভাষা সংরক্ষণে বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ (ইএলপি) বা ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম সংস্থার মতো আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত অংশীদারদের সঙ্গে কোনো সংযোগ নেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের। ভাষা ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে কাজ করেন, এমন শিক্ষকেরা বলছেন, বিশ্বের অন্তত ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা নিয়ে পড়ানো হয়। এদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার কথা কখনো ভাবেনি এই প্রতিষ্ঠান। অথচ ভাষার উৎকর্ষ সাধনের জন্যই তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট।

ব্রিটিশ কাউন্সিল যেমন ইংরেজি ভাষা শেখার জন্য, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ফরাসি ভাষার জন্য বিগিনার, লার্নার, প্রি-ইন্টারমিডিয়েট বা স্কোরের একটি মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে, এমন পদ্ধতি বাংলা ভাষার জন্য আজও নির্ধারণ করতে পারেনি মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভাষার ইতিহাস, উৎপত্তি ও বিকাশ সম্পর্কে তথ্যসংবলিত মাতৃভাষা পিডিয়া ১০ খণ্ডে প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মধ্যে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫ খণ্ড প্রকাশ করতে পেরেছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও ক্ষুদ্র জাতিসমূহের ভাষা সংগ্রহ, সংরক্ষণসহ প্রয়োজনীয় গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা এবং বাংলাসহ অন্যান্য ভাষা আন্দোলনের তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণা এবং ইউনেসকোর সদস্য দেশসমূহের মধ্যে এ-সংক্রান্ত তথ্যাবলি পৌঁছে দেওয়া।’

অবকাঠামো নির্মাণেই অনেক সময় গেছে। প্রতিষ্ঠানে গত দুই বছরে সবচেয়ে বেশি কাজ হয়েছে। এখানে যে পরিমাণ জনবলসংকট, তা নিয়ে কীভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে প্রতিষ্ঠান? এরপরও যদি গত দুই বছরের দিকে তাকাই, আমি মনে করি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট সম্পূর্ণ জনবল পেলে অনেক কাজ করতে পারবে।অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক

তবে ভাষা নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা বলছেন, বাংলাকে বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে হলে শুধু জনবল নিয়োগ করলে হবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনের প্রতিষ্ঠানটি পুরোপুরি সরকারি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এখানে বেশি প্রয়োজন ভাষাবিদ, গবেষক, যোগাযোগে দক্ষ ব্যক্তি। গত সরকারের আমলে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে পরিণত হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।

ভাষা ও প্রযুক্তিবিশেষজ্ঞ মামুন অর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের ভৌত অবকাঠামো দারুণ কিন্তু সেই তুলনায় বুদ্ধিবৃত্তিক অবদান এখনো উল্লেখযোগ্য নয়। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে ইউনেসকোর সাইনবোর্ডটি কাজে লাগাতে পারত।

এই গবেষকের মতে, প্রতিষ্ঠানটির নীতি প্রণয়নেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। প্রশাসন, গবেষণা ও আন্তর্জাতিক নীতিকৌশলের কাজকে আলাদা বিবেচনা করতে হবে এবং উপযুক্ত বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে এগুলো না করলে প্রতিষ্ঠানটি তার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না।

মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের ভৌত অবকাঠামো দারুণ কিন্তু সেই তুলনায় বুদ্ধিবৃত্তিক অবদান এখনো উল্লেখযোগ্য নয়। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে ইউনেসকোর সাইনবোর্ডটি কাজে লাগাতে পারত।ভাষা ও প্রযুক্তিবিশেষজ্ঞ মামুন অর রশীদ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গত দ ই বছর ভ ষ র জন অবক ঠ ম ণ জনবল বর দ দ ক জ কর অন ব দ পর চ ল র জন য বছর র প রথম র একট

এছাড়াও পড়ুন:

এবার নিজের সৌন্দর্যের বর্ণনা দিতে গিয়ে বিতর্কে উর্বশী

বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না উর্বশী রাউতেলা। মন্তব্য করলেই কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন। কিছুদিন আগে ইচ্ছাকৃতভাবে বাথরুমের ভিডিও প্রকাশ করে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন তিনি। এবার নিজের সৌন্দর্যের বর্ণনা দিতে গিয়ে বিতর্কে বিদ্ধ হলেন এই অভিনেত্রী।

উত্তরাখণ্ডের মেয়ে উর্বশী। এই অঞ্চলের মেয়ে বলেই নাকি তিনি সব দিক থেকে সুন্দরী বলে দাবি করেছেন এই অভিনেত্রী। উর্বশীর মন্তব্যের সেই ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তে। সেখানে তিনি বলেন, ‘উত্তরাখণ্ডের মানুষ এমনিতেই লম্বা, ফর্সা এবং সুন্দর।’

এরপরে নিজের বাবার সৌন্দর্যের বর্ণনাও দিয়েছেন তিনি। ভারতের উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম যে কোনও দিকের মানুষের চেয়েই উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দারা সব দিক থেকে অনেক বেশি সুন্দর বলে দাবি উর্বশীর।

উর্বশী বলেছেন, ‘আপনি আমার যা দেখছেন সবটাই স্বাভাবিক। এর মধ্যে কৃত্রিম কিছু নেই। আমি তো উত্তরাখণ্ডের মানুষ। জন্মের পর থেকেই এখানকার মানুষ সুন্দর। তাই কৃত্রিমভাবে কোনও কিছু দরকার পড়ে না।’

এর পরেই নিজের বাবার প্রসঙ্গে উর্বশী বলেন, ‘আমার বাবাকেই দেখুন। তার উচ্চতা ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি। ফর্সা, সুন্দর ও লম্বা। একেবারে সুপারমডেলের মতো।’

এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই উর্বশীকে একজন বলেন, ‘আপনি সব সময় নিজেকে নিয়ে এত বড়াই করেন কী ভাবে!’ আর একজন কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘আপনি নিজের জন্য একটি লোক নিয়োগ করুন, যিনি আপনার এই সব নিরর্থক কথা মন দিয়ে শুনবেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় চাপাতি ঠেকিয়ে ছিনতাই, ভিডিও ভাইরাল
  • পেনাল্টি পেতে ‘মাটিতে পড়ে অভিনয় করেছে এমবাপ্পে’
  • মোটরসাইকেলসহ হালদা নদীতে পড়ে যান দুই যুবক, ৮ ঘণ্টা পর একজনের লাশ উদ্ধার
  • ধর্ষণের দৃশ্যে অভিনয়ের তিক্ত অভিজ্ঞতা জানালেন দিয়া মির্জা
  • ‘বইসেতু’ বানিয়ে বাসিন্দারাই নতুন দোকানে নিলেন বই
  • সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নিহত ১
  • পায়ুপথে বাতাস ঢোকানোর পরই অচেতন হয়ে পড়ে শিশুটি, পথেই মৃত্যু
  • একীভূত করার কথা বলে ট্রাম্প আসলে কানাডার কাছ থেকে কী চায়
  • ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ করল হামাস
  • এবার নিজের সৌন্দর্যের বর্ণনা দিতে গিয়ে বিতর্কে উর্বশী